কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। গবেষকরা জানান, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাশিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই উপকারী পটাশিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে।
পাকা কলা কিনে আনার ২ দিনের মধ্যেই তা অতিরিক্ত পাকতে শুরু করে। এক্ষেত্রে কলার খোসায় কালো কালো দাগ পড়তে শুরু হয়। অনেকেই আবার অতিরিক্ত পাকা কলা ফেলে দেন।
আসলে কলা অতিরিক্ত পেকে গেলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তবে জানলে অবাক হবেন, খুব সহজ ৫ উপায়েই আপনি পাকা কলা দীর্ঘদিন ভালো রাখতে পারবেন। জেনে নিন পাকা কলা সংরক্ষণের সহজ উপায়-
>> ঘরের তুলনামূলক ঠান্ডা স্থানে রাখুন পাকা কলা। সাধারণত ৫৪ ডিগ্রি ফারেন্টহাইট বা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো থাকে পাকা কলা। কলা ভালো রাখতে তা সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখা প্রয়োজন।
>> অন্যান্য ফলের সঙ্গে পাকা কলা রাখবেন না। ইথাইলিন নিঃসরণ করে এমন ফল যেমন-অ্যাভাকাডো, পিচ, টমেটো, আপেল ও ডুমুর ইত্যাদি থেকে কলা দূরে রাখা প্রয়োজন। এসব ফল থেকে নিঃসৃত গ্যাস থেকে কলা দ্রুত পাকে।
>> ইথিলিন নামক গ্যাসের কারণেই কলা দ্রুত পাকে। তাই কলার বোটা প্লাস্টিক বা খবরের কাগজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখতে পারেন।
>> কলা বেশি পাকতে শুরু করলে তা রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। তাপমাত্রা যত ঠাণ্ডা হবে কলা পাকার গতি ততই ধীর হবে। কলার ওপরের রংয়ের সামান্য পরিবর্তন হলেও ভেতরের স্বাদ ও ঘ্রাণ অপরিবর্তিত থাকবে ফ্রিজে রাখলে।
>> খোসা ছাড়ানো কলার গায়ে যেন কালো দাগ না পড়ে এজন্য এর গায়ে টকজাতীয় ফলের রস ছড়িয়ে দিন। এতে ফলের রংয়ের পরিবর্তন হয় না।
>> পাকা কলা চাইলে রেফ্রিজারেইটরে বরফ করেও রাখতে পারেন। এজন্য কলার খোসা ছড়িয়ে টুকরো করে বরফের ট্রেতে রেফ্রিজারেটরে রাখুন। বরফ করা কলা প্রায় ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
সূত্র: ওয়েল অ্যান্ড গুড
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়