পিরিয়ডের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৮টি সহজ উপায়

প্রতি মাসেই শারীরিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যন্ত্রণার মুখোমুখি হন বহু নারী। কিন্তু মাসিকের এ যন্ত্রণা লাঘব করার কিছু উপায় রয়েছে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপায়।

১. কম ক্যাফেইনযুক্ত চা পান করুন
গরম চা মাংসপেশিতে আরাম দেয়। এ কারণে চা পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে কম ক্যাফেইনপূর্ণ চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের কলকাতার পার্ল ক্লিনিকের গবেষক ড. রিমা চ্যাটার্জি। চায়ের উষ্ণতা ব্যথাপূর্ণ পেশিতে কিছুটা আরাম দেবে। এ জন্যে চামোমাইল টি, জিঞ্জার টি, পিপারমিন্ট টি, ল্যাভেন্ডার টি, গ্রিন টি, লেমোনগ্রাস টি, কার্ডামোম টি এবং আরো কয়েক ধরনের হার্বাল চা উপকার দেবে।

২. প্রচুর পানি পান করুন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা মাসিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। এ বিষয়ে মুম্বাইয়ের হেলথ সেন্টারের ড. হিতেশ শর্মা জানান, পিরিয়ড চলাকালীন প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। এ সময় দেহে বাড়তি পানি প্রয়োজন হয়।

৩. আদা
বিশেষ সময়ে আদা একটি দারুণ কার্যকর ওষুধ। ব্যথা উদ্রেককারী প্রোস্টাগ্লাডিয়ানসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। এর সঙ্গে অবসাদ দূর করতেও সহায়তা করে। এক কাপ গরম পানিতে এক টুকরা আদা ছেঁচে তার সঙ্গে সামান্য মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।

৪. হট ওয়াটার ব্যাগ
ব্যথার সময়ে তলপেটে একটা হট ওয়াটার ব্যাগ রাখুন। এতে যন্ত্রণাকাতর পেশিগুলো শিথিল হবে। ব্যথা কিছুটা কমে আসবে।

৫. ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন
চা-কফিতে ব্যবহৃত ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকাটা বাঞ্ছনীয়। ক্যাফেইন রক্ত চলাচলকারী শিরা-উপশিরাকে সংকুচিত করে দেয়। এত ব্যথা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।

৬. চর্বি এড়িয়ে চলুন
চর্বিযুক্ত খাবার এ সময় এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এসব খাবারে ক্ষতিকর উপাদান ও লবণ থাকে, যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। কলা খান। এর পটামিয়ামে উপকার মিলবে।

৭. দারুচিনি
পিরিয়ডের ব্যথা উপশমে দারুণ কাজ করে দারুচিনি। এতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এক টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে খান। পিরিয়ড শুরু হওয়ার দুই-তিন দিন আগে থেকে এই চা দুই-তিন কাপ খেলে ব্যথা থাকবে না।

৮. অর্গাজম
মাসিকের ব্যথা দূর করতে কার্যকর একটি উপায় হলো অর্গাজম বা আনন্দময় যৌনতা। এতে দেহের রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং বহুধরনের হরমোন নির্গত হয়। ফলে মাসিকের ব্যথা অনেকাংশে উপশম হয়।

মাসিক না হলে কি করবেন?

অনিয়মিত মাসিক (Menstrual Regulation)। এটা মেয়েদের সাধারণ সমস্যার একটি। মাসিক প্রক্রিয়ার এই অনিয়মকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যামেনোরিয়া বলা হয়। প্রতি মাসে এটি হয় বলে এটিকে বাংলায় সচরাচর মাসিক বলেও অভিহিত করা হয়। মাসিক রজঃস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীর গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে এই মাসিক রজঃস্রাব আটাশ দিন পর পর হবে। তবে দু-একদিন আগে-পরে হতে পারে। দু-একদিনের হের-ফের স্বাভাবিক। ঋতুস্রাব সমস্যা শুরু হলে প্রথমে গর্ভধারণ টেস্ট (প্রেগনেন্সি টেস্ট) করা দরকার। শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে। মেয়েদের মাসিক হওয়ার পর শরীরে নানান ধরনের পরিবর্তন আসে।

বিজ্ঞাপণ

নারীর বয়স ৪০ পার হওয়ার পর থেকে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। প্রত্যেক মহিলার তলপেটে জরায়ুর দু’ধারে দুটি ডিম্বাশয় থাকে। এর কাজ হল ডিম্বস্ফুটন এবং হরমোন নিঃসরণ। কমপক্ষে সাধারণত ছয় মাস একটানা রক্তস্রাব বন্ধ থাকলে ধরে নেয়া যায় যে মেনোপজ হয়ে গেছে। মাসিক চক্রের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়। মাসিকের সময় তলপেট তীব্র ব্যথা হয়। একে ডিজমেনোরিয়া বলে। তলপেটে হালকা মেসেজ করলে ব্যথা কমে যাবে। প্রতি তিন বা চার ঘন্টা পর প্যাড পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার ইত্যাদি। নারীদের মধ্যে অনেকেই অনিয়মিত ঋতুস্রাব সমস্যায় ভোগেন।

মাসিকের প্রথম দিন গুলোতে প্রতি ঘন্টায় কাপড় বদল করতে হয়। অতিরিক্ত রক্তপাত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম করতে হবে। মাসিক যাদের অনিয়মিত হয় তাদের এভাবে ২-৩ মাস পরে মাসিক হতে পারে যদিও তারা প্রেগ্নান্ট না। অনিয়মিত মাসিক হয় তাহলে তার PCOS বা অন্য সমস্যা থাকতে পারে। মাসিকের আগে বা পরে হরমোনের কারণে স্তন ব্যথা হতে পারে। এটা কোনো রোগ নয়, পেইনকিলার মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। স্তন ব্যথাকে স্বাভাবিক ধরে নিলেই ভালো। মাসিক অনিয়মিত হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু হরমোন টেস্ট করতে হবে। যেসব যুবতীর মাসিক নিয়মিত হয় বুঝতে হবে তাদের ডিমগুলো সময়মতো ফুটে থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক আরম্ভ হয় না।

৬ মাসের বেশি সময় ধরে মাসিক না হয় অথবা বয়স ১৬ হওয়ার পরেও মাসিক শুরুই না হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কারন বিষয়টিকে অবহেলা করলে শরীরের গ্রোথ হরমোন উত্‍পাদনে ব্যাঘাত ঘটবে এবং শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হবে। জন্ম থেকেই কোন কোন মহিলার যোনিতে ত্রুটি থাকে । এর ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়। হরমোণের পরিবর্তনের ফলে ডিম্বস্ফোটনে (Ovulation) সমস্যা হতে পারে। মেয়েরা পিরিয়ড কবে হবে তার জন্য এমন ভাবে অপেক্ষা করেন, পরীক্ষার রেজাল্টের জন্যও বোধহয় তা করেন না। যে কোনও রকম চিন্তা, যেমন সামনে পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থাকলে, বাড়িতে কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটলে বা কোনও খারাপ খবর পেলে খেয়াল করে দেখবেন, পিরিয়ডের গোলমাল শুরু হয়। ২০ থেকে ৪০ বছরের মহিলার ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মত হলে বা বেশি হলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে, তার মধ্যে অস্বাভিকতা আছে।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব বন্ধে যা করা উচিত

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং নিজেকে ঠান্ডা রাখুন। শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন। নিয়মিত শরীর চর্চা, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করুন। ওজন বেশি থাকলে ওজনও কমাতে হবে। নিয়মিত কাঁচা পেপে খেলে অনিয়মিত মাসিকের জন্য অনেক উপকারী। তবে যারা গর্ভবতী তাদের কাঁচা পেপে না খাওয়াই ভাল, এতে গর্ভপাত হতে পারে। জননাঙ্গের যক্ষা, গণোরিয়া, সিফিলিস, এইডস, ডায়াবেটিস প্রভৃতির কারণে হতে পারে। মাসিকের সময় প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও আয়রনের চাহিদা তৈরি করে। পিরিয়ড এক বা দুই সপ্তাহ আগে হলে গাজর, কলা, আপেল, পেয়ারা, শসা খাবেন এবং এই সমস্যা দূর করার জন্যই অল্প অল্প বারে বারে খাবার খান। ত্যাগ করুন সফট-ডিঙ্ক, কফি ও চা।

আঙুর ফলও পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন আঙুরের জুস খেলে বা খাবারের তালিকায় আঙুর থাকলে ভবিষ্যতে মাসিক নিয়মিত রাখতে সহায়তা করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর বেটা ক্যরোটিন, যা মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাস রূপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যারা অযথাই টেনশন বেশি করে তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। কলা, তিল, তিসি বীজ, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খাওয়া উচিত। প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পিরিয়ডের সময় হরমনের অনুপাত ঠিক থাকে না। তাই পিরিয়ড পিছিয়ে যায়। যখনই পিরিয়ড পিছিয়ে যায় তখনই আপনি খেতে পারেন দুধ যা পিরিয়ডের অনুপাত ঠিক রাখে। তবে পরিহার করতে হয় তেলজাতীয় খাবার ও ডিমের কুসুম।

এক মহিলা ডাক্তার মাসিক-এর সময় খুবই কষ্ট পেতেন। পেইন কিলারেও স্বস্তি মিলতো না। যেহেতু জরায়ু ও তলপেটের সকল রক্ত পরিবাহী শিরা ও ধমনী সম্পর্কে তার ভালো ধারণা ছিলো, তাই তিনি মনছবি দেখা শুরু করেন যে, তলপেট ও জরায়ুতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে চমত্‍কারভাবে। পাতলা লাল রক্ত তলপেটে ও জরায়ুতে যাচ্ছে এবং সেখানকার সকল অবাঞ্ছিত ও অপ্রয়োজনীয় বস্তুকে ভাসিয়ে নিয়ে আসছে। সুন্দর রক্ত সঞ্চালনের এই মনছবি দেখার তৃতীয় দিন থেকেই তার সকল ব্যথা ও অস্বস্তি দূর হয়ে যায়। এরপর মাসিকের সময় হওয়ার আগেই তিনি সুন্দর রক্ত সঞ্চালনের মনছবি দেখা শুরু করেন এবং মাসিককালীন অস্বস্তি ও কষ্ট থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করেন।

আপনিও মেয়েলি যেকোনো জটিলতার জন্যে নিরাময়ের মনছবিকে প্রয়োগ করতে পারেন।

জরায়ু ও তলপেটের শিরা ও ধমনীকে কল্পনা করুন অনেকগুলো পানিবাহী নালা হিসেবে। দেখুন সবগুলো নালা বড় একটি পুকুরে গিয়ে মিশেছে। পুকুর থেকে আরেকটি নালা দূষিত পানি বের করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি নালায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে চমত্‍কার ভাবে- কোথাও কোনো অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা বাধা থাকলে বিশুদ্ধ পানির প্রবাহ তা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বড় পুকুরের পানি সবসময় থাকছে টলটলে ও স্বচ্ছ।

সুন্দর রক্ত সঞ্চালনের এই মনছবি দেখার সাথে সাথে অবলোকন করুন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন আপনি। ঐ সময়ের ব্যথা বা অস্বস্তি কোনোটাই আর নেই। চমত্‍কারভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন আপনি।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: