ডায়াবেটিক রোগীরা যেভাবে কিডনি ভালো রাখবেন

ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ক্ষতি করতে পারে আপনার কিডনি, চোখ ও পায়ের। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী সমস্যার কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে যে সমস্যাগুলো হয় সেগুলোকে বলা হয় ক্রনিক কমপ্লিকেশন।

চোখে সমস্যা (রেটিনোপ্যাথি) : অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে বা ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চোখের রেটিনার সমস্যা হয়, এমনকি অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে।

এটি প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে।
ডায়াবেটিক ফুট : ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে সামান্য ঘা থেকে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে, এমনকি পা কেটেও ফেলতে হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের নার্ভ ড্যামেজের জন্য স্বাভাবিক মানুষের মতো পায়ের বোধশক্তি থাকে না। তাই সামান্য ক্ষত বা ঘা থেকে বিরাট আকার ধারণ করতে পারে।

এটি প্রতিরোধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রাতে শোয়ার আগে পা পরীক্ষা করতে হবে।
নিউরোপ্যাথি : ডায়াবেটিক রোগীরা আমাদের কাছে প্রায়ই আসে হাত-পা জ্বালাপোড়া নিয়ে অথবা পায়ে সুচের মতো অনুভূতি নিয়ে বা পিঁপড়া হাঁটছে এমন অনুভূতি নিয়ে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে নার্ভ বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে এমন অনুভূতি হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
দাঁত বা মাড়ির রোগ : অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁত ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া বা দাঁত ব্যথা—এ রকম সমস্যা হতে পারে।

কিডনি রোগ : ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে আস্তে আস্তে রক্তের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যেতে পারে এবং একপর্যায়ে কিডনি বিকল হলে ডায়ালিসিস লাগতে পারে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয়

* ডায়াবেটিস ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গত তিন মাসের গড় ৬.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার পাশাপাশি, তিন মাস পর পর এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

* ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ না খাওয়া।

* যাদের কিডনির পয়েন্ট (সেরাম ক্রিয়েটিনিন) বেড়ে গেছে, তাদের অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া বাদ দিতে হবে। যেমন—কামরাঙা।

* প্রস্রাবে যেন ইনফেকশন না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

* ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

* স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।

কথায় আছে—সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। ডায়াবেটিস আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনি কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে পারেন। কিডনির পয়েন্ট একবার বেড়ে গেলে তা আর সহজে নিচে নামানো যায় না, তাই সময় থাকতেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: