আমাদের জীবন অত্যন্ত ব্যস্ত। এই ব্যস্ত জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে দুশ্চিন্তাটা যেন মিলেমিশেই আছে। কিন্তু এটাকে যদি এড়িয়ে চলতে না পারেন তবে মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও দানা বাঁধবে অনেক রোগ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরের কোথায় কেমন ক্ষতি করে দুশ্চিন্তা।
স্নায়ুতন্ত্র
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে আমাদের স্ট্রেস হরমোনগুলো দ্রুত নিঃসৃত হয়। যা আমাদের হার্টবিট ও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত করে। ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দেয়, হাত ও পায়ের রক্ত চলাচলও বেড়ে যায়। এর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব আপনার শিরা-ধমনি, হৃদযন্ত্র, পেশি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পড়বে।
শ্বাস-প্রশ্বাস
যাদের হাঁপানি বা ফুসফুসের রোগ আছে, তাদের জন্য দুশ্চিন্তা মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দুশ্চিন্তার কারণে দ্রুত ও জোরে শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আর তাতেই দেখা দেয় কিছু সমস্যা।
হৃদযন্ত্র
দুশ্চিন্তা আপনার উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার উদ্বেগ স্ট্রেস হরমোনগুলোকে ট্রিগার করে। যা আপনার হৃদস্পন্দন দ্রুত ও হৃৎপিণ্ডে পেশীকে শক্ত করে দেয়। যদি এটি বারবার ঘটে, তবে আপনার রক্তনালীগুলো ফুলে যেতে পারে। যার কারণে ধমনীতে হতে পারে ব্লক।
পরিপাকতন্ত্র
দুশ্চিন্তার পেছনেই যদি মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে, তবে কমে আসতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এতে শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে না।
অতিমাত্রায় টেনশনের ফলে ফ্লু, হারপিস ও অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। একইসঙ্গে এটি আলসার ও কিডনির সমস্যাও তৈরি করে।
দুঃশ্চিন্তা থেকে বাঁচার উপায় কী :
মানসিক চাপ দূর করে মনকে শান্ত করার জন্য মেডিটেশন একটি অত্যন্ত কার্যকরী ব্যায়াম। কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২৫ মিনিট করে টানা ৩ দিন মেডিটেশন করলে তা হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর করতে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
ড. হেফনার বলেন “ইয়োগা, ধ্যান কিংবা তাই-চি ইত্যাদি শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।”
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ইয়োগা করেন তারা তুলনামূলক কম শারীরিক সমস্যা বা প্রদাহে ভোগেন। বিভিন্ন দুরারোগ্য শারীরিক সমস্যার মধ্যে গা-ব্যথা অন্যতম। পরে যা থেকে হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
এ সম্পর্কে ‘টেক্সাস এঅ্যান্ডএম হেল্থ সায়েন্স সেন্টার কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের সহকারী অধ্যাপক জন সিমন্স জুনিয়র বলেন “নিয়মিত দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে অন্যসব ব্যস্ততার কথা ভুলে একান্ত মনে বিশ্রাম শরীরের জন্য ভালো ফল বয়ে আনে।”
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। ছবি: সাকিব রাইন।সবসময় একাকী থাকা মানসিক স্বাস্থ্যে পাশাপাশি হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কখনও হৃদরোগ ধরা না পড়লেও ক্ষতির আশংকা থেকেই যায়।
একটি গবেষনায় দেখা গেছে মানসিক চাপ থেকে সাধারণত মহিলারা একধরনের কণ্ঠনালীর প্রদাহ, হৃদপিণ্ডসক্রান্ত বুকের ব্যাথা এবং অন্যান্য সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে তারা যখন হার্ট-অ্যাটাকের পরে সময়টায় পরিবার বা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত মানসিক সহায়তা পাননা।
তাই একাকী ঘরে বসে না থেকে আজই বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়ে পড়ুন। তবে এক্ষেত্রে প্রকৃত বন্ধু নির্বাচনে সচেতন হতে হবে।
হেফনার এর মতে “আপনার বন্ধুরা যদি স্বার্থপর হয় তবে অনেক বন্ধু থাকলেও তা খুব একটা উপকারী হবে না।”
নির্ভুল হওয়ার চিন্তা বাদ দিন
যারা সাধারনণত “টাইপ এ” চরিত্রের মানে সবসময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চান তারাই মূলত হৃদরোগে বেশি ভোগেন।
হেফনারের মতে এ ধরনের অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে মনোভাব শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিচরিত্রে শত্রুতার মনোভাব তৈরি করে।
তিনি বলেন “টাইপ এ চরিত্রের পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে এধরনের মনোভাব ব্যক্তিমনে অন্যদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ তৈরি করে।”
গবেষনায় দেখা গেছে, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব উচ্চ রক্তচাপ এবং মুটিয়ে যাওয়ার মূল কারণ যা পরে হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই সবসময় ভালো চিন্তা করুন এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কেননা আশাবাদী মনোভাব আপনার হ্রদযন্ত্র রাখবে সুরক্ষিত এবং বিপদমুক্ত।
ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন
মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষনায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।
ডক্টর সিমন্স বলেন “আপনি ভাবতেই পারবেন না মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা থাকলে তা কত দ্রুত এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। তাই নিজের ঘাঁড় থেকে এই আপদ নামিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন সবসসময়।”
এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ক্যথি হেফনার ক্ষমাশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে যা সুরক্ষিত রাখবে হৃদযন্ত্র।
প্রাণ খুলে হাসুন
২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
প্রাণ খুলে হাসুন। ছবি: রয়টার্স।প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামুলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন। আর নিয়মিত ক্যালরি পোড়ানোর মাধ্যমে স্থুলতার হাত থেকে বাঁচা যায় যা কিনা দীর্ঘ সময় ধরে হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত রাখার ভালো একটি উপায়।
নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃদস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।
আপনি যত বেশি হাসবেন, তত বেশি ক্যালরি পুড়বে এবং হৃদযন্ত্র হবে শক্তিশালী।
অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়