কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকের কাছেই পরিচিত। কারণ বেশিরভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোষ্ঠকাঠিন্য যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তবে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। প্রতিবার মলত্যাগের সময় কষ্ট এমনকী হতে পারে রক্তপাতও। ডিহাইড্রেশন অনুপোযোগী খাবার, কিছু ওষুধ এবং মানসিক চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ত্রিফলা খান তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
ত্রিফলা কেন ব্যবহার করা হয়
ত্রিফলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং ওজন কমাতে সহায়তাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিয়ে থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্যও পরিচিত। ত্রিফলা গুঁড়া হলো তিনটি ভেষজ- আমলকি, হরিতকী এবং বহেরার মিশ্রণ। এই ভেষজগুলো দীর্ঘকাল ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডাঃ বসন্ত লাডের বই, ‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’ অনুসারে, ‘কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সর্বোত্তম আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হলো ত্রিফলা চূর্ণ। তিনটি যৌগ পাচনতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত এবং শক্তিশালী করতে কাজ করে, একটি মৃদু রেচক হিসেবে কাজ করে।’
হরিতকী
ত্রিফলার মধ্যে হরিতকী একটি শক্তিশালী রেচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পাকস্থলীর মধ্যে একটি অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং লুব্রিকেন্ট উভয়ই কাজ করে, কার্যকরভাবে মলকে আলগা করে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমায়।
আমলকি
আমলকিতে পেট ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি পেটের ভেতরের আস্তরণকে প্রশান্তি দেয় এবং শান্ত করে। আমলকি প্রদাহ হ্রাস করে এবং জ্বালা উপশম করে, ফলে এটি পেটে স্বস্তি দেয়। সেইসঙ্গে আমলকি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।
বহেরা
ত্রিফলার আরেকটি অত্যাবশ্যক উপাদান হলো বহেরা। এর আছে প্রাকৃতিক রেচক বৈশিষ্ট্য এবং এতে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। যা কার্যকরভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর পরিপাক এজেন্ট নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধি সহজ করে, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কতটা ত্রিফলা খাওয়া উচিত?
দৈনন্দিন রুটিনে ত্রিফলা যোগ করলে তা হজমের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্রিফলা গুঁড়া তৈরি করার জন্য যথাক্রমে বহেরা, হরিতকী এবং আমলকির ১:২:৩ অনুপাতে নিতে হবে। ত্রিফলা খেতে পারেন এই নিয়মগুলো মেনে-
সরাসরি সেবন
আধা থেকে এক চা চামচ ত্রিফলা চূর্ণ নিন এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে পান করুন।
ত্রিফলা পানি
যদি ত্রিফলার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে ত্রিফলা গুঁড়া সারারাত কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন, বিশেষ করে ভোর ৪:০০ থেকে ৫:০০ এর মধ্যে।
মধু যোগ করুন
আপনার যদি ত্রিফলা এবং পানির স্বাদ ভালো না লাগে, তবে প্রাকৃতিক মিষ্টতা ছড়িয়ে দিতে এক চামচ মধু যোগ করুন।
আদা মেশান
দ্রুত উপশমের জন্য আপনার ত্রিফলা মিশ্রণে কুচি করা আদা যোগ করতে পারেন। এটি পেটের ফোলাভাব প্রতিরোধ করে।
ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি অসাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। তবে এটি মনে রাখা অপরিহার্য যে সমস্যা স্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকার না মেলে তাহলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ
হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-
বদহজম যেমন বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।
বাম কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
পেটের মাঝখানে ব্যথা
এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।
ঠান্ডা ঘাম
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।
যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।