কিডনী রোগ : কারণ লক্ষ্মণ ও করণীয়

কিডনি বিকল হওয়ার উপসর্গ সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে বোঝা যায় না। কিছু লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে।

যেমন প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি।

কিডনী রোগের লক্ষণ সমূহ :
চোখের পাতা ও পা ফুলে যাওয়া।
ক্রমান্বয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
বিনা কারনে গা চুলকানি।
প্রস্রাব জ্বালাপোড়া, প্রস্রাব লাল হওয়া।
প্রস্রাবফেনা হওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া।
ক্ষুদামন্দা ও বমি বমি ভাব হওয়া।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা।
গায়ের রং কালচে হয়ে যাওয়া।
রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব।
শ্বাসকষ্ট হওয়া।
কোমরের দুইপাশে ব্যাথা।

যে সকল কারণগুলা আপনার কিডনী রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ :
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস।
কিডনী বিকলের প্রধানকারন।
বংশে যদি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে।
কিডনীতে পাথর।
প্রস্রাবে ইনফেকশন ও বাঁধাজনিত সমস্যা।
ধূমপান।
অতিরিক্ত ওজন।
বয়স চল্লিশ এর উধ্বে।
দীর্ঘদিন বেদনা নাশক ঔষধ বা এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন।
কম কায়িক পরিশ্রম বা অলস জীবন যাপন।

কিডনী বিকল প্রতিরোধের ১০ টি উপায় :
১. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা এবং প্রস্রাবের এ্যালবুমিন পরীক্ষা করা ও রক্তের হিমোগ্লোবিন এ-ওয়ান-সিম(HBA1C) সাত এর নিচে রাখা।

২. উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা (১৩০/৮০) এর নীচে, যাদের প্রস্রাবে এ্যালবুমিন থাকে তাদের ১২০/৭০ এর নীচে।

৩. ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের কিডনী কার্যকারিতা প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করা।

৪. শিশুদের গলাব্যাথা, জ্বর ও ত্বকে খোশ -পাঁচড়ার দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করা উচিত, কারন এগুলো থেকে কিডনী প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে।

৫. ডায়রিয়া,বমি ও রক্ত আমাশয় এর কারনে রক্ত,পানি ও লবন শূন্য হয়ে কিডনী বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে, প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।

৬. ধূমপান বর্জন করুন,ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৭. চর্বি জাতীয় খাবার ও লবন কম খাবেন এবং পরিমিত পানি পান করবেন।

৮. চিকিৎসকদের পরামর্শ ব্যাতীত এন্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথার ঔষধ সেবন না করা।

৯. প্রস্রাবের ঘন ঘন ইনফেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।

১০. পাঁচ রং এর সবজি খাবেন, বেশি করে ফল খাবেন।

৮ নিয়মে মিলবে কিডনির সুরক্ষা

মানবদেহে সাধারণত এক জোড়া কিডনি থাকে। বড় কলাই আকৃতির কিডনি দুটি দৈর্ঘ্যে ৯-১২ সেন্টিমিটার; প্রস্থে ৫-৬ সেন্টিমিটার ও ৩-৪ সেন্টিমিটার মোটা হয়। মেরুদণ্ডের দুই পাশে কোমরের একটু উপরে এদের অবস্থান।

এ ব্যাপারে প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ যখন দেখা যায়, তখন কিডনি শতকরা ৭০ ভাগ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

তিনি বলেন, দুটি সহজ পরীক্ষায় কিডনি রোগ নির্ণয় করা যায়। ১. মূত্র পরীক্ষায় আমিষের উপস্থিতি দেখা ও ২. রক্ত পরীক্ষায় ক্রিয়োটিনিনের মাত্রা দেখা।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো, শরীর ফুলে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ করা, মনোযোগহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য ও ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।

কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির মেডিসিন বিষয়ক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে আমরা নেফ্রোলজিস্ট বলি। আর কিডনির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যিনি কিডনির সার্জিক্যাল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তাকে বলি ইউরোলজিস্ট।

কাদের সতর্ক হতে হবে

১. আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

২. উচ্চ রক্তচাপ

৩. স্থূলতা

৪. ধূমপানের অভ্যাস

৫. অধিক বয়স (৫০ বা তদূর্ধ্ব)

৬. পরিবারে কারো কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সতর্ক হতে হবে।

সুরক্ষায় মেনে চলুন ৮ নিয়ম

১. নিজেকে সবল ও কর্মব্যস্ত রাখুন

২. রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন

৩. রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন

৪. সুষম খাদ্য খান এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখুন

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন

৬. ধূমপান পরিহার করুন

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন

৮. আপনি যদি কিডনি ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে এক বা একাধিক কিডনি রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করুন

প্রিয় পাঠক,আমরা প্রতিটা রোগ সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেই, সচেতন করি। আমরা এই লেখায় আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার রোগের অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার চিকিৎসক।

তাই এই লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে, সচেতন হয়ে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: