হঠাৎ ওজন বেড়ে কঠিন যেসব রোগের ইঙ্গিত দেয়

বর্তমানে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। আসলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নির্ভর করে বয়স, অসুস্থতা, খাদ্য, হরমোন ও শারীরিক কার্যকলাপের অভাবের কারণে। এসব কারণে কয়েক দিনের ব্যবধানে ওজন কয়েক গ্রাম বা কিলো বাড়তে বা কমতে পারে।

আর এই ওজনের ওঠানামা মাস বা বছর ধরে বাড়তে থাকে। তবে আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে হঠাৎ বা অপ্রত্যাশিত ওজন বেড়ে যাওয়া লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এছাড়া কিছু রোগ আছে যার লক্ষণ হিসেবে ওজন বেড়ে যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রোগ ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে-

হাইপোথাইরয়েডিজম

হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে বিপাক ধীর হয়ে যায়, ফলে শরীর তরল ধরে রাখে। এর ফলে শরীরে চর্বি জমেও ওজন বাড়তে পারে। এছাড়া ক্ষুধা বেড়ে যায় ও অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও বেড়ে যেতে পারে ওজন।

হার্ট ফেইলিউর, কিডনি বা লিভারের রোগ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি বা লিভারের রোগেও শরীরে তরল ধারণ করতে পারে। এর ফলে শরীরের ওজন হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।

কুশিং সিন্ড্রোম

কুশিং সিন্ড্রোম ঘটে যখন শরীর অত্যধিক পরিমাণে কর্টিসল উৎপাদন করে। এটি একটি হরমোন, যা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এই অবস্থায়, মুখ, উপরের পিঠ ও পেটের মতো শরীরের অংশগুলোতে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস)

পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোমে যারা ভুগছেন তাদের মধ্যে ব্যাপক হারে ওজন বাড়তে পারে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধের ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে।

হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে কী করবেন?

হঠাৎ করেই ওজন বাড়তে শুরু করলে ও উপরোক্ত কোনো রোগে ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে। আর ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে হবে। সঠিক খাদ্যাভাস ও শরীরচর্চাই হলো ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

মানসিক চাপ যাদের জন্য হতে পারে বিপজ্জনক

উদ্বেগ ও মানসিক চাপ শারীরিক বিভিন্ন রোগের কার হতে পারে। এ বিষয়ে অনেকেরই জানা আছে, তবে মনের স্বাস্থ্য নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যথা নেই। মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব ফেলে, তা উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণাপত্রে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ডিপ্রেশন অ্যান্ড অ্যাংজাইটি উইথ দ্য অ্যাকুমুলেশন অব ক্রনিক কন্ডিশনস নামক একটি গবেষণাপত্রে এ বিষয়ে বিশদ বিবরণ মিলেছে। বয়স ও লিঙ্গভেদে মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

আমেরিকার মিনেসোটা স্টেটের ৪০ হাজার ৩৬০ জন মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল যথাক্রমে ২০, ৪০ ও ৬০ বছর। বয়স অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয় তাদেরকে।

পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে গঠন করা হয় ৪ শ্রেণি। যেমন- উদ্বেগে ভুগছেন যারা, মানসিক অবসাদগ্রস্ত, যারা দুটি সমস্যাতেই ভুগছেন ও যারা কোনো সমস্যাতেই ভুগছেন না। এভাবেই ক্যাটাগরি করা হয়। এই সমীক্ষার ফল বলছে, যে কোনো বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অন্যদিকে ২০ বছরের বেশি বয়সীরা যদি দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদে ভোগেন তাহলে প্রায় ১৫ রকম গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এই ১৫ রোগের মধ্যে আছে- উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, সিওপিডি, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মতো রোগ।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: