Hypopigmentation বা হালকা রঞ্জকতা: ত্বকের রঙের ভারসাম্যহীনতার একটি সূক্ষ্ম চিত্র

Hypopigmentation বলতে বোঝায় ত্বকের এমন অবস্থা যেখানে স্বাভাবিক রঞ্জকতা (melanin) কমে যায়, ফলে আক্রান্ত অংশটি আশেপাশের ত্বকের তুলনায় হালকা দেখায়। এটি একটি উপসর্গ, রোগ নয়—অর্থাৎ এটি বিভিন্ন চর্মরোগ বা শারীরিক অবস্থার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কখনো এটি সাময়িক, আবার কখনো দীর্ঘস্থায়ী বা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

মেলানিন ও ত্বকের রঙ

মেলানিন হলো ত্বকের রঙ নির্ধারণকারী প্রধান রঞ্জক পদার্থ। এটি ত্বকের গভীরে অবস্থিত মেলানোসাইট নামক কোষে উৎপন্ন হয়। সূর্যের আলো, হরমোন, জিনগত বৈশিষ্ট্য, এবং রোগপ্রক্রিয়া—সবকিছুই মেলানিনের পরিমাণ ও কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। যখন কোনো কারণে মেলানিন উৎপাদন কমে যায় বা মেলানোসাইট ধ্বংস হয়, তখন ত্বকে হালকা দাগ দেখা দেয়।

Hypopigmentation-এর সাধারণ কারণ

১. Post-inflammatory hypopigmentation
কোনো আঘাত, প্রদাহ, বা সংক্রমণের পর ত্বকে হালকা দাগ দেখা দিতে পারে। যেমন: একজিমা, সোরিয়াসিস, বা ফোড়ার পরবর্তী অবস্থা।

২. Tinea versicolor
এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ যা ত্বকে হালকা বা গা dark  দাগ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে ঘামে ভেজা জায়গায়।

৩. Pityriasis alba
শিশুদের মধ্যে সাধারণত দেখা যায়। মুখে বা বাহুতে হালকা, খসখসে দাগ হয়। এটি এক ধরনের হালকা একজিমা।

৪. Vitiligo
অটোইমিউন রোগ, যেখানে মেলানোসাইট ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ত্বকে একেবারে সাদা দাগ দেখা যায়, যা ধীরে ধীরে ছড়াতে পারে।

৫. Chemical exposure বা প্রসাধনীজনিত প্রতিক্রিয়া
কিছু প্রসাধনী, পারফিউম, বা রাসায়নিক পদার্থ ত্বকে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে মেলানিন কমিয়ে দিতে পারে।

৬. Genetic বা জন্মগত কারণ
কিছু শিশুর জন্ম থেকেই ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে রঞ্জকতা কম থাকে। যেমন: Albinism বা Tuberculosis Sclerosis-এর ক্ষেত্রে।

অস্থায়ী বনাম স্থায়ী Hypopigmentation

– অস্থায়ী: প্রদাহ বা সংক্রমণের পর ত্বক নিজে নিজেই পুনরুদ্ধার করতে পারে। সঠিক পরিচর্যা ও চিকিৎসায় রঙ ফিরে আসে।
– স্থায়ী: যদি মেলানোসাইট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে রঙ ফিরে আসা কঠিন। যেমন: Vitiligo বা গভীর আঘাতের ক্ষেত্রে।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

Hypopigmentation-এর কারণ নির্ণয় করতে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা নির্ভর করে মূল কারণের ওপর।

– প্রদাহজনিত হলে: স্টেরয়েড ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার, এবং সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষা
– ছত্রাকজনিত হলে: অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা ওষুধ
– Vitiligo হলে: ফটোথেরাপি, টপিক্যাল ইমিউনোমডুলেটর, বা কসমেটিক কভারেজ
– দীর্ঘস্থায়ী হলে: কসমেটিক পিগমেন্টেশন বা স্কিন গ্রাফটিং

মানসিক ও সামাজিক প্রভাব

যদিও Hypopigmentation শারীরিকভাবে ক্ষতিকর নয়, তবে এটি আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে মুখ, হাত, বা দৃশ্যমান স্থানে হলে সামাজিক অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক সমর্থন ও সচেতনতা জরুরি।

Hypopigmentation একটি সূক্ষ্ম ত্বক পরিবর্তন, যা অনেক সময় রোগের পূর্বাভাসও হতে পারে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা গ্রহণ করাই শ্রেয়। ত্বকের রঙ যেমন বাহ্যিক সৌন্দর্যের অংশ, তেমনি এটি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থারও প্রতিফলন। তাই ত্বকের প্রতি যত্নশীল হওয়া মানেই নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।

যোগাযোগ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

ডিইউএমএস (ঢাকা) | বিএসএস (জা.বি) | এএপিএনএ (ভারত) 

অলটারনেটিভ মেডিসিনে ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা 

সরকারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ৩৫৪৬/এ 

 চিকিৎসা কেন্দ্রের ঠিকানা

সততা প্লাজা, 

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার 

প্লট নং ২৬, গাউছিয়া মডেল টাউন 

রামপুর বাজার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর

প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন

মোবাইল: 01762-240650

সেবাসমূহ :

শ্বেতী রোগ, যৌন রোগ, সোরিয়াসিস, দাদ, একজিমা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, থাইরয়েড, পাইলস-ফিস্টুলা, ডায়াবেটিস, টিউমার, জরায়ু টিউমার, ব্রেস্ট টিউমার, পলিপাস, টনসিল, মেহ প্রমেহ, আঁচিল, ব্রণ, বন্ধ্যাত্বর চিকিৎসা।

রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ডায়াবেট্সি হলে কি করবেন?

শেয়ার করুন
প্রিয় সময় ও চাঁদপুর রিপোর্ট মিডিয়া লিমিটেড.
শেয়ার করুন: