লিখেছেন ডা. ইমা ইসলাম ও ডা. তাসনিম জারা :
সহবাস বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। এই ব্যাপারগুলো সংবেদনশীল মনে করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করতেও অনেকে সংকোচ বোধ করেন। দেখা যায়, সহবাস নিয়ে ভুল ধারণাগুলোর ওপর ভিত্তি করে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানান শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক জটিলতা।
এই আর্টিকেলে সহবাস নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
গর্ভধারণ সংক্রান্ত ভুল ধারণা
১. সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস করতে হবে
অনেকের ধারণা বাচ্চা চাইলে প্রতিদিন যৌন মিলন জরুরী। তা না হলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়।
বিজ্ঞান যা বলে: একটা গবেষণায় দেখা গেছে—
প্রতিদিন সহবাস করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে – ৩৭ শতাংশ।
একদিন পর পর সহবাস করলেও সফলতার সম্ভাবনা কাছাকাছি থাকে – ৩৩ শতাংশ।
সপ্তাহে একবার সহবাস করলে সম্ভাবনা নেমে আসে মাত্র ১৫ শতাংশে।
অর্থাৎ ঘন ঘন যৌন মিলনে সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে, এবং প্রতিদিন বা ১ দিন পর পর চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে। আর যদি Fertile Window বা গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময় খুঁজে বের করে তখন ঘন ঘন চেষ্টা করা যায়, তাহলে আরও ভালো।
তবে সবার পক্ষে এমন রুটিন মেনে বাচ্চার জন্য চেষ্টা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেকের জন্য সেটা উপযুক্তও হবে না। নির্ভরযোগ্য তথ্যগুলো জেনে পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটা ভালো হয়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
২. নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে
বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম কী? — এই প্রশ্নের একটি বহুল প্রচলিত উত্তর হলো মিশনারি অবস্থান। এই অবস্থানে সহবাসের সময় পুরুষ ওপরে ও নারী নিচে থাকে। এই অবস্থানে সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে দাবি করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল প্রচারিত কিছু ভিডিওতে বিশেষ কিছু অবস্থানে সহবাসের মাধ্যমে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় সহবাস করলে, কিংবা সহবাসের পর মেয়েরা দৌড়ঝাঁপ করলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না — এমন ধারনাও প্রচলিত।
বিজ্ঞান যা বলে: এগুলোর কোনটাই সঠিক নয়। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা অবস্থানে সহবাস করলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি — এই দাবিগুলো মোটেও বিজ্ঞান সমর্থিত নয়।
সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণু যোনিপথ বা মাসিকের রাস্তায় পৌঁছানো প্রয়োজন। এমনকি বীর্য যোনিপথের কাছাকাছি পৌঁছলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তাই যেসব অবস্থানে সহবাস করলে মাসিকের রাস্তায় বীর্যপাত হয়, কনডম বা অন্য কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করা হলে, সেসব অবস্থানের সবগুলোতে গর্ভধারণে সম্ভাবনা থাকে। কোন একটা অবস্থান অন্যটির চেয়ে বেশি ভালো বা কার্যকর — বিষয়টি এমন নয়।
যে অবস্থানেই সহবাস হোক না কেন, পুরুষের বীর্যপাতের পরে নারীর যোনিপথ থেকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু পৌঁছে যায় জরায়ুমুখে। তাই নির্দিষ্ট একটা বা দুটো অবস্থানে সম্ভাবনা বেশি বা সেগুলো ছাড়া সন্তান হবে না, এমন কথা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়।
৩. যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না
অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন যে বীর্যপাতের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসার অর্থ হলো সব শুক্রাণু সব বের হয়ে যাওয়া এবং নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া। এই বেরিয়ে আসা বা ফ্লোব্যাক ঠেকানোর জন্য ইন্টারনেটে নানা পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ পাওয়া যায়, যেমন—
নারীকে আধা ঘণ্টা চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হবে
কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে
শুয়ে পা দুটো উঁচু করে রাখতে হবে
এছাড়া অনেকে প্রশ্ন করে থাকে, সহবাসের পর কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হয়। এসম্পর্কে ধারণা হলো সহবাস করার পর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে কিংবা পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে রাখলে শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছতে পারবে।
বিজ্ঞান যা বলে: মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বেরিয়ে আসাকে বলা হয় ফ্লোব্যাক। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি ঘটনা। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে ৯৪ শতাংশ সহবাসের পরেই এই ফ্লোব্যাক দেখা যায়। সেটা বিছানায় শোওয়া অবস্থায় হতে পারে, উঠে হাঁটতে গেলে হতে পারে, আবার প্রস্রাব করার সময়েও হতে পারে। এটা দুশ্চিন্তার কোন বিষয় নয়।
এজন্য বিশেষ কোনো কাজ করার বা বিশেষ অবস্থানে শুয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন নেই। শুক্রাণু সাধারণত দেহের গতানুগতিক প্রক্রিয়াতে যোনিপথ থেকে খুব দ্রুত জরায়ুতে পৌঁছে যায়। তাই এই বিশেষ কাজগুলোর কোনোটাই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে এতে আপনার ভালো লাগলে করতেই পারেন।
মোট কথা, বীর্য বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বরং বাচ্চা নিতে চাইলে শুক্রাণু নারীদেহে একটা অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মাসের কয়েকটা নির্দিষ্ট দিনে নারীদেহ শুক্রাণুর জন্য খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে। মাসিক হওয়ার কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গর্ভবতী হওয়ার সঠিক সময় আর্টিকেলটি পড়ুন।
গর্ভধারণ করতে চাইলে সহবাসের সময় এই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন
এখানে এমন একটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা করলে সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সহবাসের সময়ে অনেকে পিচ্ছিল করার জন্য মুখের থুতু ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করেন। ল্যাবে পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে যে থুতু এবং কয়েক ধরনের লুব্রিকেন্ট শুক্রাণুর চলাচল ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
তাই American Society for Reproductive Medicine সাবধানতাবশত এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেয়। অর্থাৎ, আপনি যদি থুতু ব্যবহার করেন, সেটা বন্ধ রাখলে ভালো হবে। আর যদি লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হয়, তবে HYDROXYETHYLCELLULOSE-BASED লেখাটা প্যাকেটের গায়ে দেখে কিনবেন। এসব লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, তা নয়। বরং প্রয়োজন হলে এগুলো ব্যবহার করা যায়।
৪. প্রথমবার সহবাসে কেউ গর্ভধারণ করে না
গর্ভধারণ করতে হলে বেশ কয়েকবার সহবাস করতে হয়—অনেকে এমন ধারণা পোষণ করেন। তাই প্রথমবার সহবাস করার সময় অনেকেই কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন না।
বিজ্ঞান যা বলে: ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল। বয়ঃসন্ধির সাথে সাথে, এমনকি প্রথম মাসিক শুরু হওয়ারও কিছুদিন আগে থেকে নারীরা গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়। প্রথম ডিম্বপাতের সময় থেকে প্রথমবার বা কেবল একবার সহবাস করলেও সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।
ছেলে সন্তান হওয়ার উপায় কি?
এই বিষয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। প্রশ্নটির উত্তর হলো, কোনো বিশেষ নিয়ম মানলে বা নির্দিষ্ট সময়ে সহবাস করলে বা বিশেষ কোন খাবার ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান হবে — এসব কথারও কোনো ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে আরও জানতে ছেলে সন্তান হওয়ার উপায় নিয়ে আমাদের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
৫. বীর্য খেয়ে ফেললে প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা থাকে
বিজ্ঞান যা বলে: বীর্য গিলে ফেললে গর্ভধারণ করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এক্ষেত্রে গনোরিয়া, হার্পিস, ক্ল্যামিডিয়াসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিরাপদ থাকতে পুরুষদের কনডম ব্যবহার করা উচিত।
পায়ুপথে সঙ্গম বা অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রে বীর্য যোনিপথের সংস্পর্শে না আসলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে এক্ষেত্রেও কোনো সঙ্গীর এইচ আই ভি-এইডস, গনোরিয়া ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে থাকলে সুস্থ সঙ্গীরও এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনিরাপদ সহবাসে কনডম ব্যবহার করা উচিত।
৬. বীর্যপাতের পূর্বে পুরুষের যৌনাঙ্গ বের করে ফেললে নারী গর্ভবতী হবে না
বিজ্ঞান যা বলে: বীর্য মেয়েদের যোনিপথের বাইরে ফেললেই সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না—এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। এর ব্যাখ্যা হলো, বীর্যপাতের আগের উত্তেজিত (ইরেকশন থাকা) অবস্থায় পুরুষদের যৌনাঙ্গ থেকে কিছু তরল রস বের হয়, যেটিকে Pre-ejaculatory Fluid বলা হয়। এই রসে হাজারো শুক্রাণু থাকে। যা দ্বারা গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গর্ভধারণ এড়াতে চাইলে সুরক্ষা ব্যবহার করা প্রয়োজন।
৭. গর্ভধারণের জন্য সহবাসের পর অন্তত ১ ঘণ্টা যৌনাঙ্গ না ধুয়েই থাকতে হবে
অনেকে হয়তো শুনে থাকবেন, গর্ভবতী হতে চাইলে সহবাসের পর নারীদের অন্তত ১ ঘণ্টা পানি বা সাবান দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে শুক্রাণু ধ্বংস হয়ে যাবে, ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না।
বিজ্ঞান যা বলে: এই দাবিও ভিত্তিহীন। বীর্যপাতের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু জরায়ুমুখে পাওয়া যায়। তাই এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার বিষয়টি অর্থহীন। বরং কুসুম গরম পানি দিয়ে সহবাসের পর নিজেকে পরিষ্কার করে নিলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়, যা প্রস্রাবের রাস্তার ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
সর্বোপরি সহবাসের মাধ্যমে যারা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে গুজব এড়িয়ে চলে বরং মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। একটি উদাহরণ হলো দৈনিক ফলিক এসিড খাওয়া, যেন বাচ্চার ব্রেইন আর মেরুদণ্ডে জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। বাচ্চা নেয়ার আগের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের ভিডিওটি দেখুন।
৮. যোনিপথ দিয়ে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই
বিজ্ঞান যা বলে: যদিও যোনিপথ দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম, তবুও এমন সহবাসে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যাবে না। এমনটা হতে পারে যদি—
যোনির খুব কাছাকাছি বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ বীর্য যোনির সংস্পর্শে আসে
পুরুষের যৌনাঙ্গ উত্তেজিত (ইরেকশন) থাকা অবস্থায় নারীর যৌনাঙ্গের সংস্পর্শে আসে
বীর্য ও বীর্যপাতের আগের Pre-ejaculatory Fluid -এ থাকে অসংখ্য শুক্রাণু। এগুলো দেহের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। তবে কোনোভাবে যদি শুক্রাণু যোনিপথে ঢুকে যায় তাহলে তা জরায়ুর ভেতরে ঢুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার মাধ্যমে সন্তান ধারণ করাতে সক্ষম।
পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা
১. প্রতিদিন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়
একটি প্রচলিত ধারণা হলো প্রতিদিন শারীরিক মিলনের ফলে পুরুষের বীর্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ধারণা হলো ঘন ঘন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যায়। অনেকদিন পর পর বীর্যপাত করলে বীর্য ঘন মনে হয়, সেখান থেকে হয়তো এই ধারণার সূত্রপাত।
বিজ্ঞান যা বলে: প্রায় দশ হাজার বীর্যের স্যাম্পল নিয়ে করা একটা বড় গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন বীর্যপাতেও শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকে। উপরন্তু ঘন ঘন সহবাস করলে বীর্যের জীনগত মান উন্নত হয়।
২. সহবাস না করলে অণ্ডকোষ ব্যথায় নীল হয়ে যায়, এমনকি ফেটে যেতে পারে
বিজ্ঞান যা বলে: এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। সহবাস না করার কারণে পুরুষ বা নারী কারো কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় না। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পুরুষদের দেহে সবসময় শুক্রাণু ও বীর্য তৈরি হতে থাকে। বীর্যপাত না হলে এই বীর্য শরীরে আবার শোষিত হয়ে যায়। সহবাস ছাড়াও হস্তমৈথুন ও স্বপ্নদোষের মাধ্যমেও বীর্যপাত হয়। তাই এমন অমূলক ভয় থেকে সহবাস করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কনডম কি একবার ব্যবহারের পর ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায়?
না। এটি একেবারেই ভুল এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভয়ংকর একটি ধারণা। একবার ব্যবহারের পরেই কনডম ফেলে দিতে হবে, এবং নতুন আরেকটি কনডম ব্যবহার করতে হবে।
৩০ মিনিট সহবাসের পরেই কনডম বদলে ফেলা উচিত। ঘর্ষণের কারণে কনডমের দেয়াল দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে তা ছিঁড়ে বা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়।
নারীর যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা
১. মাসিক হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েরা সহবাসের উপযুক্ত হয়ে যায়
বিজ্ঞান যা বলে: এ ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। মাসিক শুরু হওয়ার অর্থ মেয়ে শিশু বড় হচ্ছে এবং সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এই অবস্থায় মেয়েরা সহবাস করার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত কিংবা তাদের এই বয়স থেকেই সহবাস করা উচিত।
২. মাসিকের সময় সহবাস করলে নারীরা গর্ভবতী হয় না
এই কথাটি হয়তো অনেকেরই খুব পরিচিত। মাসিকের সময় যোনিপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় বলে অনেকে ধারণা করেন যে শুক্রাণু জরায়ুমুখে পৌঁছাবে না, বা পৌঁছালেও তা রক্তের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে।
বিজ্ঞান যা বলে: মাসিকের সময় নারীদের দেহের হরমোনগুলো যে অবস্থায় থাকে, তা গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত অবস্থার ঠিক বিপরীত। কিন্তু এরপরেও মাসিকের সময় সহবাস করার ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
এর কারণ হলো বীর্যপাতের পর শুক্রাণু নারীদেহে পাঁচ-ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি নারীদের ওভুলেশন বা ডিম্বপাত নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যায়, তাহলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব কিছু নয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীদেহ মাসিক হওয়ার চতুর্থ দিন থেকেই গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই মাসিক চক্রের যেকোনো সময়েই একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।
৩. প্রথমবার সহবাসের সময় সব নারীরই যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়
একটি বহুল প্রচলিত ধারণা হলো— নারীরা প্রথমবার সহবাস করার সময় তার যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়, এটি নারীর কুমারিত্ব বা ভার্জিন হওয়ার অন্যতম প্রধান নির্দেশক। যোনিপথে সতিচ্ছদ বা হাইমেন অক্ষত থাকার অর্থ মেয়েটি ভার্জিন, আর যোনিপথের ছিদ্র আকারে বড় হলে মেয়েটি কুমারী নয় — এমন বিশ্বাস পোষণ করা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞান যা বলে: এমনটা সবসময় ঘটে না। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রথমবার দৈহিক মিলনের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হয়, আবার অনেকের এমনটা হয় না। দুটোই সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক ঘটনা। এর সাথে কুমারিত্বের সম্পর্ক নেই।
নারীর যোনিপথের মুখে হাইমেন বা যোনিচ্ছদ বা সতীচ্ছদ নামের একটি পর্দা থাকে। এটি পাতলা চামড়ার মত একটি পর্দা যা যোনিপথের মুখকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। যোনিচ্ছদ কিছুটা নমনীয়, অর্থাৎ টান পড়লে সামান্য বড় হতে পারে।
সকল নারীর হাইমেন একই রকম হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সতীচ্ছদ যোনিপথের মুখকে চারিদিক থেকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। তবে অনেকের দেহে এই পর্দাটি একেবারেই থাকে না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে হাইমেন যোনিপথকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে, যা সহবাস কিংবা ট্যাম্পন ব্যবহারে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্দাটি অপারেশনের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হতে পারে।
প্রথম সহবাসের সময়ে নারীর সতীচ্ছদকে পুরুষের যৌনাঙ্গ ভেদ করলে সতীচ্ছদে টান পড়তে বা সেটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এর ফলে যোনিপথে সামান্য ব্যথা বা রক্তপাত হতে পারে। আবার কখনও সহবাস না করলেও অন্যান্য কিছু কারণে হাইমেনে টান পড়ার কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সতীচ্ছদ ছিঁড়ে গেলে কিংবা তাতে টান লাগলে একজন নারী সবসময় বুঝতে পারে না, কারণ এসব ক্ষেত্রে সবসময় ব্যথা হবে বা লক্ষণীয় পরিমাণে রক্তপাত হবে ব্যাপারটি এমন নয়। জীবনে প্রথমবার সহবাসের পূর্বেই যেসব স্বাভাবিক কারণে নারীদের সতীচ্ছদ সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে—
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক খেলাধুলার ফলে
ঘোড়ায় চড়লে
মাসিকের সময় ট্যাম্পন ব্যবহার করলে
হস্তমৈথুন করলে
তাই যোনিপথে রক্তপাত বা হাইমেনের ওপর ভিত্তি করে কুমারিত্ব নির্ধারণের প্রচলিত প্রক্রিয়াটি ভুল, অপ্রয়োজনীয় এবং অমূলক।
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা