হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে কি খাবেন জেনে নিন

উচ্চ রক্তচাপ যাকে আমরা হাইপ্রেসার বলে থাকি তা আসলে কি? একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হাইপারটেনশন (Hypertension)।

HTN বা HPN, হলো এমন একটি রোগ যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে থাকে। হাইপারটেনশনকে প্রাথমিক (আবশ্যিক) হাইপারটেনশন অথবা গৌণ হাইপারটেনশনে শ্রেণীভুক্ত। প্রায় ৯০–৯৫% ভাগ ক্ষেত্রেই “প্রাথমিক হাইপারটেনশন” বলে যাকে চিহ্নিত করা হয়।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় এখন অনেক কমবয়সীরাও ভোগেন। এর একমাত্র কারণ হলো অনিয়মিত জীবনধারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজেই। এক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা জরুরি।

এখন আমরা জেনে নিবো কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে সাধারণ কিছু খাবার খেয়েই কমানো যায় উচ্চ রক্তচাপ। তাই জেনে নিন কোন ৪ খাবার খেয়ে বশে আনবেন রক্তচাপ-

সবুজ শাক সবজি

পালং শাক, কেল ও লেটুস জাতীয় খাবারে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। পটাসিয়াম কিডনিকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

কলা

কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও পটাসিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলায় থাকা পটাসিয়াম খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বিটরুট

নাইট্রিক অক্সাইড সমৃদ্ধ এই সবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। রক্তনালিগুলো প্রসারিত রাখতে কাজ করে এই সবজির পুষ্টি উপাদান।

রসুন

সবার রান্নাঘরেই রসুন থাকে। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল খাবার, যা পেশি শিথিল করে।

এমনকি রক্তনালিগুলোকেও প্রসারিত করে এই ভেষজ উপাদান। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে সহজেই।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এছাড়া আর কী ঘরোয়া খাবার খেতে পারেন?
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর শাকসবজি যেমন পালংশাক, ফুলকপি, শসা, লাউ, মটরশুঁটি, কলমি শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, কুমড়া, বেগুন ইত্যাদি রাখতে হবে।
পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এক কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন।

আসুন এবার আমরা জেনে নেবো কি কি কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়?

এক. রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ।
দুই. খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ করা।
তিন. অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় মদ্যপান করা।
চার. শরীরের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি।
পাঁচ. ধূমপান।
ছয়. পর্যাপ্ত শাকসবজি এবং ফলমূল না খাওয়া।
সাত. রাত্রে পর্যাপ্ত না ঘুমোনো (৬-৮ ঘন্টা)।
আট. অতিরিক্ত চা , কফি বা ক্যাফিন-যুক্ত পানীয় সেবন।
নয়. স্থুলতা।
দশ. বংশগত।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: