আমরা সবাই কম বেশি আলু পছন্দ করে থাকি। বিভিন্ন তরকারিতে আলু খেতে পছন্দ করি।
আলু শর্করা জাতীয় খাবার। এটি শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও আলুতে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আলুর মতো জনপ্রিয় খাবার খুব কমই আছে। ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য আলু খাওয়া নিষেধ হলেও অন্যান্য বহু রোগের ক্ষেত্রে এটি মহৌষধ।
আলুর মধ্যে উপস্থিত পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি পাচনতন্ত্রের প্রদাহ বা জ্বালা ধরার অনুভূতি থেকে আরাম দেয়। গেঁটে বাত (গাউট) এবং আর্থ্রাইটিসেও উপকার দেয় এর পুষ্টিগুণ।
আলু ফাইবার জাতীয় খাদ্য যা হজমে সহায়তা করে। শিশুদের বলবর্ধক খাদ্য হিসেবে আলু দেওয়া হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও দারুণ কাজ করে আলু।
অনেকের বাড়িতে স্টকে আলু রাখা হয়। তবে, অনেক দিন আলু জমিয়ে রেখে দিলে তার গায়ে অঙ্কুর দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু এই অঙ্কুর গজানো আলু কি খাওয়া যায়? বিজ্ঞান কী বলছে?
আসুন জেনে নেই-
বিশেষজ্ঞদের মতে, আলুতে থাকা সোলানাইন অল্প পরিমাণে শরীরে গেলে বিশেষ সমস্যা হয় না। বড় জোর পেটের গণ্ডগোল হতে পারে। কিন্তু বেশি পরিমাণে গেলে তা আন্ত্রিকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারোর আবার মাথাব্যথা শুরু হয়। তবে, বিপুল পরিমাণে আলু খেলে কেউ কোমায় চলে যেতে পারেন, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
জীব বিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে সোলানাইন গেলে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। নিরীহ আলুই হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আলু গাছ চেষ্টা করে যাতে কোনো পোকা বা জীবাণু আলুর ক্ষতি করতে না পারে। তাই গাছ নিজেই এতে সোলানাইন নামক বিষ তৈরি করে। অনেকেই আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে বাকিটা রান্না করেন। ফলে ওই আলু পেটে গেলেও শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।
আলুতে যাতে অঙ্কুর না জন্মায় এজন্য তা অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়