ডায়াবেটিসের ৪ লক্ষণ জেনে নিন

মরণঘাতি রোগ ডায়াবেটিস। এটি অনেক সময় ভেতরে ভেতরে দেখা দিলেও আপনি তা বুঝতে পারেন না। মাঝে মাঝে হয়তো কিছু সাধারণ লক্ষণও প্রকাশ করে। তবে আপনি তা স্বাভাবিক ধরে নিয়ে বিশেষ পাত্তা দেন না। একটা সময় দেরি হয়ে যায়। তখন এটি নিয়ন্ত্রণে আনাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

প্রতিদিনের সাধারণ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে অনেক সময় ডায়াবেটিসের লক্ষণ বুঝতে পারা যায়। তবে সেসব লক্ষণ যে ডায়াবেটিসের কারণেই হয়, এমন নয়। তবু সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে-

ঘুম ভেঙেই তৃষ্ণা

এমন সমস্যা অনেকেরই হতে পারে। সকালে ঘুম ভেঙে উঠতেই প্রবল তৃষ্ণা পেয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম ভাঙার পরপরই পানির তৃষ্ণা পাওয়া হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এটি স্বাভাবিক মনে করে প্রায় সবাই এড়িয়ে যান। যে কারণে এই লক্ষণ অনেক দেরিতে শনাক্ত হয়। তবে সকালের দিকে কিছু লক্ষণ খেয়াল করলে ডায়াবেটিস শনাক্ত করা সহজ হয়। এদিকটায় খেয়াল রাখুন। তবে নিজে নিজেই কোনো রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে থাকবেন না। বরং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সত্যিটা জানুন।

ক্লান্তি

সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগছে? বিশেল করে ঘুম থেকে উঠলে আরও বেশি ক্লান্ত লাগে? সারারাত ঘুমানোর পর সাধারণত ঘুম থেকে উঠলে শরীর সতেজ হওয়ার কথা। এসময় মনও ফুরফুরে থাকার কথা। কিন্তু শরীরে ডায়াবেটিস জায়গা করলে শরীর ক্লান্ত লাগে। ঘুম থেকে উঠতেই ইচ্ছে করে না যেন। এমনটা দেখা দিলে সতর্ক হোন। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

চুলকানি

ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে চুলকানি বেড়ে যাওয়া। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকাতে থাকে। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে গোপন অঙ্গেও চুলকানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ এই চুলকানি। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা এড়িয়ে চলা একদমই ঠিক নয়।

অতিরিক্ত ক্ষুধা

খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধা লাগে? এরকমটা দেখলে সতর্ক হোন। হতে পারে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ভয়ঙ্কর রোগ যখন শরীরে বাসা বাঁধে তখন এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত ক্ষুধা পাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: