প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
থাইরয়েডের সমস্যা বেড়েই চলছে। ফলে এই রোগের সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু আপনার যে থাইরয়েডের সমস্যা হয়েছে, কীভাবে বুঝবেন? এসব নিয়েই আজকের আলোচনা-
সাধারণত দুই ধরনের থাইরয়েড দেখা যায়। হাইপোথাইরয়েড ও হাইপারথাইরয়েড। হাইপোথাইরয়েডের ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক দেখানো, ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা ও ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা যায়।
অপরদিকে হাইপারথাইরয়েডে ওজন হঠাৎ করে কমে যায়। এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য, গরম সহ্য করতে না পারা, অবসাদ ও ঋতুস্রাব কম হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
থাইরয়েড হল আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি যা মেটাবোলিজম, হৃদযন্ত্রের কাজ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, মস্তিষ্কের বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, অস্টিওপোরোসিস, কিডনি-লিভারের সমস্যা, ভুলে যাওয়ার মতো নানা শারীরিক জটিলতা দেখা যেতে পারে। তাই শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করুন।
বেশ কিছু স্বীকৃত লক্ষণ রয়েছে, যা থাকলে আপনার থাইরয়েডের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চলুন তাহলে লক্ষণগুলো জেনে নিই-
১। থাইরয়েড থাকলে সকালে সারা শরীরে একটা আড়ষ্টতা থাকে। শরীর কিছুটা ভারীও লাগে। কোনও কাজ করতে ইচ্ছে হয় না। প্রায় সব সময়ই ক্লান্ত থাকে। যদি এমনটা নিয়মিত হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২। অল্পদিনের মধ্যে শরীরে হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়াও থাইরয়েডের লক্ষণ। এরকম হলে সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৩। থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। সব সময় একটা খিটখিটে ভাবও থেকে যায়। এমনকি, নখও খুব বেশি পরিমাণে ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৪। গলার সামনে দিকে মাঝখানে, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে, সেখানে কোনও ধরনের ফোলা ভাব থাকলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৫। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা দেখা যায়। খুব বেশিদিন ধরে বেশি বেশি ঋতুস্রাব হওয়া বা ১-২ দিনের মধ্যে হঠাৎ করে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়াও থাইরয়েডের লক্ষণ।
৬। থাইরয়েডের ফলে তাপমাত্রার প্রতি সহনশীলতা কমে যায়। তাপমাত্রা সামান্য কমলেই বেশি ঠাণ্ডা লাগে আবার সামান্য বেড়ে গেলেই অসহ্য গরম লাগে এবং অতিরিক্ত ঘাম হয়।
৭। প্রায়ই পেটখারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কিন্তু থাইরয়েডের লক্ষণ।
কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে থাইরয়েড সমস্যার উপশম হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি-
১. প্রথমেই বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড (এক ধরনের কৃত্রিম খাবার যাতে চর্বি, লবণ, কার্বনেটসহ ক্ষতিকারক উপাদান বেশি থাকে) পরিহার করতে হবে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং নিয়মিত এগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
২. অগোছালো জীবনযাপন পরিহার জীবনযাত্রা ঠিক করতে হবে। বর্তমানে এত এত শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এটি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি কমাতে ও শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
৩. খাওয়ার সময় মনোযোগ দিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খেলে তা থাইরয়েড এবং মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে। তাই খাওয়ার সময় কখনও তাড়াহুড়ো না করে, সময় নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড গ্রন্থি বিশেষ ভূমিকা পালন করে, সে জন্য সময় নিয়ে খাবার চিবিয়ে খেলে তা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৪. গবেষকেরা বলেন, কিছু শাকসবজি আছে যেমন, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ফুলকপি ইত্যাদি এগুলো কাঁচা অবস্থায় খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো কাচা খেলে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ ব্যাহত হয়ে থাকে এবং থাইরয়েড গ্রন্থির ভারসাম্য নষ্ট হয়। একারনে এ সবজি গুলো কাঁচা অবস্থায় বা স্যালাদ হিসেবে না খেয়ে রান্না করে খেতে হবে।
৫. নারকেল তেল গরম না করে ব্যবহার করলে তা ওজন কমাতে এবং বিপাকীয় ক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে যে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তা থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক রাখতেও এই তেল অনেক কার্যকরি।
৬. হরমোন উৎপাদনের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অনেক উপকারী। এতে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয়। এ ছাড়া এটি শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বের করে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
৭. আদায় বিভিন্ন রকম খনিজ যেমন- পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। তাই এটি থাইরয়েডের সমস্যার জন্য অনেক কার্যকর। থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আদা চা পান করা অনেক উপকারী।
৮. থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন বি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই যেগুলো খাবারে এই ভিটামিন বেশি থাকে যেমন, ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, বাদাম এগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তভুক্ত করতে হবে যাতে এগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সরবরাহ করতে পারে।
৯. ভিটামিন ডি এর অভাবেও অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা হয়ে থাকে। আর একমাত্র সূর্যের আলোতেই শরীর ভিটামিন ডি প্রস্তুত করতে পারে। তাই দিনে অন্তত পক্ষে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকতে হবে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি প্রস্তুতসহ ভালোভাবে ক্যালসিয়ামের শোষণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে থাকে এমন কিছু খাবার হচ্ছে- স্যালমন, ম্যাকারেল, দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, কমলালেবুর রস, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। এর পরেও শরীরে ভিটামিন ডির মাত্রা অনেক কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
১০. আয়োডিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার থাইরয়েডের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই যে খাবারে এই উপাদানগুলো বেশি থাকে যেমন, দুধ, পনির, দই এই ধরনের দুগ্ধজাতীয় খাবার থাইরয়েডের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আয়োডিন সাপ্লিমেন্টও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়