অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ ও করণীয়

পিরিয়ড হলেই মেয়েরা নানারকম সমস্যায় ভুগতে শুরু করে। তবে কিছু কিছু সমস্যা আসলে বড় কোনো সমস্যার লক্ষণ হিসেবে কাজ করে৷ অনেকেই লক্ষণগুলো জানেন না বলে যন্ত্রণা সহ্য করে যান। এতে পরবর্তীতে বড় কোনো সমস্যা হতে পারে।

চলুন জেনে নেয়া যায় পিরিয়ডের বিভিন্ন লক্ষণ দেখে শারীরিক সমস্যা কিভাবে নির্ধারণ করা যায়।

অনিয়মিত পিরিয়ড

অনেকেরই পিরিয়ড অনিয়মিত হয়। মূলত পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম, অতিরিক্ত স্ট্রেস কিংবা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে৷ অনেক দিন পরপর পিরিয়ড হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

পিরিয়ডের সময় কম ফ্লো

অনেকের পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে রক্তক্ষরণ কমতে শুরু করে৷ দেহের হরমোনের তারতম্যের ফলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ফাইব্রয়েড অথবা পলিপের সমস্যা হলেও এমনটা হয়৷

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ

প্রজেস্টেরন আর ইস্ট্রোজেন নামক দুই স্ত্রী হরমোনের ব্যাল্যান্স নষ্ট হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। কারণ এতে ফাইব্রয়েডের সমস্যা দেখা দেয়।

মারাত্মক ব্যথা

ফাইব্রয়েডস, ভ্যাজাইনাল, বা এন্ডোমেট্রিওসিসে কোনো ক্ষত থাকলে ভীষণ যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। পিরিয়ডের সময় দেহের ভেতর থেকে রক্তের সাথে টিস্যু নির্গত হয়। এই টিস্যুগুলো জরায়ুর ফেলোপিয়ান টিউবে জমা হতে থাকলেই সমস্যা। একসময় জমতে জমতে তা ব্যথার সৃষ্টি করে৷

অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ

  • শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে এই সমস্যা হয়।
  • বিবাহিত নারীরা হঠাৎ জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ বন্ধ করে দিলে হতে পারে।
  • বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের ফলে হতে পারে।
  • শরীরের রক্ত কমে গেলে অর্থাৎ এনিমিয়া হলে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়।
  • জরায়ুর বিভিন্ন জটিলতার কারণে হতে পারে।
  • সহবাসের সময় পুরুষের শরীর থেকে আসা অসুখের কারণে হতে পারে। যেমন : গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি।
  • শরীরে টিউমার ও ক্যানসার ইত্যাদি অসুখে হতে পারে।
  • প্রি মেনোপজের সময় হয়ে থাকে।
  • যেসব নারী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান সেসব নারীর অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।

সমস্যা

  • প্রতিমাসে নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এক মাসে রক্তপাত হলে হয়তো আরেক মাসে হয় না। অনেকের ক্ষেত্রে দুই-তিন মাস পরপর হয়ে থাকে।
  • ঋতুস্রাব বেশি সময় ধরে হয়। কখনো অল্প রক্তপাত হয় আবার কখনোও বেশি হয়।
  • সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
  • অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে পারে।
  • এ ছাড়া মেজাজ খিটখিটে থাকা এবং অস্বস্তিবোধ তৈরি হয়।

চিকিৎসা

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাধারণত হরমোনাল থেরাপি দেওয়া হয়। কারো ক্ষেত্রে যদি বেশি ওজনের জন্য এই সমস্যা হয় তবে ডায়েট ও ব্যয়াম করতে বলা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে মেয়ের পাশাপাশি মাকেও পরামর্শ (কাউন্সিলিং) দেওয়া হয়। আর সন্তান ধারণক্ষম বয়সে সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। বেশি রক্তপাত হলে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

যদি বছরে তিন বারের বেশি ঋতুস্রাব না হয়।
যদি ঋতুস্রাব ২১ দিনের আগে এবং ৩৫ দিনের পরে হয়।
ঋতুস্রাবের সময় বেশি রক্তপাত হলে।
সাত দিনের বেশি সময় ধরে ঋতুস্রাব হলে।
ঋতুস্রাবের সময় খুব ব্যথা হলে।

জীবনযাপনে পরিবর্তন

শরীরের ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
আয়রন জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে পরিমিত পরিমাণে রক্ত থাকে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01960288007

(সকাল দশটা থেকে রাত্র দশটা। নামাজের সময় কল দিবেন না।)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: