গর্ভধারণ ও মা হওয়া একটি নারীর জীবনে সবচেয়ে সুখের অনুভূতির সৃষ্টি করে। যদিও গর্ভধারণের পরপরই নারীর শরীরে নানা বদল আসে। তখন শরীরে হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
যদিও বমি বা ক্লান্তি গর্ভকালীন সময়ের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। গর্ভে যমজ সন্তান আছে কি না, তা পাকাপাকিভাবে জানার একমাত্র উপায় হলো আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান।
তবে কিছু লক্ষণ দেখে অনেকেই আগাম টের পেতে পারেন, গর্ভে একাধিক ভ্রূণ আছে কি না। জেনে নিন তেমনই ৬ লক্ষণ-
>> গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। হরমোনের ক্ষরণের কারণে বমি ভাব বা বমির প্রবণতা শুরু হয়। গর্ভধারণের ৪ সপ্তাহ পর থেকেই এই লক্ষণ দেখা দেয়। তবে গর্ভবস্থার ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এই সমস্যা যাদের থেকে যায়, তাদের গর্ভে একাধিক ভ্রূণ থাকতে পারে।
>> ক্লান্তি গর্ভাবস্থার অন্যতম লক্ষণ। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না।
যাদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান আছে, তাও ঠিক নয়।
>> এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিয়োনিক গোনাডোট্রোপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় গর্ভাবস্থায়। হোম প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি আছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষা।
রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাদের গর্ভে যমজ সন্তান ছিল, তাদের রক্তে এইচসিজির পরিমাণও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।
>> ৮-১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদস্পন্দন শোনা যায়। রেগুলার চেকআপের সময় চিকিৎসকরা তা ধরতে পারেন। আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়।
> গর্ভধারণ করার ২০ সপ্তাহ পরই নারীর পেট বড় হতে শুরু করে। গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে ২০ সপ্তাহের আগেই পেট বড় হতে শুরু করে। তবে কার পেট ঠিক কোন সময়ে উঁচু হবে তা একেকজনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।
>> গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না, বেশি হলেও ২ কেজি বাড়তে পারে। তারপর থেকে ওজন অনেকটাই বাড়তে থাকে।
তবে একাধিক যমজ সন্তানের মায়ের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাদের তুলনামূলকভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।
হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ
হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-
বদহজম যেমন বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।
বাম কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
পেটের মাঝখানে ব্যথা
এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।
ঠান্ডা ঘাম
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।
যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।