নারীর জরায়ু সাধারণত গর্ভধারণের সময় বড় হয়। এই সময় জরায়ুর আকৃতি তরমুজের আকৃতির পরিমাণ বড় হতে পারে। তবে অনেক সময় জরায়ুর এই বৃদ্ধি কোনো কারণ ছাড়াই হয়ে থাকে। আর সেটা যেকোনো বয়সের নারীদের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সাধারণত এটি খুব চিন্তা করার মতো কিছু নয়। এর জন্য কোনো ওষুধেরও দরকার পড়ে না। তবে, অনেক সময় এটি ক্যানসারের মতো বড় সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই, জরায়ুর এই বড় হওয়াকে খুব স্বাভাবিক বা সহজ কিছুও বলা যায় না। চলুন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক-
লক্ষণগুলো কী?
সাধারণত জরায়ু বড় হয়ে গেলে তার বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ সময় জমাটবাঁধা রক্ত এবং পিরিয়ড ছাড়াও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। তবে অনেক সময় রোগী চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের সমস্যার কথা জানতেই পারেন না। যদি লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে জরায়ু বড় হওয়ার কিছু সাধারন চিহ্ন দেখা যায়। সেগুলো হলো- অস্বাভাবিক পিরিয়ড :
জরায়ু বড় হয়ে গেলে পিরিয়ডের সময় বেড়ে যায়। পিরিয়ড ছাড়াও রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়া, শরীরের রক্তের পরিমাণ কমতে থাকে। মাথা ঘোরা, অবসাদ, হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
ব্যথা :
এক্ষেত্রে একজন নারী নিজের তলপেট, তলপেটের পেছন দিক, পা ইত্যাদি অংশে ব্যথাবোধ করতে পারেন। তবে এই লক্ষণটি যে শুধু জরায়ুর আকৃতি বেড়ে যাওয়ার কারণেই হয়ে থাকে তা নয়।
বমিভাব :
বড় আকৃতির জরায়ু পেটে বেশ বড় প্রভাব রাখে। ফলে রোগীর বমি পেতে পারে। সেই সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ওজন বেড়ে যাওয়া :
আপনার শরীরে, বিশেষ করে তলপেটে যদি ওজন বেড়ে গিয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে এর পেছনে বড় হওয়া জরায়ুর ভূমিকা থাকতে পারে। অবশ্য এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে।
সন্তান জন্মে সমস্যা হওয়া :
যদি আপনি সন্তান ধারণ করতে চান, সেক্ষেত্রে বড় হয়ে যাওয়া জরায়ু আপনার জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। সন্তান ধারণ না করতে পারা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাতের পেছনেও বড় হওয়া জরায়ু ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়াও অন্যান্য কিছু লক্ষণ, এই যেমন-
১। পেট এবং তলপেট ভরা মনে হওয়া ২। যৌনসম্পর্ক স্থাপনের সময় ব্যথাবোধ করা ৩। কোষ্ঠকাঠিন্য ৪। বার বার প্রস্রাবের বেগ চাপা ইত্যাদিও এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।
জরায়ু বড় হওয়ার কারণ কী?
জরায়ুর আকৃতি বড় হওয়ার অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। এই যেমন-
ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডস :
জরায়ুর গায়ে মাঝেমধ্যে কিছু বাড়তি অংশ জন্ম নিতে পারে। এগুলো সাধারণত ৮০ শতাংশ নারীর মধ্যেই থেকে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা সেটা বুঝতে পারেন না। এই ফাইব্রয়েডসের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে জরায়ু বড় হতে পারে।
অ্যাডেনোমায়োসিস :
এক্ষেত্রে জরায়ুর দেয়াল আক্রান্ত হয় এবং সেখান থেকেই রক্তপাত হতে থাকে। লক্ষণগুলো অনেকটা ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডসের মতোই।
জরায়ুর ক্যানসার :
এক্ষেত্রেও একই সমস্যাগুলো দেখা যায়। ব্যথা, রক্তপাত ইত্যাদি থাকলেও, মূলত জরায়ুর ক্যানসার পিরিয়ড হচ্ছে না এমন নারীদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তবে অন্যরাও এক্ষেত্রে পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম :
হরমোনের কারণে হওয়া এই সমস্যায় শুধু রক্তপাত বা ব্যথা নয়, শরীরের ত্বকেও প্রভাব পড়ে। শরীরে পশমের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায়।
জরায়ুর সিস্ট :
পানিতে ভরা জরায়ুর সিস্ট এমনিতে কোনো সমস্যা না করলেও কখনো কখনো জরায়ুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এক্ষেত্রে ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত এবং সন্তান ধারনে সমস্যা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
সমাধান কী?
সাধারণত ব্যথার জন্য ওষুধ এবং রক্তপাত বন্ধের জন্য গর্ভনিরোধক পিল দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা রোগীকে। তবে সমস্যা বেশি বেড়ে গেলে অপারেশনেরও দরকার পড়তে পারে। তবে এই সমস্যাটি ক্যানসারের কারণে হলে পুরো চিকিৎসা পদ্ধতিই বদলে যাবে। এগুলোর মধ্যে আপনার কোনটি হয়েছে? নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের সাথে দ্রুত দেখা করুন। দেরি করলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তাই যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ
হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-
বদহজম যেমন বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।
বাম কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
পেটের মাঝখানে ব্যথা
এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।
ঠান্ডা ঘাম
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।
যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।