হৃদরোগীরা কি গরু-মহিষের মাংস খেতে পারবেন?

মূলত জীবন যাপনে অনিয়ম এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনজনিত কারণে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে।আবার অনেকে বংশানুক্রমে এই রোগে আক্রান্ত হন। কিছু খাবার আছে হৃদরোগীদের জন্য উপকারী।আবার কিছু খাবার আছে যা পরিহার করতে হবে।

হৃদরোগীদের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিনোভা মেডিকেলের মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তৌফিকুর রহমান ফারুক।

কী কী খাবার কম খেতে হবে

অধিক তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যাতে ক্যালরি বেশি থাকে যা ওজন বাড়ায় তা বর্জন করতে হবে।

কী কী খাবার বেশি খেতে হবে

যেসব খাবার কম ক্যালরিযুক্ত যেমন তাজা ও রঙিন শাকসবজি, ফলমূল, সালাদ, বিভিন্ন ধরনের মাছ বিশেষত সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল, প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার, উদ্ভিদজাত ননট্রপিক্যাল তেল বেশি বেশি খেতে হবে।

গরু, খাশি বা মহিষের গোশত কি একদম নিষেধ

গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম নিষেধ নয়, তবে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না, মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণ খাওয়া যাবে।

যারা গরু, খাশি বা মহিষের গোশত একদম খান না, তাদের কি হার্টের করোনারি রক্তনালিতে ব্লক হয় না

হ্যাঁ, যারা গরু, খাশি বা মহিষের একদম গোশত খান না, তাদেরও হার্টের করোনারি রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে বা হয়।

গরু, ছাগল বা মহিষ তো ঘাস বা লতাপাতা খায়, কখনোই তৈলাক্ত খাবার খায় না কিন্তু মাংসে বা পেটের ভেতরে এত চর্বি কীভাবে হয়? তা হলে কি তৈলাক্ত বা চর্বি জাতীয় খাবার একদম না খেলেও কি রক্তে শরীরে চর্বি হতে পারে?

হ্যাঁ, গরু, ছাগল বা মহিষ ঘাস বা লতাপাতা খায়, কখনোই তৈলাক্ত খাবার খায় না, কিন্তু মাংসে বা পেটের ভেতরে এত চর্বি হয় তার মানে ঘাস বা লতাপাতা প্রয়োজনের বেশি খেলে তা চর্বিতে রূপান্তরিত হতে পারে, তেমনি কোনো ব্যক্তি যদি চর্বি বা তৈলাক্ত খাবার নাও খায় কিন্তু শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে তা চর্বি আকারে আমাদের তলপেটে বা নিতম্বে বা খাবারের নালির বা অন্ত্রের পাশে পেটের ভেতরে জমা হতে থাকে ও ওজন বাড়তে থাকে।

তাই অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিহার করার পাশাপাশি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি, মিষ্টি, কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।

বাঘ বা সিংহ বা অন্যান্য মাংসাশী প্রাণী তো মাংস ছাড়া অন্য কিছু খায় না, এমনকি চর্বিসহ একেবারে অনেক পরিমাণে মাংস খায় তাদের তো শরীরে কোনো মেদ নেই, বরং দেখতে অনেক স্লিম আবার তৃণভোজী প্রাণী যেমন গরু, মহিষ, হাতি যারা ঘাস, লতাপাতা বা কলাগাছ খায় তারা অনেক ওজন বেশি ও মোটা তাহলে কি মাংস খেলে ওজন বাড়ে না বরং কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে ওজন বা শরীর ভারি হয়?

হ্যাঁ, প্রোটিন জাতীয় খাবারে ওজন বাড়ে না বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে আর শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন বাড়ে ও শরীর মোটা হয়। আর মাংসাশী প্রাণী একবারে অনেক মাংস খেলেও তারা পরিশ্রমী ও কম চর্বি যুক্ত মাংসে ক্যালরি কম, তা ওজন বাড়ায় না।

আমাদের পূর্ব পুরুষরা তো অনেক পরিমাণে খেতেন তবুও তাদের রোগবালাই কম হতো আবার বেশি দিন সুস্থভাবে বাঁচতেন কেন?

আমাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক পরিমাণে খেতেন তবুও তাদের রোগবালাই কম হতো। আবার বেশি দিন সুস্থভাবে বাঁচতেন, কারণ তারা ভেজালমুক্ত খাবার খেতেন ও অনেক শারীরিক পরিশ্রম করতেন, ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতো না, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকত, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে।

অনেক সময় দেখা যায় ১০-১২ বছরের বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন চেহারায় বা হাতে কোলেস্টেরল বা চর্বির বড় বড় চাকা জমা হয় ও রক্তে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য চর্বির মাত্রা অনেক বেশি, তাদের বুকে ব্যথার জন্য এনজিওগ্রামে দেখা যায় অনেক ব্লক, কিন্তু তারা তো জীবনে আর কতটুকুই বা তৈলাক্ত বা চর্বি জাতীয় খাবার খেয়েছে যে তাদের রক্তে চর্বির মাত্রা এত বেশি ও হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে অনেক ব্লক।

অনেক সময় দেখা যায়, মূলত জেনেটিক বা বংশগত কারণে কিছু কিছু রোগে কোনো কোনো ছোট বাচ্চাদের শরীরে, চামড়ায়, চোখের কোণায় কোলেস্টেরলের আস্তর জমা পড়ে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকে, এমনকি এনজিওগ্রামে দেখা যায়, হৃদযন্ত্রের করোনারি রক্তনালিতে অনেক ব্লক। তাই মূলত জেনেটিক বা বংশগত কারণে এ সমস্যা দেখা যায়, খাবারের চর্বির সঙ্গে রক্তের চর্বির সম্পর্ক কম।

যারা একদম পশুর মাংস বা পাখির মাংস খান না, এমনকি ভেজেটারিয়ান বা ভেগান তাদেরও দেখা যায় হৃদযন্ত্রের করোনারি রক্তনালিতে অনেক ব্লক এবং তাদের করোনারি ধমনিতে রিং বা স্টেন্ট বসানো বা বুক কেটে বাইপাস সার্জারি করা লাগে, এমনটা কেন হয়?

এমনটা হতে পারে যদি কেউ অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খান ও কায়িক বা শারীরিক পরিশ্রম না করে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে না করে তবে এ অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি আকারে শরীরে জমা হবে, শরীরের ওজন বাড়বে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে, ফলে হৃদরোগ ও হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

রক্তের চর্বির মাত্রা মাত্র ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে খাবার চর্বি থেকে আসে, বাকি রক্তের চর্বির ৯০ শতাংশই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন যকৃতে বা লিভারে ও অন্যান্য কিছু অঙ্গে জেনেটিক বা বংশগত সমস্যার কারণে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি বেশি পরিমাণে চর্বি তৈরি হয় ও তা রক্তে সরবরাহ করে ও ফলে রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়ে ও হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে ব্লক তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে যে ৫ পানীয়

কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিই এর কষ্ট সম্পর্কে জানেন। প্রথমে গুরুত্ব না দিলে এটি পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ দায়ী হতে পারে।

খাবারে অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ফাইবারযুক্ত খাবার কম খাওয়া ইত্যাদি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আবার অনেক সময় কিছু ওষুধের কারণেও হতে পারে এই সমস্যা। সময়মতো এর চিকিৎসা না করালে দেখা দিতে পারে পাইলস।

তাই সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন এমন ৫ পানীয় সম্পর্কে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে-

শসার জুস

শসা একটি উপকারী সবজি। এর জুস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় বেশ কার্যকরী। শসায় থাকে পর্যাপ্ত সরবিটাল। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কাজ করে। এছাড়া শসার জুসে থাকে ফাইবার। তবে এক্ষেত্রে জুস তৈরি করতে হবে শসার খোসাসহ। এতে বেশি উপকার পাবেন।

আপেলের জুস

আপেলের জুস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। এই পানীয় নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। আপেলে থাকে প্রচুর ফাইবার। সেইসঙ্গে ভিটামিন ও মিনারেলে ভরা থাকে এটি। আপেলের জুস খেলে শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, সেইসঙ্গে মুক্তি মিলবে আরও অনেক রোগ থেকে। নিয়মিত পুষ্টির জোগান হিসেবে এটি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। তবে জুস তৈরির আগে অবশ্যই আপেলের বীজ ফেলে দেবেন।

পাম

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কাজ করে পাম। পামে আছে ডায়েটরি ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। এই সমস্যা দূর করতে চাইলে পামের বীজ ফেলে জুস তৈরি করে খেতে হবে। এই জুস নিয়মিত খেলে সমস্যা দ্রুতই কমে আসবে।

অরেঞ্জ জুস

উপকারী আরেকটি পানীয় হলো অরেঞ্জ জুস। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে ভিটামিন সি। অরেঞ্জ জুসে থাকা ফাইবারও কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমায়। তাই এই সমস্যা থাকলে নিয়মিত অরেঞ্জ জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে।

পালং শাকের জুস

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কার্যকরী হলো পালংশাকের জুস। শরীরের সুস্থতায় কাজ করে এটি। এই শাকে আছে পর্যাপ্ত আয়রন। সেইসঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার। পালং শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে দ্রুতই। তাহলে এবার থেকে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন উপকারী এই শাক।

ঔষধ পেতে নিম্নে বর্ণিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

 

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: