যে ১১টি উপায়ে বুদ্ধি খুলবে আপনার!

আমাদের প্রত্যেকের মাঝে প্রত্যাশা থাকে ‘প্রখর’ স্মৃতিশক্তির অধিকারী হওয়া। কিন্তু সবাই এ গুণের অধিকারী হতে পারেন না। জেনে রাখুন, ‘প্রখর’ স্মৃতিশক্তি শুধু বর্তমানেই নয়, ভবিষ্যতেও বড় সম্পদ হতে পারে। এর অধিকারী হলে জীবনে সাফল্য পাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

অন্যদিকে, স্মৃতিশক্তি ‘দুর্বল’ হলে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে। নানা কারণে স্মৃতিশক্তি ‘দুর্বল’ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্মৃতিভ্রম বলে। এটি হলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। ফলে জীবনে সাফল্য পাওয়া তো দূরের কথা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়তে হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি টিপস ও কৌশল অবলম্বন করে সহজেই স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।

চলুন এবার জেনে নিই সেই টিপস ও কৌশলগুলো-
১. খাদ্য : স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখার পূর্বশর্তই হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। তা হতে পারে প্রচুর পরিমাণ ফলমূল, শাকসবজি ও উপকারি চর্বিযুক্ত খাবার (মাছ, বাদাম, অলিভ ওয়েল)।

২. ব্যায়াম : যেকোনো ধরনের ব্যায়াম-দৌড়, সাঁতার, সাইকেল চালানো, জগিং স্মৃতির জন্য খুবই ভালো। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তিজনিত রোগ নিরাময়েও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৩. ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম শুধু শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও অপরিহার্য। গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো ঘুম স্মরণশক্তি বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

৪. ভাতঘুম : গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেলায় সামান্য ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।

৫. স্মৃতিসংক্রান্ত ডিভাইস : কিছু বৈজ্ঞানিক ডিভাইস কোনো কিছু মনে রাখতে সহায়তা করে।

৬. কবিতা/ছড়া: শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ছড়া বা কবিতা পাঠের বিকল্প নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বড়দের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

সুতরাং যদি মনে করেন আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে, তাহলে আর দেরি না করে এসব টিপস ও কৌশলের আশ্রয় নিন।

যে ১১টি উপায়ে বুদ্ধি খুলবে আপনার!
বয়স হলে অনেক মানুষের স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে এবং বাড়িয়ে তুলতে নানা উপায় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু অব্যর্থ উপায়। এসব সমস্যা কমানো যায় মস্তিষ্কের নানা অনুশীলন, চর্চা ও সঠিক খাবারের মাধ্যমে। নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করে সহজেই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানো যায়।

১. শিখতে থাকুন:
বহু গবেষণাতেই দেখা গেছে, শিক্ষা মানসিক কার্যক্ষমতা ধরে রাখে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তার মানসিকতাও তত সমৃদ্ধ। তাই এসব মানুষের মস্তিষ্কে যত অবসাদ আসতে নেয় তাদের মস্তিষ্ক তত বেশি বাধা দেয়। দেখা গেছে, মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বিনাশী রোগ অ্যালঝেইমার্স উচ্চশিক্ষিত মানুষের মাঝে দেরিতে আক্রমণ করে। এ কারণে দেখা যায়, শিক্ষা যত বেশি হবে তত বেশি আপনার মস্তিষ্ক কার্যক্ষম থাকবে।

২. ক্রসওয়ার্ড করুন:
আপনি যদি স্কুলে আবার ফিরতে না চান, তাহলেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা টিকিয়ে রাখার উপায় আছে। এ জন্য আপনাকে নিয়মিত ক্রসওয়ার্ডের সমাধান করতে হবে। তরুণ বয়সে আপনি শিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বয়স হলে ক্রসওয়ার্ড হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সমাধান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ক্রসওয়ার্ড নিয়ে একটি দিন ব্যস্ত থাকলে সে কারণে দুই মাস পিছিয়ে যায় মস্তিষ্কের রোগ ‘ডিম্যানশিয়া’!

৩. নেতিবাচকতা বাদ দেওয়া:
মন থেকে নেতিবাচকতা ত্যাগ করা হতে পারে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখার অন্যতম উপায়। যখন কোনো একটি বিষয়ে মস্তিষ্ক উদ্বিগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে এবং সেভাবে প্রস্তুত হয়। এ কারণে নেতিবাচক চিন্তাগুলো মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়ে যায়। অন্যদিকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বিষয় নিয়ে চিন্তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪. ‘ব্রেন গেম’ খেলুন:
ভিডিও গেম নয় খেলুন ব্রেন গেম। ইন্টারনেটে ব্রেন গেমের নানা রকম ভিডিও দেখুন। দাবা খেলুন। তবে ভাল না লাগলেও শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হবে বলেই ব্রেন গেম খেলব, দাবা খেলব এমনটা করার দরকার নেই।

৫. সামাজিকতা:
সামাজিকতা ও ভালো স্মৃতিশক্তির একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ ভালো স্মৃতিশক্তিধারীরা বেশি সামাজিক হয়। তবে এতে কোনটির অবদান বেশি তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে ২০০৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি সামাজিকতায় তেমন অংশ নেন না, তাদের মস্তিষ্ক সামাজিকদের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, সামাজিকতা আমাদের মস্তিষ্কের উপকার করে। সামাজিকতার ফলে নিজের দিকে নজর দেওয়া, চাপ কমানো ও নিউরো হরমোন নিঃসরন সহায়তা করে।

৬. একসঙ্গে অনেক কাজ (মাল্টিটাস্ক) বাদ দিন:
আমরা অনেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ (বা মাল্টিটাস্ক) করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাল্টিটাস্ক বাস্তবে মানুষকে ধীর করে দেয়। এতে মনোযোগ বিক্ষিপ্ততা তৈরি হয়, যা সৃষ্টিশীলতার তুলনায় সমস্যাই বেশি তৈরি করে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার সঙ্গে সঠিক খাবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে

এছাড়া অপ্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখা বাদ দিন। এটা কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় তথ্য ডিলিট করে দেয়ার মতো। নতুন কিছু শেখা (বিদেশী ভাষা), আবিষ্কার করা বা নতুন কিছু চিন্তা করা বুদ্ধিভিত্তিক খেলায় অংশ নেয়াও মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখার আরেকটি ভালো উপায়।

৭. নতুন কিছু শিখুন:
নতুন কোনো কাজ শেখার চেষ্টা করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই যেমন ধরুন আপনি হয়তো কাগজের প্লেন তৈরি করতে জানেন না। সেটা শিখে নিয়ে তৈরি করুন। কিংবা নতুন কোনো কাজ করতে শুরু করুন। স্মৃতিশক্তি এতে বাড়বে।

মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। মানসিক চাপ বাড়লে স্মৃতিশক্তি কমতে শুরু করে। বন্ধু ও পরিচিতজনের সংখ্যা বাড়ান এবং তাদের সঙ্গে গড়ে তুলুন গঠনমূলক সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক।

৮. ভিন্ন পথ অনুসরণ করুন:
একই পথে রোজ বাড়ি না ফিরে একটু অন্য পথে ফিরুন। একঘেঁয়েমি কোনো কাজ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, অফিস কিংবা কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে অন্য কোনো পথে বাড়ি ফিরলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

৯. তথ্যকে সংগঠিত করুন:
বিষয়গুলো লিখুন, জটিল বিষয়গুলোর নোট নিন এবং পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস করুন। চেষ্টা করে এর ব্যাখ্যা বের করুন। অধিকতর জটিল বিষয়গুলোর মৌলিক ধারণার ওপর জোর দিন, বিচ্ছিন্নভাবে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না।

জটিল বিষয়টি অন্যকে নিজের ভাষায় বোঝানোর ক্ষমতা অর্জন করুন। বারবার তথ্যের রিহার্সেল করুন এবং অতিরিক্ত শিখুন। যেদিন বিষয়টি শিখলেন, সেটি আবার ঝালাই করুন এবং মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে আবার ঝালাই করুন।

১০. শারীরিক অনুশীলন ও সঠিক খাবার:
মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতার জন্য শারীরিক অনুশীলন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর এ পর্যায়কে বিলম্বিত করে শারীরিক অনুশীলন। শারীরিক অনুশীলনের ফলে মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায় এবং নার্ভ সেল উৎপাদন বজায় রাখে। এমনকি ছয় মিনিটের শারীরিক অনুশীলনও মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার সঙ্গে সঠিক খাবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি চিনিসমৃদ্ধ খাবার দিলে তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। এ ছাড়া ওজন বাড়লেও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়। অন্যদিকে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার যেমন স্যামন মাছ, আখরোট ও সয়াবিনসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের অবনমন রোধ করে।

১১. ঘুমানোর আগে করণীয়:
রাতে শোয়ার আগে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। মনে করার চেষ্টা করুন সারাদিন কী করলেন। তবে হ্যাঁ, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। নির্ঘুম শরীর অনেকাংশেই মনের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। তাই ঘুম হতে হবে ঠিকঠাক।

প্রতিযোগিতামূলক ও চরম গতিশীলতার এই যুগে কাজ ও জীবনের চাপে পড়ে অনেকেই স্মৃতিশক্তি হারাতে বসেছেন। কর্মব্যস্ত জীবনে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ বটে। এজন্য দরকার সঠিক পন্থা অবলম্বন। তবে একটু সচেতন হলেই আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আপনি অটুট রাখতে পারবেন!

ঔষধ পেতে নিম্নে বর্ণিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

 

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: