ভালোবাসার মানুষ সন্দেহ করে, বুঝার উপায় কি?

জীবনে স্বস্তি, আনন্দ, আশা, লক্ষ্য খুঁজে পেতে মানুষ প্রেমে জড়ায়। নিজের মনের দুটি কথা ভাগাভাগি করার জন্য একজন মানুষ তো থাকা চাই। একটা সময় হয়তো কাউকে মনে ধরে যায়। মনে হতে থাকে, একে পেলে ভালো হয়, বদলে যেতে পারে ক্লান্তির জীবনের গল্প। কিন্তু সবকিছুই কি আমাদের চাওয়ার মতো হয়? প্রত্যাশার সঙ্গে কি সত্যিই প্রাপ্তির কোনো পার্থক্য থাকে না?

সঠিক মানুষ বেছে নেওয়ার আসলে সহজ কোনো উপায় নেই। মানুষ পরিবর্তন হতেই পারে। অনেকে আবার নিজের দুর্বলতাগুলো লুকিয়ে জড়াতে পারে প্রেমে। সম্পর্কে জড়ানোর পর হয়তো তার স্বরূপ প্রকাশ পেতে থাকে। এমন অনেক হয়, প্রথমে সবকিছুই ঠিকঠাক কিন্তু একটা সময় গিয়ে লাগে ঠোকাঠুকি। ভালোবাসা, ভালোলাগার বদলে শুরু হয় পরস্পরের প্রতি দোষারোপ। কে সত্যি, কে মিথ্যা সেসব বুঝতে বুঝতেই শেষ হয় সময়। ভালোবাসার জন্য আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

প্রেমিক ছেলেটি একটা সময় পর হয়তো অকারণে সন্দেহ শুরু করে। সন্দেহবাতিক মানুষেরা সব সময়ের জন্যই বিরক্তিকর। এরা কারও কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। সন্দেহের কারণে নিজের মানসিক শান্তিও নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে অশান্তিতে রাখে সেই মানুষকে, যে তার কাছের, আপনজন। সন্দেহবাতিক প্রেমিক নিয়ে সম্পর্কে বেশি দূর আগানো যায় না। কিছু লক্ষণেই বুঝতে পারবেন আপনার প্রেমিক পুরুষটিও এমন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

আপনাকে বারবার কল করলে

বারবার কল করে খোঁজ নেওয়া কেয়ার বা যত্ন হিসেবেই দেখা হয়। খালি চোখে দেখলে এটি ভালো অভ্যাসই বলা যায়। কিন্তু এই কল করার সংখ্যা যদি হয় অতিরিক্ত, তখন মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। ভালোবাসলে কিছু অধিকারও থাকে। কিন্তু সেই অধিকার খাটানো যদি মাত্রাছাড়া হয়ে যায়, তবে সতর্ক হোন। না আপনি তাকে এভাবে বিরক্ত করবেন, না তাকে সুযোগ দেবেন এভাবে বিরক্ত করার। তাকে তার সীমাবদ্ধতা বুঝতে দিন।

আপনার বন্ধুদের নম্বর চাইলে

আপনার বন্ধুদের নম্বর তার কাছে থাকাটা একদিক থেকে ভালো। অন্তত বিপদে-আপদে তাদের কাছ থেকে আপনার খোঁজ নিতে পারবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে কেবল সন্দেহবশত আপনার বন্ধুদের নম্বর সংগ্রহ করছে, আপনার গতিবিধি জানার গোপন চেষ্টা করছে তবে সেই সম্পর্ক নিয়ে আরেকবার ভাবতে হবে। কোনটি ভালোবাসা এবং কোনটি সন্দেহ তা আপনাকে বুঝতে হবে।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড চাইলে

প্রত্যেকেরই কিছু প্রাইভেসি থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কখনো আরেকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রাখে না। তাই যতই প্রেম থাকুক, আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড তাকে দেবেন না বা তার কাছেও চাইবেন না। যদি এমনটা করে তবে বুঝবেন সে সন্দেহবাতিকগ্রস্ত।

আপনার ফোন চেক করলে

প্রয়োজনে আপনার ফোন সে হাতে নিতেই পারে। এটি দোষের কিছু নয়। কিন্তু এমন যদি হয় যে সে আপনার ফোনে নজরদারি করে, তবে সেটি হতে দেবেন না। আপনার প্রতি এতটুকু বিশ্বাস না থাকলে সেই সম্পর্কে আগানো মুশকিল হবে। যে আপনাকে বিশ্বাস করবে সে ফোন চেক করবে না। আপনিও এই বিশ্বাসটুকু বজায় রাখুন।

কথায় কথায় সন্দেহ প্রকাশ করলে

সন্দেহবাতিক মানুষেরা কেবল কাজ করেই শান্ত থাকেন না, তাদের বিভিন্ন কথায়ও ফুটে ওঠে সন্দেহের চিহ্ন। বিভিন্ন বিষয়ে সে আপনাকে প্রশ্ন করে জর্জরিত করতে পারে। যদি আপনি অপরাধ না করে থাকেন তবে নিজেকে ব্যাখ্যা করার কোনো প্রয়োজন নেই। যার কাছে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করতে হয় তার সঙ্গে ভালোবাসা একসঙ্গে থাকতে পারে না।

শেয়ার করুন: