অনেকেরই বেশিরভাগ সময় নাকের প্রদাহ লেগেই থাকে। এ জন্য কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করে থাকেন। এবার জেনে নিন নাকের প্রদাহ কি?
অ্যালার্জিজনিত রাইনাইটিস হচ্ছে নাকের এক ধরনের প্রদাহ যার ফলে শরীরের অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়। অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি ঘটায় এমন উপাদান ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির মাঝে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এই উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোলেন বা পরাগরেণু, ঘাস, ধূলাবালি, প্রাণীর লোম, খুশকি, ছত্রাক ইত্যাদি
নাকের অ্যালার্জি : এটি অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধূলাবালি, ঠাণ্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ। রোগটি স্থায়ীভাবে নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ওষুধের ব্যবহার ও ঠাণ্ডা-অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া :
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অনেক কারণ আছে। ছোটদের ক্ষেত্রে সাধারণত নাক খোটার কারণে নাকে ক্ষত হয়ে রক্তপাত হয়। বড়দের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। শীতে নাকের ভেতরটা শুকিয়ে চামড়া উঠে যায় এবং তখন নাকের ঝিল্লি ছিঁড়ে গিয়ে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
নাকের পলিপ :
সাধারণত দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জি থাকলে এমনটি হয়ে থাকে। নাকের মধ্যে মিউকাস ঝিল্লিগুলো ফুলে আঙুরের দানার মতো বিভিন্ন আয়তনের হয়ে থাকে। নাকের পলিপে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যার জন্য অপারেশন করার দরকার পড়ে। সনাতন পদ্ধতির অপারেশনে আবার পলিপ দেখা দিতে পারে। আধুনিক অ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে রোগটি নিরাময়ে সাফল্য এসেছে। প্রাথমিক অবস্থায় স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহার করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সাইনাসের ইনফেকশন :
সাধারণত নাকে অ্যালার্জি ও পলিপ, নাকের হাড় বাঁকা ইত্যাদি কারণে নাকের দুই পাশের ম্যাক্সিলারি সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে মাথাব্যথাই মূল উপসর্গ। সাইনাসের একটি এক্স-রে করলেই রোগ সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ ব্যবহার, পরবর্তী সময়ে সাইনাস ওয়াশ এবং শেষ পর্যায়ে অ্যান্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করে রোগটি সারানো যায়। শীতে বারবার নাকের মধ্যে প্রদাহ হয়, নাক বন্ধ থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন সহজেই হতে পারে।
মধ্যকর্ণে প্রদাহ :
এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির প্রদাহ, টনসিলের ইনফেকশন, এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদি থেকে এই ইনফেকশন হয়ে থাকে। শীতে এ উপসর্গগুলো ব্যাপকভাবে দেখা দেয়ার কারণে হঠাৎ করেই মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হতে পারে। এই রোগে কানে বেশ ব্যথা হয়, কান বন্ধ মনে হয়। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না করলে কানের পর্দা ফুটো হয়ে রোগটি কানপাকা রোগে রূপ নিতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক ও নাকের ড্রপসহ অন্যান্য ওষুধ হচ্ছে এই রোগের চিকিৎসা।
মধ্যকর্ণে পানির মতো তরল জমা :
এই রোগের কারণও উপসর্গ অনেকটা মধ্যকর্ণে প্রদাহের মতোই। তবে উপসর্গগুলোর তীব্রতা অনেক কম থাকে। শীতের সময় শিশুদের ঘনঘন সর্দি লাগে। বারবার সর্দি লাগার কারণে কিংবা এডিনয়েড সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নাক দিয়ে শ্লেষা ঝরার পরিণতিতে এই রোগ হয়ে থাকে। শীতে এর প্রকোপ বেড়ে যায়।
নাকের পেছনের অংশের সঙ্গে কানের যোগাযোগ রক্ষাকারী নালিটির নাকের প্রান্তবর্তী মুখটি যদি ঠাণ্ডা-সর্দি কিংবা এডিনয়েডের বৃদ্ধির জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তখন মধ্যকর্ণে তরল পদার্থ জমে যায়। অনেক সময় নালির মুখটি বন্ধ হয়ে ভেতরে নিন্মচাপের সৃষ্টি হয়।
তাতে কান বন্ধ মনে হয়। কানের মধ্যে ফরফর শব্দ করে। সাধারণ ওষুধেই এ রোগ সারে। অনেক সময় ছোট্ট অপারেশন করে মধ্যকর্ণে জমে থাকা পানি বের করে দিতে হয়। এডিনয়েড বড় থাকলে শিশুদের ক্ষেত্রে তা অপারেশন করিয়ে নিতে হয়।
এডিনয়েড ও টনসিলের ইনফেকশন :
শীতে গলাব্যথা হয় অনেকেরই। এই গলাব্যথার জন্য মূলত দায়ী হচ্ছে টনসিলের ইনফেকশন। এটি মূলত শিশুদের সমস্যা। বড়দেরও হয়। টনসিলের সমস্যায় গলাব্যথা, খেতে গেলে ব্যথা, সামান্য জ্বর ইত্যাদি থাকে। প্রথমত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বারবার হতে থাকলে সম্যক জটিলতা ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে টনসিল অপারেশন করিয়ে নিতে হয়। সারা পৃথিবীতে শিশুদের যত অপারেশন হয়, তার মধ্যে টনসিল অপারেশনের অবস্থান সবার শীর্ষে।
নাকের ছিদ্রের পেছন দিকে যে অঞ্চলটি রয়েছে, সেখানে এই এডিনয়েড নামক লসিকা গ্রন্থির অবস্থান। এটি অনেক সময় বড় হয়ে নাক আংশিক বন্ধ করে দেয়, ফলে নাক দিয়ে অধিকাংশ সময়ই সর্দি ঝরে। কানের সঙ্গে নাকের পেছনের অংশের যোগাযোগ রক্ষাকারী টিউবটির মুখও আংশিকভাবে বন্ধ থাকে। ফলে কানও বন্ধ থাকে। কানের মধ্যে পানির মতো তরল জমে কান ব্যথা করে।
এডিনয়েড বড় হলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে জেগে ওঠে। রোগীর চেহারা ক্রমশ হাবাগোবা হয়ে পড়ে। অনেক অভিভাবকই এ সমস্যাটির ফলে সৃষ্ট ক্ষতি অনুধাবন করেন না। ফলে শিশুর অনেক ক্ষতি হয়। অপারেশনই হচ্ছে এর একমাত্র চিকিৎসা।
নাক, কান ও গলার এই অসুখের ঝামেলা এড়াতে শীত থেকে রক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে শীতবস্ত্র-গলাবন্ধনী, মাথা ঢেকে রাখা, হাত-পায়ে মোজা পরা, ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে সকালে হাত-মুখ ধোয়ায় এবং গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। এত প্রস্তুতির পরও যদি অসুস্থতা পেয়েই বসে, তখন পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের।
প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়