৫ অভ্যাস বাড়ায় কঠিন রোগের ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিক অনিয়ম কানুন মেনে চলার ওপর মানুষের সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। শরীরের প্রতি অযত্ন থেকেই জন্ম নেয় রোগবালাই। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়মে জীবনকে বাঁধা জরুরি। ব্যস্ততম জীবনে সব নিয়ম সব সময় মানা সম্ভব হয় না। তবে একেবারে সাধারণ কিছু অভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত না করালে বিপদ হতে পারে।

যে অভ্যাসগুলো মারাত্মক কিছু রোগ ডেকে আনতে পারে?

পানি কম খাওয়া

কাজের চাপে পানি খাওয়ার কথা মনেই থাকে না অনেকেরই। কিছুক্ষণ অন্তর পানি খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে পানি খাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। সুস্থ থাকতে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে কঠিন রোগ হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কম ঘুমানো

নিজেকে সুস্থ রাখার আরও একটি ধাপ হলো বেশি করে ঘুমানো। দৌড়ঝাঁপের জীবনে ঘুমই সবচেয়ে কম হয়। কাজের চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে মানসিক অস্থিরতাও ঘুম কম হওয়ার কারণ। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ঘাটতি অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখা, সবই সম্ভব যদি ঘুম ঠিকঠাক হয়।

রাত করে খাবার খাওয়া

সুস্থ থাকতে চিকিৎসকেরা রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে বলেন। এতে হজমও ভালো হয়। গ্যাস-অম্বলের কোনো ভয় থাকে না। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারলে তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। অনেকেরই বাড়ি ফিরতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। রাতের খাবার খেতেও আরও বিলম্ব হয়। রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে তাই ভেতরে ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর।

শরীরচর্চা না করা

নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসনের উপকারিতা বহু। সারা দিনে অন্তত যদি ১০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, তা হলেও সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেরই শরীরচর্চার সঙ্গে একেবারে কোনো সম্পর্ক নেই। জিমে যাওয়া তো দূরের বিষয়, হাঁটাচলাও করেন না অনেকে। শরীরচর্চা না করার ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই।

বাইরের খাবার খাওয়া

আট থেকে আশি, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমবেশি সবারই আছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে জমা হচ্ছে ফ্যাট। বাড়ছে ওজন। স্থূলতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো নানা রোগ।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: