শরীরে পানি জমার ৫টি কারণ ও প্রতিকার

নানা কারণে শরীরে পানি জমতে পারে। ফুলে যেতে পারে পা, হাত, মুখমণ্ডল। শরীরে পানি জমে যাওয়ার জন্য সব সময় ওষুধ প্রয়োজন হয় না। বরং শরীরের পানি কমানোর জন্য যে ওষুধগুলো সেবন করা হয় সেগুলোই পানি জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জীবন যাপনের পরিবর্তন করা। শরীরে পানি জমাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এডিমা বলে। হায়দ্রাবাদের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের সিনিয়র কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডা. সুধীর কুমার পরামর্শ দিয়েছেন এ ব্যাপারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে পানি জমার কারণ ও এর প্রতিকারের উপায়গুলো-

১। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে : অনেক বেশি সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে রক্ত সংবহন কমে যাওয়ার ফলে শরীরে পানি জমতে পারে। এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক সক্রিয়তা। একাধারে অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি ২-৩ ঘন্টার মধ্যে ওয়াশরুমে ঘুরে আসুন।

২। পর্যাপ্ত পানি পান না করা : শরীরে পানি আসার আরেকটি সাধারণ কারণ হচ্ছে কম পানি পান করা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের লেভেল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে পানি জমে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করবেন। এর ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট।

৩। স্বাস্থ্য সমস্যা : কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- কিডনি রোগ, হৃদরোগ, লিভার ইনফেকশন অথবা ব্রেইন টিউমারের কারণেও এডিমা হতে পারে। আপনার যদি এই ধরণের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

৪। ওষুধ : কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও শরীরে পানি জমতে পারে। যেমন- হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ এম্লোডিপিন সেবনের ফলে পানি আসতে পারে শরীরে। এছাড়াও নন স্ট্যারয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ওষুধ, কর্টিকোস্ট্যারয়েডস এবং বার্থ কন্ট্রোল পিল এডিমা সৃষ্টিতে অবদান রাখে। তবে যেকোন ওষুধ বাদ দেয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৫। বেশি লবণ খাওয়া : শরীরে পানি জমার আরেকটি কারণ হচ্ছে অত্যধিক লবণ খাওয়া। সোডিয়াম পানিকে আবদ্ধ করে ফেলে এবং শরীরের কোষের ভেতরের ও বাহিরের তরলের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারের সাথে বাড়তি লবণ গ্রহণের অভ্যাস বদলে ফেলুন।

আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান হচ্ছে ম্যাগনেসিয়াম। শরীরের অতিরিক্ত পানি জমার সমস্যাটি কমানো যায় ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে। গবেষণায় জানা যায় যে, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে মেয়েদের শরীরে পানি আসার সমস্যা কমে। বাদাম, ডার্ক চকলেট, হোল গ্রেইন ও সবুজ শাকসবজিতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: