রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করার সময় শিরা ও ধমনীর ওপরে যে পরিমাণ চাপ দিয়ে থাকে তাই হচ্ছে রক্তচাপ। কিন্তু যখন বিভিন্ন কারণে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি সরু হয়ে শক্ত হয় ও হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় তখন রক্ত চলাচল করতে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় শক্তির বা চাপের প্রয়োজন হয়, এটাই হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সাধারণত নিচেরটা ৮০ ও উপরেরটা ১২০ কে বোঝায় স্বাভাবিক রক্তচাপ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সব সময়ই নির্ভর করি ডাক্তার আর ওষুধের ওপর। কিন্তু আমরা চাইলে ঘরোয়াভাবেও এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। কীভাবে জেনে নিন:

উচ্চ রক্তচাপের কারণ
>> অতিরিক্ত ওজন
>> পরিবারের কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
>> অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খেলে
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি না খেলে
>> নিয়মিত হাঁটা-চলা বা ব্যায়াম না করলে
>> অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (যেমন- চা, কপি) পান করলে
>> অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল পান করলে

প্রতিকার
>> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
>> নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটতে হবে
>> প্রোটিন ও শর্করার পরিমাণ কমিয়ে মাছ, সবজি-ফল বেশি খেতে হবে
>> সবধরনের মাদক পরিহার করতে হবে

এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে রসুন রাখুন। প্রাকৃতিক ওষুধ রসুন আমাদের শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

উচ্চ রক্তচাপ দ্রুত কমিয়ে দেওয়ার জন্য একটি দারুণ টিপস হচ্ছে একটি কাপে এক চা চামচ পেঁয়াজের রস ও দুই চা চামচ মধু নিয়ে প্রতিদিন খান।

আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে দু’বার গাজরের জুস খান। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার থেকে অবশ্যই কাঁচা লবণ বাদ দিতে হবে।

মনে রাখবেন উচ্চ রক্তচাপ মানুষের স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, কিডনি সমস্যার অন্যতম কারণ। দিন দিন উন্নয়নশীল বিশ্বে এর ব্যাপকতা বেড়েই চলছে। হেলদি লাইফস্টাইল বা স্বাস্থ্যবান্ধব জীবনযাত্রার মাধ্যমেই রক্তচাপকে মাত্রার ভেতরে রাখা যায়। আর এজন্য দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন ও নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ও সঠিক চিকিৎসা নিন।

প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: