নাগর মুথাকে আমরা মুথা ঘাস হিসেবেই জানি। এই ঘাস ফসলের জমিতে বেশ বেকায়দায় ফেলে। শত চেষ্টা করেও একে দমন করা কষ্টসাধ্য। অথচ এই ঘাসকে ক’জনই বা নাগর মুথা ভেষজ হিসেবে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি? এই ঘাসের রয়েছে অনেক অসম্ভব ভেষজ গুণাগুন, যা জানলে আপনি চমকে যাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মুথার কিছু ভেষজ গুণাবলী সম্পর্কে।
(Java Grass) একধরনের বহু বর্ষজীবী ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cyperus rotundus। এটি (সাইপ্রাসেস)Cyperaceae Cyperus পরিবার গনের একটি ঘাস। ইংরেজি নাম coco-grass, Java grass, nut grass, purple nut sedge, red nut sedge, Khmer kravanh chruk ইত্যাদি।
মুথা ঘাস শুষ্ক অবস্থা পছন্দ করে, কিন্তু আর্দ্র মৃত্তিকা সহ্য করতে পারে এবং প্রায়ই বনভূমিতে এবং ফসলের ক্ষেতে বৃদ্ধি পায়।
এর কাণ্ড বায়বীয়, ২ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে দেখা যায়। মাটির নিচে রাইজোম কাণ্ড বা স্টলন কাণ্ড বিদ্যমান। রাইজোম থেকে নতুন গাছ জন্মায়। রাইজোম সুগন্ধযুক্ত । পাতা নরম লোমযুক্ত। পাতা দূর্বা ঘাসের পাতা হতে চওড়া এবং অসমান। এই ঘাস বাংলাদেশ সহ আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় জন্মে থাকে।
মুথা ঘাস শুধু অবহেলিত ঘাস নয়। এর রয়েছে নানা ধরনের ভেষজ গুণাগুণ। তাই ভেষজ চিকিৎসকগণ এই মুথা ঘাসকে অবহেলিত নয় বরং অনেক গুরুত্ত দিয়ে থাকেন। সাধারণত ভেষজ চিকিৎসকগণ এই ঘাসের মূল বা রাইজোম ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।
পায়োরিয়া (Pyorrhea) দাঁত ও মাড়ির একটি প্রদাহজনিত রোগ, যে রোগে দাঁতের গোড়ায় পুঁজ সৃষ্টি হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে রোগটি বেশি দেখা যায়। দাঁত মাড়ির সংযোগস্থলে থুথুর মিনারেল থেকে তৈরি টার্টার (Tartar) নামক পাথুরে পদার্থ ও খাদ্যের ভগ্নাংশ জমা হয়ে এ রোগের সূত্রপাত ঘটায়। মাড়ি ক্রমে সংকুচিত হয় এবং দাঁতের গোড়া অবমুক্ত হয়। পিছনে সরে যায় এবং এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। ব্যাকটেরিয়ার ক্রমবৃদ্ধি এবং বিষাক্ত ও প্রদাহকারক উপাদানসমূহের অবমুক্তির ফলে মাড়িতে প্রদাহ, ব্যথা ও রক্তপাতের সূচনা হয়। সহায়ক অস্থিকলা ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে দাঁতকে নড়বড়ে করে এবং শেষ পর্যন্ত দাঁত পড়ে যায়। এই পায়োরিয়া রোগের প্রমাণিত অন্যতম একটি ভেষজ হল এই মুথা ঘাস।
পায়োরিয়া রোগের ক্ষেত্রে এই মুথা ঘাসের মূল থেঁতো করে তার রস করতে হবে। এই রসের সাথে হালকা গরম পানি মিশিয়ে দিনে অন্তত ৩ বার ৪-৫ মিনিট করে কুলকুচি করুণ। এভাবে অন্তত ১০-১৫ দিন করুণ। দেখবেন পায়োরিয়া খুব দ্রুত ভালো হয়ে গেছে।
এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগ মানুষের মস্তিষ্কের একপ্রকার স্নায়ুতান্ত্রিক সমস্যা, যার ফলে একজন মানুষের মধ্যে বারবার খিঁচুনি হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সমস্যার ফলে একজন মানুষের জীবনে সামাজিক বিপর্যয় ঘটতে দেখা যায়। এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের একজন নিউরোলজিস্ট বা স্নায়ুবিদ ডঃ এইচ ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ”এপিলেপ্সিতে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং ওষুধ কার্যকরী ফল দেয়। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই দীর্ঘ সময়ের জন্য খিঁচুনির হাত থেকে রেহাই পায়। কিন্তু বাকি ২০ শতাংশ মানুষ এর ফলে নানারকম সমস্যার শিকার হয়, যেমন- মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পরেন, মৃগী রোগে আক্রান্ত মানুষের আত্মনির্ভরতা খুব কমে যায় এবং মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদের মাত্রা বেড়ে যায়।
মৃগী রোগ থাকলে মুথার মুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল-বিকাল এক গ্লাস করে কিছু দিন খান উপকার আশাকরি নিজেই বুঝতে পারবেন।
এছাড়া মুথার মূল থেঁতো করে পানিতে সেদ্ধ করে এই পানি নিয়মিত কয়েকদিন সেবন করলে আমাশয় ও অজীর্ণ ভালো হয়ে যায়।
কিছু খেলে হজম না হলে বা পাতলা পায়খানা হলে মুথা নিয়ে তার সাথে জোয়ান থেঁতো করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
কোন কিছুর খোঁচা লেগে ক্ষত বা ঘা হলে মুথা রস করে ঘি দিয়ে লাগালে ঘা ভালো হয়ে যায়।
নাগর মুথা বিশেষাঙ্গসমূহের শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর। রক্ত পরিস্কারক, যকৃত, পাকস্থলী ও হৃদপিন্ডের শক্তিবর্ধক। মল রোধক, বায়ু, অজীর্ণ ও ক্রিমিনাশক। ক্ষত, বমি ও দাঁতের রোগ নাশক। কফ, পিত্ত এবং গনোরিয়া রোগে উপকারী। মূত্র. ঘর্ম ও ঋতুস্রাব প্রবাহক। মস্তিস্ক, যৌন ও স্নায়ুশক্তি বর্ধক। বীর্যস্তম্ভক ও যৌন উত্তেজক। মুথার প্রলেপ স্তনের দুধ ও ঘর্ম বর্ধক এবং উষ্ণতা প্রশমক। বিছা ও বোলতার বিষ নাশক এবং পাচড়ায় উপকারী। পাইওরিয়া ও শোথ নাশক। হাত-পা জ্বালায় সেবনে উপকারী
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : (চিকিৎসক) 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : (চিকিৎসক) 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা