গুলঞ্চ নামে হয়তো আমরা চিনি না, এটি আমাদের বাড়ির আশেপাশেই ঝোপঝাড়ে ভর্তি থাকে। কিন্তু আমরা চিনি না, জানি না বলেই অবহেলায় অনাদরে পড়ে থাকে। অথচ এই ভেষজটির রয়েছে চমৎকার অনেক ঔষধি গুণ। যা ব্যবহার ও সেবন করে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাই আজ আমরা এর ভেষজ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিবো।
গুলঞ্চ বহুনামে মানুষের কাছে পরিচিত যেমন অমৃত, গুডুস, গিলয়, ইংরেজিতে heart leaf moonseed এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় Tinospora cordifolia।
গুল্মটি অন্য গাছের ওপরে বেয়ে ওঠা লতানো গাছ। কান্ডের উপরিভাগ খসখসে ফাটল যুক্ত। বিস্কুট রং এর চামড়া। পাতা পানপাতার মত হৃদয় আকৃতির এবং লম্বা বোটা যুক্ত। লম্বা সুতার মত অসংখ্য বায়ুবীয় মূল যা ঝুলন্ত কান্ড থেকে মাটি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই গাছে গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল পাকে। পূংকেশর এবং স্ত্রীকেশর ভিন্ন ফুলে থাকে।
শ্রীলংকা, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে পাওয়া যায়।
এ লতায় আছে আশঁ (১৫ – ১৯%), প্রটিন (৩.১%) এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ২৯২.৫৪ ক্যালরি পুষ্টি শক্তি। এ লতায় আরো আছে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ যেমন জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লোরিন, ক্যালশিয়াম, টাইটানিয়াম, ক্রমিয়াম, আয়রন, কোবাল্ট, নিকেল, কপার, ব্রমিন, ষ্ট্রোনশিয়াম এবং পটাশিয়াম।
জানামতে পটাশিয়াম (০.৮৪৫%) যা স্নায়ুবিক শক্তিবৃদ্ধি করে। ক্রমিয়াম (০.০০৬%) শর্করা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। আয়রন (০.২৮%) যা হেমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে এবং ক্যালশিয়াম (০.১৩%) স্নায়ু, হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্তি বৃদ্ধি করে।
এ গাছের রস বেশ তিতা তবে এর মধ্যে আছে এন্টি-অকসিডেন্ট, এন্টিহাইপার গ্লাইসেমিক, এন্টি- নিওপ্লাসটিক, এন্টিডোট, এন্টি-প্লাসমোডিক, এন্টি-হাইপারটিক, এন্টি-এলার্জিক, এন্টি-ইনফ্লামেটরি, এন্টিহাইপার লাই পেডেমিয়া, এন্টি-এষ্ট্রেস সমৃদ্ধ গুনাবলী।
এর মধ্যে আরো আছে এলকালয়েড, ডিটারপিনয়ড, ল্যাকটোনস, ষ্টেরয়েডস, গ্লাইকোসাইডস, এলিফ্যাটিক যৌগ এবং পলিসাকারাইড।
যুগযুগ ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে জন্ডিস, ডায়াবেটিস, আর্থ-রাইটিস, ক্যান্সার, ডেঙ্গুজ্বর, আমাশয়, গনোরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস, চর্মরোগ, রক্তশূন্যতা, ব্রনকাইটিস, এজমা, পাইলস, কিডনি রোগ এবং সাপের বিষের এন্টিডোট হিসাবে ব্যবহার হয়।
ইউনানী ও লোকজ মতে অরুচি, বমন, অগ্নিমান্দ্য, আন্ত্রিকশূল, পিপাসা, অর্শ, মেদাধিক্য, ক্রিমি, হৃদকম্প, জীর্ণজ¦র, বাত, প্লীহা বৃদ্ধি, কামলা, সাধারণ দুর্বলতা, স্তন্যদোষ, গনোরিয়া, কুষ্ঠরোগ, উদরাময়, মস্তিস্কের দুর্বলতা, প্রমেহ, সোরিয়াসিস, শ্লীপদ, ফোঁড়া ঘায়ে অত্যন্ত উপকারী।
সেবনবিধি:
এক চা চামচ ঘন গুলঞ্চ লতার রস দিনে তিনবার এক থেকে তিন মাস সেবন করা যেতে পারে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা