দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে সব পুরুষই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনো না কোনো এক সময় এই অভিযোগটা করেন, যে বিয়ের কিছু বছর পরেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়। একদিনে নিঃশেষ হয়ে যায় না; নিঃশেষ হতে থাকে ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ।

বিশেষ করে স্বামীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীদের প্রতি। আবার স্ত্রীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্বামীর প্রতি। আর ফলাফল হয় পরকীয়া! সংসার ভাঙুক বা না ভাঙুক, সম্পর্ক ঠিকই ভাঙে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এমন কেন হয়? দুটো মানুষ পরস্পরকে খুব ভালোবেসে বিয়ে করলেও কেন হারিয়ে যায় আকর্ষণ? কেন হারিয়ে যায় স্বাভাবিক মিলন করার মন মানসিকতা আর কিভাবেই তা ফিরে পাওয়া যায়?

অধিক সময় সহবাস করার পদ্ধতি :

ফরাসি যৌন বিজ্ঞানীরা যৌনক্ষমতা কে দুটি সুনির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করেছেন। তারা এক শ্রেণিকে বলেছেন ‘Je fais quand je veux’ অর্থাৎ আমার যখন ইচ্ছা তখনই আমি যৌন মিলন এ অংশগ্রহণ করতে পারি। দ্বিতীয় শ্রেণী বলেছেন ‘Je fais quand je peux’- আমি মিলনে অংশগ্রহণ করতে পারি যখন আমার মধ্যে যৌনক্ষমতা বজায় থাকে।

সাধারণত :

১৬ থেকে ৩৮ বছর বয়সের মধ্যে, কখনো কখনো ৪০-৪৫ বছর বয়স পর্যন্তও একজন পুরুষ দিন বা রাত্রি যে কোন সময়, যখনই ইচ্ছা যৌন মিলন করতে প্রবৃত্ত হতে পারেন। এই যৌন মিলন করার জন্য তিনি ইচ্ছা করলে রতিলীলার দ্বারা নিজেকে উত্তেজিত করে নিতে পারেন অথবা রতিলীলাকে বাদও দিতে পারেন।

 

এই মিলনে তার স্ত্রী সঙ্গীর ইচ্ছা বা আধা ইচ্ছাও থাকতে পারে এবং যে কোন অবস্থায়, যে কোনো ভঙ্গিতে এবং যে কোন অবস্থানে চাইলে এরা মিলন করতে পারেন। চল্লিশ বা পঞ্চাশোরধ ব্যক্তিরা মিলনের সময় এবং সযন্তে নির্বাচন করে নিলেও সব সময় মিলনে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। বয়স যত বাড়তে থাকে, যৌন মিলনের বিরতির (frequency) সময় ততই দীর্ঘ হতে থাকে। এই বয়সে মিলনে প্রবৃত্ত হতে গেলে এরা রতিলীলার দ্বারা তীব্রভাবে উত্তেজনা লাভের প্রয়োজন অনুভব করেন। শুধু রতিলীলায় অভিজ্ঞ, ধৈর্যশীল এবং তীব্র যৌন আকর্ষণ সম্পন্ন ব্যক্তিরা।

 

মিলন সঙ্গীর এইসব দৈহিক এবং চরিত্রগুণ এই বয়সের পুরুষের যৌন মিলনের অন্যতম প্রধান সহায়ক। এমন বহু বয়স্ক আছেন, যারা অপরিচিত এবং অসহযোগী নারীর সান্নিধ্যে এলে যৌন অক্ষম হয়ে যান, কিন্তু স্ত্রীর কাছে এলে মিলনে সহজে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। আবার স্ত্রীর বয়স বেশী হওয়ার জন্য অথবা কোন অসুখ-বিসুখের ফলে দৈহিক স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া এইসব স্বামীরা যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে যান। পুরুষের বেশী বয়সে যৌন অক্ষম হয়ে যাওয়ার মূলে যেসব কারণ আছে, এই কারণটি তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

সাধারণত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন। তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।

চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা:

এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাস্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)।

চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন। এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে। স্কুইজ পদ্ধতি একবার মিলন করার সময় আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

সংকোচন (টেনসিং) :

এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারণা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিঁচুনি দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হলো এখানে আমরা খিঁচুনি প্রয়োগ করব- চাপ নয়। মিলন কালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কার্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচণ্ড শক্তিতে খিঁচে ধরুন।

এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিঁচুনি দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন। সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামি হবে।

বিরাম (টিজিং / পজ অ্যান্ড প্লে):

এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারণত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলন কালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌঁছলে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভেতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যত্‍ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।

বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের ওপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুণাগুণ জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে। বিষয়গুলো প্রতিটা পুরুষেরই জেনে রাখা দরকার। বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাতে আপনারা দু’জনেই লাভবান হবেন। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারণ সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে তার নিজেরই লাভবান হওয়া।

মিলন অধিক সময় স্থায়ী করার মানসিক এবং শারিরীক পদ্ধতি :

সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা। নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা।

অনেক ক্ষেত্রে কুৎসিতও! বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে। অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুণ মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে।

মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন:

একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।

মনের যৌন উত্তেজনা কম করুন:

প্রত্যেক যুবক যৌবনবতী নারীর দিকে তাকাতে বা তার সঙ্গে মিশতে ভালবাসে। এই তাকানোর মধ্যে একপ্রকার যৌন উত্তেজনা মনে জাগে যদি কোন সুন্দরী নারীর দেহের কিছুটা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে উত্তেজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আধুনিককালে মেয়েরা, যুবতীরা যে ভাবে দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ অনাবৃত রেখে জামাকাপড় পরে তাতে পুরুষের যৌন উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সিনেমায়, সিনেমার বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনে, স্নানের ঘাটে অথবা সমুদ্রতীরে, বিজ্ঞাপনে অর্ধ নগ্ন নারীদেহ নিয়তই পুরুষের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।

এই উত্তেজনার ক্রমাগত আঘাত পুরুষের স্নায়ুচক্রের অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়। তাই, পুরুষ যখন কোন জীবন্ত নারীর নগ্নদেহের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে বা খারাপ ছবি দেখে কিংবা চটি গল্প পড়ে-তখন তার মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, সেই উত্তেজনাই তার স্নায়ুদের বিকল এবং অনুভূতিহীন করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু পুরুষ মাত্রকেই ‘চরম উত্তেজনা’ এবং ‘মাত্রামতো উত্তেজনা’ এর মাঝে সীমারেখা টানতে শিখতে হবে। মনে উত্তেজনার শিহরণ যত কম হবে পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা তত বেশী শক্তিশালী হবে। এমন অনেক অবিবাহিত বা সদ্যবিবাহিত যুবক আছেন-যারা যৌন জীবনের সঙ্গিনীর কাছে গেলেই লিঙ্গ থেকে কামরস ক্ষরণ হতে শুরু করে-তারপর সঙ্গিনী যখন মিলন কামনা করে তখন লিঙ্গে উত্তেজনা হয় না।

বাইরের টেনশন ঘরে নয়:

আপনার আর্থিক দুঃশ্চিন্তা, চাকুরী বা ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্বিগ্ন মনোভাব, সংসারের অন্যত্র সংঘটিত কোন কলহজনিত অশান্তি, আপনার দাম্পত্যশয্যায় বয়ে নিয়ে যাবেন না। ঐ দ্বন্দ্ব কহলজাত যে উদ্বিগ্ন মনোভাব, তা পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা স্তিমিত করে দেয়, পুরুষকে উত্তেজনাহীন করে দেয়। আজকের পৃথিবীতে এত বেশী ব্লাডপ্রেসারের আমদানীর মূলও মানসিক উদ্বেগ। মানসিক উদ্বেগ দেহের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। দেহের প্রত্যেক বিভাগ এই উদ্বেগের জন্য আহত হয়।

পাকস্থলী এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আর যেসব স্নায়ু যৌনাঙ্গকে পরিচালনা করে তারা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মধ্যবয়সী পুরুষ এই জাতের মানসিক উদ্বেগের জন্য যৌনজীবনে নিরুত্‍সাহ হয়ে পড়েন-শেষে একেবারে যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। ধরুন, আপনি যদি কোন রাত্রিতে শুনতে পান যে, আপনার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা বন্ধু মারা গেছে, কি আপনারা এক নিদারুণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেদিন কি আপনার যৌন মিলন করার প্রবৃত্ত হতে প্রেরণা জাগে? নিশ্চয়ই না। যেদিন আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোন কারণে ভীষণ মনোমালিন্য হয়-সেদিন কি আপনার রতিমিলনে প্রবৃত্ত হতে ইচ্ছা হয়? নিশ্চয়ই না। অতএব মানসিক উদ্বেগকে যথাসম্ভব আপনার দাম্পত্যশয্যা থেকে দূরে রাখুন।

ধূমপান মদ্যপান বাদ দিন:

যারা ধূমপান করেন, তারা বোধ হয় লক্ষ্য করেছেন, যে মানসিক অশান্তি বা উদ্বেগের সময় মানুষ খুব বেশী ধূমপান করে। ধূমপান করলে শরীরে যে নিকোটিনজাত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুর উপরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাতে সাময়িক উদ্বেগ বাড়ে এবং স্নায়ুবিক দৌর্বল্য আধিক্য লাভ করে। তামাকের নিকোটিন মানুষের রক্তকোষের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

রক্তের কোষগুলি এর প্রভাবে একটার গায়ে আর একটা আটকে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। যৌন মিলন করার জন্য অবশ্যই রক্ত প্রবাহের সঠিক গতি এবং চলাচল ক্রিয়া অত্যন্ত দরকারী। আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যমান মানুষের স্নায়ু এবং অনুভূতি শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। মানুষ যখন মদের প্রভাবে থাকে, তখন তাঁর পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব এবং তা সে নিজের অবচেতন মনের ইচ্ছার দ্বারা করে। তখন মনের যেমন কোন শক্তি থাকে না, দেহেরও তেমনি শক্তি থাকে না। মদ মানুষের অনুভূতিশক্তি এবং মিলন করার শক্তিকে এইভাবে ধ্বংস করে দেয়।

স্নায়ুর প্রক্ষেপ নিবৃত্তকারী ওষুধ এড়িয়ে চলুন:

আধুনিক যুগের জীবনযাত্রার অন্যতম প্রধান সমস্যা মানসিক দ্বন্দ্ব এবং উদ্বেগ। এই উদ্বেগ মানুষকে এত বিব্রত করে তোলে যে, এর নিবৃত্তির জন্য মানুষ চিকিত্‍সকের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়। কোটি কোটি উদ্বিগ্ন মানুষের জন্য তাই চিকিত্‍সাবিজ্ঞান আবিস্কার করেছে হাজার হাজার মানসিক উদ্বেগ শান্ত করার ওষুধ। সারা বিশ্বে এইসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বিড়ি সিগারেটের মতো। এইসব ওষুধ ব্যবহার করলে স্নায়ু এবং গ্রন্থিগুলি অনুভূতিশক্তি হারাতে থাকে। এরপর এমন এক সময় আসে যখন যৌন মিলন করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে:

সাধারণ ভাবে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মঠ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। দেহের স্নায়ুচক্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন ই । কারণ, পুরুষের মিলন অক্ষমতার মূলে থাকে স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা বা অসুস্থতা। প্রোটিন খাদ্য দেহকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে। যৌনমিলনে দৈহিক শক্তিরও বেশ একটা প্রয়োজনীয় স্থান আছে। খাদ্যের অভাবে, পুষ্টির অভাবে দেহ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রন্থিরা ঠিকমতো পুষ্টি পায় না-ফলে যৌনমিলনে যেসব জিনিস দেহের দরকার তারা নিস্তেজ থাকায় কাজ করে না বলেই যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়।

পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসে ব্যায়ম করা দরকার:

যৌনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য দেহের মাংসপেশীর স্বাস্থ্য যেমন দরকারী, তেমনি দরকার দেহের মধ্যে রক্তের সঠিক সঞ্চালন। আর এই দুইটির একটির জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম-অন্যটির জন্য মুক্ত বাতাস। ব্যায়াম করলে দেহের মাংসপেশীরা উপকৃত হবে, ঠিকমতো গড়ে উঠবে এবং বৃদ্ধি পাবে। আর মুক্ত বাতাস থেকে অক্সিজেন পেলে রক্ত চলাচল সঠিক হবে। যৌন উত্তেজনা হলে দেহের পেশীগুলি যেমন স্ক্রিয় হয়, তেমন রক্ত চলাচলের গতিও বৃদ্ধি পায়। চাইলে যোগ ব্যায়াম ও করতে পারেন।

প্রয়োজন সহযোগিতার:

পুরুষের যৌন মিলন করার অক্ষমতা নারীর সহযোগিতা পেলে অনেকাংশে দূর হয়। যৌন জীবনের সঙ্গিনী যদি পুরুষকে সাহায্যে করে তাহলে যৌন মিলন অক্ষম পুরুষও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। যৌন মিলন যে সঙ্গীর সঙ্গেই হোক না কেন, মনকে দৃঢ় রাখতে হবে, কোন প্রকার ভীতি সংশয় বা সন্দেহ মনে দেখা দিলে যৌন অক্ষমতা অনিবার্য হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেক পুরুষ স্বল্প সময়ের মধ্যেই বীর্যপাত করেন, যার ফলে নারী অতৃপ্ত থেকে যায়। তাই মিলন করার সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।

পরিশেষে যৌন অক্ষমের মূলে যেমন মানসিক কাজ করে, তেমনি দৈহিক কারণও আছে। যদি কেউ যৌন অক্ষমতার দরুণ যৌনজীবনে বিপর্যস্ত হতে বসেন, তবে তার উচিত্‍ কোন ভাল চিকিৎসককে দিয়ে তার যৌনাঙ্গ ও প্রষ্টেট সংক্রান্ত অঙ্গগুলি পরীক্ষা করা এবং মানসিক কারণটি খুঁজে বের করা। রতিবিরতিতে ব্রহ্মচর্য লাভ হতে পারে কিন্তু যৌন জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের যৌন জীবন যৌবনের যত প্রথমে শুরু হয় তারা তত বেশি দিন যৌন জীবনে সক্রিয় থাকেন। অবশ্য এর জন্য দেহ এবং মনের যত্ন নিতে হবে, পরিত্যাগ করতে হবে অসুস্থ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।

সহবাসে পুরুষের অধিক সময় নেওয়া পুরুষত্বের মুল যোগ্যতা হিসাবে গণ্য হয়। যেকোন পুরুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মিলনের নানাবিধ উপায় রপ্ত করে থাকে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষরা সাধারণত বেশি সময় নিয়ে মিলন করতে পারে না। তবে, তারা খুব অল্প সময় ব্যবধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে, মিলনে পুরুষ তত বেশি সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যবধানও বাড়তে থাকে।

অনেক সময় পুরুষের সেক্সুয়াল নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সমস্ত সমস্যা সমাধানে সদ্য আবিস্কৃত নাইট কিং ও নাইট কিং গোল্ড নারী ও পুরুষের যৌন সমস্যায় বেশ কার্যকর।

নাইট কিং ও নাইট কিং গোল্ড ব্যবহারে পুরুষ দীর্ঘক্ষণ সহবাস বা যৌন মিলন করতে পারে। যাদের বিভিন্ন কারণে পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে গেছে, পেনিস বা লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে গেছে তারা নাইট কিং ও নাইট কিং গোল্ড ব্যবহার করে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এটি ব্যবহারে বেশি সময় ধরে যৌন মিলন করা যায়। এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন একটি ঔষধ। এছাড়াও যৌন সমস্যার সমাধানে রয়েছে ভাইটাল পাওয়ার সিরাপ নামক একটি ইউনানী ঔষধ। যা ব্যবহারে পুরুষ ও নারীর স্পার্ম বা বীর্য উৎপন্ন হয় প্রচুর পরিমাণে। এতে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বন্ধাত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

‘নাইট কিং’ ব্যবহারে আপনার সকল প্রকার যৌন সমস্যার সমাধান হবে। যাদের সহবাসের আগে বা যে কোনো সময় হাঁটা চলা করার সময় সেক্স বের হয়ে যায়। সহবাসের আগে আপনার পেনিস নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই সকল সমস্যায় ‘নাইট কিং’ বেশ কাজ করে। এটি ব্যবহারে পেনিস খুব দ্রুত উত্থান ঘটে। সেক্সুয়াল সমস্যা সমস্যা দূর করে। অনেকে হস্তমৈথুন করতে করতে আপনার পেনিসকে নিস্তেজ করে ফেলেছেন। ‘নাইট কিং’ ব্যবহারে তা আবার আগের মতোই সবল ও সুদৃঢ় হবে।এ হার্বাল ঔষধে একজন নারী কিংবা এক পুরুষের সঙ্গে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেওয়া যায় এবং মিলনে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারণ, এতে পেনিসে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং পেনিসকে দীর্ঘক্ষণ শক্ত ও মজুবত রাখে।

প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

Leave a Reply