দুর্বা ঘাসের ১১টি ভেষজ গুণ

ছোট বেলায় খেলাধুলা করছি। নিজের অথবা বন্ধুদের কোথাও কেটে গেলে দেখেছি বয়সে যারা বড় তারা দৌড়ে গিয়ে দুর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্তপাত বন্ধ হয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই কেটে যাওয়া স্থান জোড়া লেগে যেত। সেই দুর্বা ঘাস এখনও বাংলার আনাচে কানাচে সর্বত্রই পাওয়া যায়। অথচ আমরা অনেকেই এই দুর্বা ঘাসের ১১টি ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানি না। তাই এই উপকারি ভেষজটির গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

এটি একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত দুর্বা ঘাস দীর্ঘকাল প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। মাঠে ময়দানে ঘরবাড়ীর আনাচে কানাচে আপনা আপনি এ ঘাস জন্মায়। এর পাতা সরু, লম্বা। মসৃণ ও সবুজ বর্ণের হয়। মাটির নিচে এর গুচ্ছ মূল থাকে। দুর্বা ঘাস আলাদা ভাবে চাষের কোন প্রয়োজন হয় না।

দুর্বা ঘাসের পরিচিতি-
প্রচলিত নাম- দুর্বা ঘাস
ইউনানী নাম- দুর্বা / দুব
আয়ুর্বেদিক নাম-দুব
ইংরেজী নাম- Bermuda grass, Dove grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার- Poaceae (Gramineae)

দুর্বা ঘাসে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান আছে- টারপিনয়েড যৌগ যেমন অরুনডেইন, লুপিনোন ইত্যাদি বিদ্যমান। এছাড়া দু্রবা ঘাসে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও বেশ কিছু অর্গানিক এসিড পাওয়া যায়।

দুর্বা ঘাসের জাদুকরি ভেষজ গুনাগুণ

১। কেটে যাওয়া বা আঘাত জনিত রক্তক্ষরণে দুর্বা ঘাস সামান্য পানি মিশিয়ে পিষে কাটাস্থানে বেঁধে দিলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। কাটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগে এবং শুকিয়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশী উপকার পাওয়া যায়।

২। চুল পড়া প্রতিরোধে একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদুতাপে জ্বাল করে ফেনা দুর করে নিতে হবে। তারপর দুর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে পুনরায় জ্বাল দিয়ে চুলা হতে নামিয়ে ছেঁকে তা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন গোসলের ১ ঘন্টা আগে ঐ তেল চুলে মাখতে হবে। নিয়মিত২-৩ মাস প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে।

৩। বমি ভাব বন্ধের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ১ চা চামচ চিনি সহকারে ১ ঘন্টা পর পর খেতে হবে, বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।

৪। আমাশয় রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস৪-৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ বার খেতে হবে। এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়ে যাবে।

৫। অধিক ঋতুস্রাব রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ প্রতিদিন মধু সহ ৩-৪ বার খেতে হবে। এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৬। দুর্বা ঘাসের নির্যাস রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অর্ধেক পর্যন্ত হ্রাস করতে সক্ষম।

৭। আয়ুর্বেদীয় মতে রক্ত পিত্তে দুর্বা ঘাস মহৌষধ। এরোগে মুখ, নাক ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্তস্রাব হতে পারে। এক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রসের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে রোগের উপশম হয়।

৮। শ্বেতপ্রদরজনিত দূর্বলতায় দুর্বা ঘাস ও কাঁচা হলুদের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে খেলে রোগী দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠে।

৯। দুর্বা ঘাস সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনাময় ওষুধ। গর্ভধারণে অসমর্থ হলে দুর্বা ও আতপ চাল এক সাথে বেটে বড়া করে ভাতের সাথে সপ্তাহে তিন/চারদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১০। দুর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রস্রাবে কষ্ট হয় অথচ পাথুরী রোগ হয়নি এ’রকম ক্ষেত্রে দুর্বার রস দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে ভাল ফল দেয়। তবে অর্শরোগ থাকলে এটা খাওয়া যাবেনা।

১১। দুর্বা ঘাস শুকিয়ে গুড়ো করে সেই গুড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া রোগ সেরে যায়।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: