একটি সুখী দাম্পত্য জীবনে ওজন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ স্ত্রী মোটা হোক বা চিকন তার সঙ্গে সংসার সুখের হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না!
তবে এক গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন এ বিষয়ক কিছু প্রমাণ। গবেষণা বলছে, স্বামীর চেয়ে স্ত্রী পাতলা বা চিকন হলেই দাম্পত্য জীবন সুখের হয়!
বিভিন্ন দম্পতির উপর গবেষণা চালানোর পর সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে জানা গেছে, স্বামীর চেয়ে যেসব স্ত্রীরা পাতলা, তারা বেশি সুখী।
এক সমীক্ষায়, পুরুষ ও নারী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০০টি ছবি দেওয়া হয়েছিল। ছবিতে থাকা ব্যক্তিটিকে কতটা আকর্ষণীয় মনে করছেন এজন্য নম্বর দিতেও বলা হয়।
সেখানে দেখা যায়, বেশিরভাগ পুরুষেরাই আকর্ষণীয় নারীর ছবিতে বেশি নম্বর দেন। যেখানে নারীদের আরও বৈচিত্র্যময় ফলাফল ছিল।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ পুরুষই আকর্ষণীয় ও চিকন নারীদেরকেই পছন্দ করেন। অন্যদিকে নারীরা স্বাস্থ্যবান ও পেশিবহুল পুরুষদেরকেই বেশি নম্বর দেন।
প্রাচীনকাল থেকেই নারীদের মধ্যে পেশিবহুল ও স্বাস্থ্যবান পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যবান ও লম্বা পুরুষকে আরও শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও নিরাপত্তা দানকারী হিসেবে অবচেতনভাবে নারীরা সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন।
যদিও সমীক্ষায় দেখা গেছে, দাম্পত্য জীবনে সুখের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য, আয়ের স্তর, সামাজিক জীবন ইত্যাদির মতো বিভিন্ন অনেক কারণ জড়িত। তাই ওজন সেক্ষেত্রে তেমন প্রাধান্য না পেলেও বিষয়টি অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের গবেষক আন্দ্রেয়া মেল্টজার বলেছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষ কতটা সুখী তা প্রভাবিত করে এমন শত শত কারণের মধ্যে শরীরের ওজন হলো একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন স্ত্রী তার স্বামীর চেয়ে পাতলা হন কিংবা মোটা এর অর্থ এই নয় যে, তারা দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্ট। এটি একটি গড়পড়তা মাত্র! এর মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে।’
আগের গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রেমিকা বা পাত্রী খুঁজছেন তারা দৃঢ়ভাবে পাতলা অংশীদারদের পছন্দ করেন। ওজন দম্পতিদের মধ্যে কীভাবে প্রভাব ফেলে তা জানতে আরেকটি গবেষণা চালান মেল্টজার ও তার সহকর্মীরা।
তারা ১৬৯ জন নবদম্পতির উপর একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা চালান। যাদের বয়স ৩৫ বছরের কম ছিল। বেশিরভাগ নারীই ছিলেন পাতলা গড়নের।
বিবাহের প্রথম চার বছরের প্রতি ৬ মাস পরপর স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের বৈবাহিক সন্তুষ্টি সম্পর্কে মেইল-ইন সমীক্ষা পূরণ করেন। বিবাহের সময় তাদের উচ্চতা ও ওজন সম্পর্কিত তথ্যও লিপিবদ্ধ করা হয়।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ পুরুষরই ওজন বেশি ছিল, যেখানে নারীদের ওজন স্বাভাবিকভাবে পুরুষের চেয়ে কম ছিল।
এই সমীক্ষার ফলাফলে উঠে আসে, যখন স্বামীর তুলনায় স্ত্রীদের বিএমআই কম ছিল তখন স্বামীরা বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন। এমনকি যেসব স্বামীর ওজন স্ত্রীদের চেয়ে বেশি তারা দাম্পত্য জীবনে বেশ সুখী।
গবেষণাটি ২০১১ সালের জুলাই মাসে সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্সে প্রকাশিত হয়।
হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ
হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।
হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-
বদহজম যেমন বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।
বাম কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
পেটের মাঝখানে ব্যথা
এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।
ঠান্ডা ঘাম
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।
যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।