শ্বেতী রোগ কী? হলে কী করবেন?

শ্বেতী বা ধবল রোগের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। অনেকেই মনে করেন যে, এ রোগে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এলেও এতে আক্রান্ত হয়। কিন্তু এ রোগটি মোটেও ছোঁয়াচে রোগ নয়। আবার এটি কোনো ভয়াবহ প্রাণঘাতী রোগও নয়।

এ রোগের বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকার কারণে অনেকেই এটি নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। আবার ছোঁয়াচে ভেবে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়ে থাকে অনেককেই। তাই এ বিষয়ে ধারণা রাখা উচিত সবার।

শ্বেতী কেন হয়?

ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করতে কাজ করে ত্বকের মধ্যে থাকা মেলানোসাইট কোষের মেলানিন অংশটি। এটির ভারসাম্য নষ্ট হলে বা এর ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে সাধারণত শ্বেতী হয়ে থাকে। আবার বংশগতভাবেও এ রোগটি অনেক হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে— শ্বেতী রোগীদের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই এটি বংশগত ধারায় হয়ে থাকে বাবা বা মায়ের জিনের বংশীয় প্রভাবে। আর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বেতী হয়ে থাকে মেলানিনের সমস্যার কারণে।

এ রোগে বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ আক্রান্ত রয়েছেন। এটি প্রথমে সাধারণত মুখ, কনুই ও বুকে হতে দেখা যায়। ত্বকের মধ্যে মেলানিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে সেখানে শ্বেতী হতে দেখা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এটি পুরো শরীরজুড়েও হয়ে থাকে। তবে শ্বেতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ১০ বছর বয়স থেকেই এটি হতে শুরু করে।

শ্বেতী হলে যা করবেন :

শ্বেতী মোটেও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো রোগ নয়। এটি ছোঁয়াচে ভেবে ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। এটি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে পারেন। এ রোগের শুরু থেকেই চিকিৎসা নিয়ে পরিচর্যায় থাকলে এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে ওঠা অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও হাইপার থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে শ্বেতী হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে।

শ্বেতী হলে যে খাবারগুলো পরিহার করবেন :

শ্বেতী হলে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি শ্বেতীর সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া কিছু ফল যেমন— আঙুর, কমলালেবু, বেদানা, পেয়ারা, ব্লুবেরি, গুজবেরি খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া ফলের আচার, কাঁচাটমেটো, কাঁচারসুন, তেঁতুল, মাছ, সামুদ্রিক মাছ, কফি, জাঙ্ক ফুড, চকলেট ইত্যাদি খাবার পরিহার করা উচিত।

এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে।

শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়।

প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায়  Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs, Vitiligo Remover সহ চিকিৎসকের নির্দেশনামতে আরো কিছু ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।

এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনি নিজে সরাসরি গিয়ে ঔষধ গ্রহণ করতে পারলে তা হবে পারফেক্ট। তবে যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তবে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রবন্ধের শেষে হাকীম মিজানুর রহমান-এর সাথে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া আছে। তাঁর সাথে যোগাযোগ করে ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন।

এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় এ চিকিৎসা গ্রহণ করলে শরীরে মেলানিন উৎপন্য হতে শুরু করে এবং আক্রান্ত স্থান ক্রমে কমে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতোই সুন্দর হয়ে উঠে এবং শ্বেতী রোগের পরিসমাপ্তি ঘটে। সেই সাথে ভবিষ্যতে আবার যাতে শ্বেতী আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য ডাক্তারের নির্দেশমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আর থাকে না। যাদের শ্বেতী রোগ আছে তারা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন৷ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা।

কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে। কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমানের উপর সময় কম বা বেশী লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।

প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত Recap নামের ঔষধ ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে।  সেই সাথে Vitiligo Natural ব্যবহার করতে হবে। এটি শ্বেতী রোগের মহৌষধ। এছাড়াও আরো কিছু ঔষধ রয়েছে, যা পরবর্তীতে অবস্থা ভেদে প্রদান করা হয়।

রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দু’জনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। কারণ শ্বেতী একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধৈয্যের পরিচয় দিতে হয়। যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়।

আর এ রোগটি দু’তিন বছর যারা লালন পালন করছেন। খাবার দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু’এক বছর সময় লাগতে পারে। তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি নিষেধগুলো মেনে চলতে দ্রুত এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।

করণীয় :

কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ থাকলে দূর করতে হবে।

দুধ, ছানা, মাখন, স্নেহজাতীয়, ফলের রস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খাবেন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো।

চিকিৎসা :

ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। Recap মলম লাগানো বা Vitiligo Natural ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ডাক্তার নির্দেশিত অন্যান্য ঔষধ প্রতিনিয়ত মালিশ করতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে। বড় আকারের শ্বেতী হলে Recape মলম আর Vitiligo Natural ও Vitiligo Remover ওষুধে কাজ হতে প্রায় ৬ মাস এমনকি দেড় থেকে ২ বছরও লাগতে পারে।

লক্ষ্য করুন :

– যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিৎসা করা যায় তত ভালো।
– শরীরের যেকোনো জায়গায় সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্‍সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
– ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড – এসব যাদের আছে তাদের শ্বেতী হবার প্রবণতা বেশি থাকে।

সুতরাং এ রোগ হবার সাথে সাথেই চিকিৎসা করা উত্তম। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন :

ঔষধ পেতে নিম্নে বর্ণিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: