অনন্তমূল লতার ১৫টি ঔষধি গুণ ও ব্যবহার

অনন্তমূল সরু এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এদের পাতা যুক্ত এবং কাণ্ডের দুদিকে জন্মায়। ফলের বাইরের দিক সবুজ বর্ণের আর ভেতরে অংশ বেগুনি। এদের বীজ দেখতে ছোটো আকারের ও চ্যাপ্টা।

আমাদের দেশে যে ক’টি সুখ্যাত ঔষধি গাছ আছে তার মধ্যে অনন্তমূল অন্যতম। এ গাছের মূল, লতা ও পাতা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, জন্ডিস এবং প্রসূতি মায়েদের দুগ্ধ বৃদ্ধিতে কাজে লাগে। জন্ডিস ও জ্বালাপোড়ায় পাতা ও শিকড় একসঙ্গে পিষে মধু মেখে বড়ি বানিয়ে খালি পেটে দিনে ২-৩ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আবার মূলের কস্ফাথ দুধ ও চিনির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার সেবন করলে মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া অনন্তমূল রক্ত পরিষ্কারক, বলবর্ধক ও ঘর্মকারক। পক্ষাঘাত, চর্মরোগ, পুরনো কাশি, অরুচি, অর্শরোগ, কিডনি পাথর ও ক্ষুধামান্দ্যয় এ গাছ নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। তাতে উলিল্গখিত রোগের উপশম হয়।

আবার গাছের শিকড় রক্ত পরিষ্কার করে। যৌনরোগেও কাজে লাগে।

অনন্তমূল দুধকষে ভরা কিছুটা পেঁচানো ধরনের লতা। পাতা সরু, লম্বাটে, ৫ মি.মি. লম্বা ও ঈষৎ সবুজ। ফুলে মঞ্জরি-ঢাকনা আছে।

ফল লম্বাটে, ১০ থেকে ১৫ সে.মি, জোড়ায় জোড়ায়, প্রতিমুখী ও সরু, বীজ কালো। জুলাই-ডিসেম্বরে ফুল ও ফল। বীজ এবং রুটস্টক দিয়ে চারা করা যায়। গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় জন্মে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে আছে। ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকায় সহজলভ্য। এরা বিপন্ন নয়।

অনন্তমূল লতার ১৫টি ঔষধি গুণ ও ব্যবহার

১. লাবণ্যতা।

২. অর্শ্ব রোগ।

৩. হাত-পায়ের জ্বালায়।

৪. অরুচি।

৫. একজিমা।

৬. খুশখুশে কাশি।

৭. অনিয়মিত ঋতুস্রাব।

৮. ঘামের দুর্গন্ধ।

৯. বাতরক্তে।

১০. আমাশয়।

১১. স্তন্য হ্রাসে।