হার্টের ব্লকেজ নির্মূল করুন বিনা অপারেশনে

কার্ডিওমেট সেবন করে বিনা অপারেশনেই হার্টের ব্লকেজ নির্মূল করা সম্ভব। হার্টের ব্লকেজ ও হার্ট অ্যাটাক! বাঁচতে হলে জানতে হবে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial infarction), সংক্ষেপে এমআই বা একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (acute myocardial infarction), সংক্ষেপে এএমআই সাধারণ মানুষের কাছে হার্ট অ্যাটাক নামে পরিচিত।

করোনারি আর্টারি বা হৃৎপিন্ডে রক্তসরবরাহকারী ধমনীতে কোলেস্টেরল, ফ্যাটি অ্যাসিড বা শ্বেত রক্তকণিকা জমে ব্লকেজ বা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে হৃৎপিন্ডে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এভাবে ব্লকেজের কারণে হৃৎপিন্ডে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়।

কারণ : সময়ের সাথে সাথে হৃৎপিন্ডের ধমনীতে বিভিন্ন পদার্থ জমতে থাকে যাকে প্লাক বলা হয় এবং এর কারণে ধমনী সরু হয়ে যায়। এ সমস্যাকে বলা হয় করোনারি আর্টারি ডিজিজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে করোনারি আর্টারি ডিজিজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। হার্ট অ্যাটাক তখনই হয় যখন এই প্লাক ফেটে যায় এবং কোলেস্টেরল ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ রক্তের সাথে মিশে যায়। ধমনীর যে স্থানে প্লাক ফেটে যায় তখন ওই স্থানে নতুন করে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং এটি আকারে বড় হয়ে গেলে পুরোপুরিভাবে হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আবার ধমনীর অস্বাভাবিক ও দ্রুত সংকোচন-প্রসারণের জন্যেও হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তামাক ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য ব্যবহারের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও কোনো কারণে ধমনী ছিঁড়ে গেলেও (spontaneous coronary artery dissection) হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

লক্ষণ :

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখতে পান :

১. বুকে তীক্ষè ব্যথা সৃষ্টি হওয়া।

২. শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।

৩. বুকে চাপ সৃষ্টি হওয়া।

৪. শরীরের নিম্নাংশে বা বাহুতে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।

৫. অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে থাকে এবং অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

৬. বুকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হওয়া।

৭. হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় :

যে সকল কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো- ১. পুরুষদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৪৫ বা এর বেশি এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৫৫ বা তার বেশি তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। ২. সিগারেটের ধোঁয়া ও ধূমপানের কারণে। ৩. উচ্চ রক্তচাপ বিশেষ করে ধূমপান, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের সাথে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ৪. রক্তে কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে। ৫. ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে। ৬. পরিবারের অন্য কারো পূর্বে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে আপনার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। ৭. শারীরিক পরিশ্রম কম করলে। ৮. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকলে।

কার্ডিওমেট একটি Reversal diet ফর্মূলায় প্রস্তুতকৃত। কার্ডিওমেট নিয়মিত সেবনের ফলে হার্টের ব্লকেজের রোগীদের Caronary Artery-তে রক্তনালীর প্রাচীর প্রসারিত হয়। ফলে Partial Blockage থাকলেও Blood Supply বেড়ে গিয়ে Cardiac tissue-তে অক্সিজেনের আধিক্য ঘটে এবং Cardiac Pain দূরীভূত হয় এবং ক্রমান্বয়ে ব্লকেজ কমতে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। সেই সাথে নিয়মিত ফ্লাক্সসিড অয়েল ও নরমাটেনসিন খেতে হবে।

সেবনবিধি : সকাল : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আধাঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে ৪ (চার) চা চামচ কার্ডিওমেট পাউডার দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। আলসার আক্রান্ত রোগীরা লেবুর রসের পরিবর্তে চার চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক চামচ ভাত বা দুইটি রুটি শাকসবজি দিয়ে খেতে পারবেন। তবে সেই সাথে সালাদ খাওয়া উত্তম। ৪. এক চা চামচ ফ্লাক্সসিড অয়েল পান করবেন। ৫. একটি নরমাটেনসিন ট্যাবলেট খাবেন।

দুপুর : বাড়িতে তৈরি স্বাভাবিক খাবার যা অবশ্যই তেলমুক্ত অথবা কম তেলযুক্ত হতে হবে। খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সালাদ থাকতে হবে। ২. মাংস বা বড় মাছ না খেয়ে ছোট মাস খাবেন। ৩. খাবারে লবণ এড়িয়ে চলুন।

রাত : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আধাঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে ৪ (চার) চা চামচ কার্ডিওমেট পাউডার দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। আলসার আক্রান্ত রোগীরা লেবুর রসের পরিবর্তে চার চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ৩. এক ঘণ্টা পর সালাদ খাবেন। তবে কোনোভাবেই ভাত বা রুটি খাওয়া চলবে না। ৪. এক চা চামচ ফ্লাক্সসিড অয়েল পান করবেন। ৫. একটি নরমাটেনসিন ট্যাবলেট খাবেন। ৬. রাতের শেষ খাবার হিসেবে শুধুমাত্র এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেয়ে ঘুমাবেন।

করণীয় : ১. সকালে খালি পেটে এবং রাতে খাবার পর ২০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন। ২. দৈনিক চার গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ৩. ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত চেক করবেন। ৪. খাদ্য তালিকায় শসা, গাজর, টমেটো, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা ও সালাদ অধিক অন্তর্ভুক্ত করবেন।

বর্জনীয় : ১. তেল-চর্বি জাতীয় খাদ্য এবং কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে। ২. ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। ৩. ফার্স্টফুড এবং চিনি জাতীয় খাদ্য নিষেধ। ৪. কাঁচা লবণ পরিহার করুন।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা নেওয়ার পর যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে : একবার হার্ট অ্যাটাক হলে পরবর্তীতে এ রোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত টেস্ট ও চেক-আপ করাতে হবে। একই সাথে ধূমপান পরিহার করতে হবে, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করতে পারেন।

হার্ট অ্যাটাকের পর বুকে ব্যথা হলে : একবার হার্ট অ্যাটাকের পর অনেক রোগীরই এঞ্জাইনা বা বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে এ ব্যথা ঔষধ খেলে বা বিশ্রাম নিলে কিছুক্ষণ পর ভালো হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এ ব্যথা আরও তীব্র হয়ে ওঠে এবং তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না।

নিম্নলিখিত উপায়ে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব : ১. ধূমপান পরিহার করুন। ২. কোলেস্টেরল, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে। ৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

এই বিকল্প চিকিৎসাকে হলিস্টিক চিকিৎসা বলা হয়। হলিস্টিক চিকিৎসা হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীনতম প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। এ চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি দু’টিÑ স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম। অধিকাংশ ব্যক্তি মনে করেন, করোনারি আর্টারিতে একবার ব্লক হতে শুরু করলে এর গতি আর পাল্টানো যায় না। এর একমাত্র চিকিৎসা এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি। আমাদের দেশের লাখো লাখো হৃদরোগী যারা এ রোগ নিরাময়ের জন্যে প্রচুর টাকা ব্যয় করে বাইপাস অপারেশন করেছেন বা অনেকে বিদেশে যাচ্ছেন, আবার অনেকে ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন, তারা উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থ ও পরিপূর্ণ জীবন পেতে পারেন। তাই এখনই সময়, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেই অ্যাটাক করুন হার্ট অ্যাটাককেই। অর্থাৎ হার্টকে রাখুন সুস্থ ও সবল।

হৃদরোগ নিয়ে আমাদের নানা ধরনের ভুল ধারণা আছে। রোগীর মনে থাকে ভীতি আর বিপদের আশঙ্কা। অথচ আমাদের উচিত এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা। হার্টের রক্তনালিতে ব্লকেজ হলে রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হার্টের মাসেল পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও খাবার পায় না। ব্যায়াম বা অধিক পরিশ্রমের সময় যখন অক্সিজেন ও খাবারের চাহিদা বেড়ে যায় তথাপি সরবরাহ না বাড়লে হার্টে এক ধরনের তীব্র Chest discomfort যাকে Angina বলে। ফলে Chronic stable angina হতে পারে। এছাড়া রক্তনালির চর্বির স্তর ফেটে গিয়ে এর ওপর রক্তের দানা জমা হয়ে রক্তনালি আংশিক বা পুরো বন্ধ হয়ে Acute coronary syndrome হতে পারে।

নারীদের সাধারণত বাতজ্বরজনিত হৃদরোগ যা হৃদযন্ত্রের ভাল্বকে নষ্ট করে, এমন হৃদরোগের আধিক্য দেখা যায়। এছাড়া নারীদের জন্মগত হৃদরোগ, বাতজ্বরজনিত ভাল্বের হৃদরোগ, রক্তনালিতে ব্লকজনিত হৃদরোগ, হৃৎপিন্ডের চারপাশে পানি জমাজনিত হৃদরোগ, হৃৎপিন্ডের ভিতরে ইনফেকশনজনিত হৃদরোগ, হৃৎপিন্ডের মাংসপেশিতে প্রদাহজনিত হৃদরোগ হয়ে থাকে।

নারীদেরও হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে ব্লকজনিত হৃদরোগ দেখা যায়। তবে মাসিক বন্ধ হওয়ার পূর্বে অর্থাৎ ৫০ বছর বয়স হওয়ার পূর্বে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর অথবা ৫০ বছর বয়স হওয়ার পর ব্লকজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বাড়ে। কম বয়স্ক নারীদের যাদের নিয়মিত মাসিক হয়, তাদের সাধারণত ব্লকজনিত হৃদরোগ কম দেখা যায়। কিন্তু নারীরা দীর্ঘ সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে অথবা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগলে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, ধূমপান করলে, অল্প বয়স্ক নারীদেরও ব্লকজনিত হৃদরোগ হতে পারে। নারীদের বুকে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে বুকের এক্স-রে, ইসিজি, ইটিটি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও প্রয়োজনে এন্ডোসকপি পরীক্ষা করা উচিত। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বেশি সেবন করলে, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রণে থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, বেশি দুশ্চিন্তা করলে, পরিবারের অন্য সদস্যদের হৃদরোগ থাকলে, অল্প বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে Early menopause) নারীদের ব্লকজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

এনজিওগ্রাম একটি হৃদরোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে হৃৎপিন্ডের রক্তনালির (করোনারি) ভিতর কোনো ব্লক বা ঝঃবহড়ংরং থাকলে তা নির্ণয় করা যায়। যে সমস্ত রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়, সে সমস্ত রোগীর রক্তনালির ব্লক দেখার জন্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করার জন্য এনজিওগ্রাম করা হয়। তাছাড়া যাদের ইটিটি পজিটিভ হয় অর্থাৎ করোনারি হার্ট ডিজিজ হবার সম্ভাবনা বেশি তাদেরও এনজিওগ্রাম করা হয়।

তবে, রক্তনালিতে যদি ৭০ ভাগের উপরে ব্লক না থাকে, তবে রিং বসানোর (Stenting) প্রয়োজন নেই। আবার যদি কোনো ব্লক Flow limitingনা হয় অর্থাৎ রক্তপ্রবাহ তেমন বাধার সৃষ্টি না করে তবে রিং বসানোর প্রয়োজন নেই।

একজন হৃদরোগী তার হৃদরোগের ধরন অনুসারে বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্যে আসেন। হৃদরোগীরা সাধারণত বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড় করা, হঠাৎ নীল হয়ে যাওয়া নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন। একজন ব্যক্তি জন্মগত হৃদরোগ, রক্তনালিতে ব্লকজনিত হৃদরোগ, বাতব্যথাজনিত হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ, প্রদাহজনিত হৃদরোগ অথবা হৃৎপিন্ডের চারপাশে পানি জমা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।

ব্লকজনিত হৃদরোগে রোগীর বুকে ব্যথা বুকের মাঝখানে সাধারণত হয় এবং বুক ব্যথা পরিশ্রম করলে বা সিঁড়ি ভাঙলে বাড়ে অথবা বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে হাঁটলে বাড়ে এমনকি খাবার গ্রহণ করার পর হাঁটলে বাড়ে। ব্যথা বাড়লে রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। বুকের এ ব্যথা হলে জিহ্বার নিচে নাইট্রেট স্প্রেকরলে বা নাইট্রেট ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে রাখলে সঙ্গে সঙ্গে বুক ব্যথা কমে যায়। বুকের এ ব্যথা বাম হাত দিয়ে নামতে পারে।

হার্ট ফেইল হলে শুরুর দিকে অল্প পরিশ্রমে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে বা দুর্বল লাগতে পারে এবং রাতে শোবার পর অধিক রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। হার্ট ফেইলার অতিরিক্ত হলে রোগীর বসা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি ফুসফুসে পানি জমা ছাড়াও দু’পায়ে পানি আসতে পারে।

বাতজ্বর হলে হৃৎপিন্ডের ভাল্ব, পর্দা ও মাংসপেশি আক্রান্ত হতে পারে, অথবা নাও হতে পারে। বাতজ্বরে হৃৎপিন্ডের ভাল্ব আক্রান্ত হয়ে ভাল্ব সরু হতে পারে, অথবা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভাল্বের লিক বা রিগারজিটেশন হতে পারে। আবার হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি প্রদাহ হয়ে মায়োকার্ডাইটিক হতে পারে, এতে মায়োকার্ডিয়াক বা হৃৎপিন্ডের ফাংশান কমে গিয়ে হার্ট ফেইলার হতে পারে। আবার হৃৎপিন্ডের চারপাশের পর্দা আক্রান্ত হয়ে পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন বা পানি জমতে পারে। বাতজ্বরে গলা ব্যথা হবার সঙ্গে সঙ্গে অথবা সপ্তাহখানেক পর পায়ের গিরা ফুলা, চামড়ায় দাগ হওয়া, চামড়ায় গোটা হওয়াসহ মানসিক সমস্যা হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপে হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে চর্বির আস্তর পড়ে Ischemic heart disease ছাড়াও হৃৎপিন্ডের দেয়াল মোটা হয়ে হাইপারটেনসিভ হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলর হতে পারে। হৃদযন্ত্রের গতি শ্লথ বা ধীর হলে শরীরের প্রয়োজনীয় Metabolic চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই হৃদযন্ত্রের ধীর গতির চিকিৎসার জন্য Artificial device লাগানো হয়, যা একটি Pacemaker , এর কাজ হলো হার্টের হৃদস্পন্দনের গতি বাড়িয়ে হার্টের স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় ছন্দ ফিরিয়ে আনা। তাই আমরা হৃদযন্ত্রের গতি ধীর হলে টেম্পোরারি Pacemaker অথবা প্রয়োজনে স্থায়ী Pacemaker (পেসমেকার) লাগাই।

কোনো বাতব্যথা রোগীর হার্টের সমস্যা থাকলে ব্যথার ওষুধ সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, কিটোপ্রোফেন জাতীয় এনএসএআইডি ওষুধ খেলে হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে অর্থাৎ হঠাৎ হার্ট ফেইলার হতে পারে। তাছাড়া এনএসএআইডি (নন স্টেয়ডাল এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি ড্রাগস) জাতীয় ওষুধ শ্বাস দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে ইস্কোমিক হার্ট ডিজিজ অর্থাৎ রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে।

হৃদরোগের সমস্যা থাকলে ৩ থেকে ৪ মাস পরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে। ধূমপান ছাড়–ন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন সাথে সাথে নিয়মিত চিকিৎসা নিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

Hakim Mizanur Rahman New ad

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: