

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় অনেকের শরীরেই। তবে তা টের পান না বেশিরভাগ মানুষই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে কঠিন সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বা হাইপোক্যালসেমিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির শরীরে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অত্যধিক কম থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাব অস্টিওপোরোসিস ও অস্টিওপেনিয়ার ঝুঁকিও দ্বিগুণ বাড়ায়।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কেন হয়?
বেশ কয়েকটি কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো দীর্ঘদিন ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করা। এছাড়া বয়স ও জিনের কারণেও ক্যালসিয়ামের অভঅব হতে পারে।
আবার কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, খাদ্যে ভারসাম্যহীনতা, নারীদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ ও উপসর্গগুলো টের পেলে প্রাথমিকভাবে তা নির্ণয় করা সহজ। এতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে এই সমস্যার সমাধান ঘটে।
না হলে কঠিন সব সমস্যা দেখা দিতে পারে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে। এ কারণে সবারই জেনে রাখা উচিত ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণসমূহ-
চরম ক্লান্তি ও দুর্বলতা
ক্লান্তি বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শরীরে ফুটে ওঠে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও চরম ক্লান্তি, অলসতা ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি হালকা মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরার অনুভূতি দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন পেশিতে ক্র্যাম্প
শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হঠাৎ পেশিতে ক্র্যাম্প বা খিঁচুনির ব্যথা অনুভব করতে পারেন। পেশির খিঁচুনি ক্যালসিয়ামের অভাবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এটি ঘুমের সময়ও আঘাত হানতে পারে।
অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপরোসিস
ক্যালসিয়ামের নিম্ন স্তরের অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগও হতে পারে, যাকে ভঙ্গুর হাড়ও বলা হয়। অস্টিওপেনিয়া একটি হাড়ের অবস্থা, যা অস্টিওপোরোসিসের একটি হালকা রূপ। উভয় অবস্থাতেই হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কমতে থাকে। যা হাড়কে দুর্বল করে দেয়।
ত্বকের সমস্যা ও ভঙ্গুর নখ
শুষ্ক, ফ্ল্যাকি ত্বক ও ভঙ্গুর নখ ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। যখন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে তখন ত্বক আরও শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়। এমনকি ত্বকে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে।
হাইপোক্যালসেমিয়া কখনো কখনো সোরিয়াসিস ও একজিমার ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি নখ পাতলা, দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়।
দাঁতের সমস্যা
ক্যালসিয়াম শুধু আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, বরং এটি আমাদের দাঁতের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় ক্যালসিয়াম। অন্যদিকে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ অন্যতম কারণ।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
রক্তে ক্যালসিয়াম স্তর স্বাভাবিক থাকলে হৃদস্পন্দনও নিয়মিত থাকে। আসলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকরে হৃদযন্ত্রে অ্যারিথমিয়াস সৃষ্টি করতে পারে, যা কারও কারও জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। এতে হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ
হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-
বদহজম যেমন বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।
বাম কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
পেটের মাঝখানে ব্যথা
এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।
ঠান্ডা ঘাম
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।
যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
