গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যে ৫ সবজি এড়িয়ে চলবেন

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। ধরুন আপনি খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে গেলেন, কিংমা মদ্যপান-ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদিও হতে পারে কারণ।

প্রতিদিনের জীবনযাপনে অল্পকিছু পরিবর্তন এবং খাবারের তালিকায় কিছু যোগ-বিয়োগ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিছু খাবার আছে যা আপনার এই গ্যাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্যাসের সমস্যা থাকলে বাদ দিতে হবে সেগুলো। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মুলা : শীতের সময়ে এই সবজি বেশ সহজলভ্য। শীতে খাবারের তালিকায় মুলা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তবে মুলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। কারণ এটি গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়াসহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মুলার তরকারি খাওয়ার পর জিরা ভেজানো পানি বা পুদিনা খেতে পারেন।

ছোলা : ছোলার উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা হজমের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকে ভুগছেন, তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় এই ছোলা। যারা কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ছোলা এড়িয়ে চলাই ভালো।

মুখি কচু : মুখি কচুর তরকারি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি উপকারি না-ও হতে পারে। এটি পেটের সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়।

এঁচোড় : কাঁচা কাঠালকে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু এবং অনেকরকম পুষ্টির উৎস। বাঙালির পাতে কাঁচা কাঠাল বা এঁচোড়ের তরকারি থাকলে আর কিছু লাগে না! তবে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই সবজি গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য একেবারেই ভালো নয়।

রাজমা : উত্তর ভারতের পরিচিত খাবার হলেও এটি এখন আমাদের দেশেও বেশ পরিচিত। রুটি, পরোটা কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে জমে বেশ। কিন্তু এক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে বড় ছোলার মতো রাজমাও বিপজ্জনক।

সারাদেশে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার যোগে অর্ডার অনুযায়ী ঔষধ পাঠানো হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় করণীয় : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে কেন হয় এই সমস্যা এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায়ই বা কী জেনে নিন সেটা।

খাওয়ার আগে বা পরে অনেকেরই বুক জ্বালাপোড়া করে বা পেট ব্যথা করে। আবার অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে পেট ব্যথা করে অনেকে। অনেকের খাওয়ার পর পর বমি বমি লাগে বা পেটে শব্দ করে। এছাড়াও খাবারে ভেজাল এর কারণে ছোট-বড় সব বয়সেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিতে পারে। এটি মূলত পরিপাকতন্ত্রের ব্যাঘাতজনিত একটি উপসর্গ। দেখে নেওয়া যাক এর কারণগুলো-

আমাদের দেশের মানুষ বেশি মসলাযুক্ত খাবার পছন্দ করেন। বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।

বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।

নিয়ম মতো খাবার গ্রহণ না করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

অনেক তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এই সমস্যা হয়।

ধূমপান করলে হজম শক্তি কমে যায়, ফলে দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।

রাতের খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে।

অনেক সময় ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করার ফলে হতে পারে এই সমস্যা।

সকালে খালি পেটে চা বা কফি অথবা অ্যাসিড জাতীয় ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা।

ডায়াবেটিস রোগী যাদের হজম শক্তি কম, তারা ভারী খাবার গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

আবার পরিমাণের তুলনায় কম পানি গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘুমের ব্যাঘাত হলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এর ফলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

লিভার ফাংশনের কোনও রকম গোলযোগ দেখা দিলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

এছাড়া মানসিক অশান্তি ও টেনশন থেকেও গ্যাস্ট্রিক দেখা দেয়।

প্রতিকার : ১.নিয়মমাফিক জীবনযাপন করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন ও ব্যায়াম করুন। এতে পেটে গ্যাস জমবে না।

২. দই অথবা টক দই বা গ্রহণ করুন। এতে আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও গ্যাস কমিয়ে রাখে।

৩.বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যেমন শসা, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয় না।

৪. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

৫.নির্দিষ্ট সময় পর পর অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করুন ও পানি পান করুন।

৬. তেল, চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন তবে গ্যাসের সমস্যা হবে না।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

৮. নিজেকে প্রফুল্ল ও হাসিখুশি রাখুন।

প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক। তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: