চর্ম রোগ বা ত্বকের সমস্যার চিকিৎসা কি? জেনে নিন

চর্মরোগ বা ত্বকের সমস্যা বাংলাদেশের সবশ্রেণীর মানুষের জন্য সাধারণ সমস্যা। যারা বেশী অপরিষ্কার, অপরিছন্ন, ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে থাকে ও নিজেও অপরিচ্ছন্ন থাকে তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যা বেশী দেখা দেয়। কয়েকটি সাধারণ চর্মরোগ হচ্ছে : পাঁচড়া, খুঁজলি ও দাদ।

পাঁচড়া: শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশী দেখা যায় । পাঁচড়ায় যে সব জায়গা আক্রান্ত হয়: আঙ্গুলের মাঝখানে, কব্জিতে, কোমরের চারদিকে, যৌনাঙ্গের আশেপাশে, শরীরের অন্যান্য অংশেও ছোট ছোট ফুঁসকুড়ি দেখা যায়।

চর্ম রোগের লক্ষণ :

আক্রান্ত স্থানে সবসময় চুলকানীর ভাব অনুভূতি হয়, না চুলকিয়ে থাকা যায় না ,চুলকাতে চুলকাতে চামড়া উঠে যায়, ফুসকুড়ি গুলোতে পুঁজ/পানি জমে , পুনরায় চুলকালে পুঁজ ছড়িয়ে পড়ে ও চুলকানী অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়, ব্যথায় শরীরে জ্বর আসে।

চিকিৎসা :

* পরিষ্কার পরিছন্ন কাপড় চোপড় ব্যবহার করলে খোসপাঁচড়া হবে না।
* প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
* গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
* গরম পানিতে নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলেও উপকার পাওয়া যাবে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।

খুজলি-লক্ষণ :

দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ছোট দানার মত হয়
যৌনাঙ্গে ছোট দানার মত দেখা যায়। শরীরের অন্যান্য অংশে বিশেষ করে চামড়ার ভাঁজে একই ভাবে দেখা যায়
দানা চাপ দিলে পানিবের হয়
ভীষণ চুলকায়
চুঁলকালে আক্রান্ত জায়গায় প্রদাহ হয় ও পুঁজ জমে

চিকিৎসা :

পরিষ্কার পরিছন্ন কাপড় চোপড় ব্যবহার করতে হবে
ব্যক্তিগত পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে
চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে

প্রতিরোধ :

পাঁচড়া ও খঁজলির ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা রাখা
পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে
দূষিত পুকুরের পানিতে গোসল না করা
দৈনন্দিন পরিধেয় কাপড় পরিষ্কার রাখা
নখ কেটে ছোট রাখা
গামছা, বিছানা ও বালিশ পরিষ্কার রাখা
পাঁচড়া ও খঁজলি সেরে গেলে রোগীর কাপড় চোপড় বিছানাপত্র ভাল ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে দেওয়া

দাদ : শরীরের যে কোন জায়গা ফাংগাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাকে দাদ বলা হয়। এই আক্রমণ মাথার চামড়ায়, হাত-পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে, কুঁচকিতে হতে পারে। এটা খুব ছোঁয়াচে রোগ।

লক্ষণ :

আক্রান্ত স্থান চাকার মত গোলাকার হয়, এবং চুলকায় ।
মাথায় দাদ দেখতে গোলাকার হয়, আক্রান্ত স্থানে চুল কমে যায় এবং প্রায়ই থাকে না ।
হাত বা পায়ের নখে ফাংগাস আক্রান্ত করলে নখের উপরিভাগ পুরু হয়, এবং মসৃণতা নষ্ট হয় ।
নখের পাশে পনি জমে যায় এবং অনেক সময় নখ ভেঙ্গে যায় ।

প্রতিকার :

সাবান ও পানি দিয়ে প্রতিদিন ধোয়াই দাদ থেকে মুক্তি পাবার সহজ উপায়
আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখা জরুরী
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে
অনেক সময় ব্যবহৃত সাবান থেকেও দাদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখতে হবে

প্রতিরোধ ব্যবস্থা :

ফাংগাস আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের অন্য কোন সুস্থ্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একত্রে খেলতে বা ঘুমাতে দেয়া উচিত নয়। রোগীর ব্যবহৃত কাপড় চোপড় ও চিরুণী ভাল ভাবে পরিষ্কার না করে অন্য কারো ব্যবহার করা উচিত নয়। রোগ প্রকাশ পাওয়া মাত্র চিকিৎসা করাতে হবে।

পুরুষের চর্ম রোগ

পুরুষের চর্ম রোগ পুরুষের লিঙ্গ থলিতে অনেক ময়লা বা সাদা হয়ে যাওয়া বা ঘা দেখা দেখা, মেডিক্যাল ভাষায় যাকে চর্ম রোগ বলে ।

চর্ম রোগ প্রতিরোধের উপায় কি ?

এই রোগটি সাধারন অপরিস্কার থাকার কারনে বা ভিটামিন সি অভাবে হয়ে থাকে ,তাই ছেলেদের স্বপ্নদোষ হলে সাথে সাথে ধুয়ে পরিস্কার করা উচিৎ অথবা প্যান্টের জাঙ্গিয়া নিচে ঘেমে গেলে তা সবসময় পানি দিয়ে পরিস্কার করা উচিৎ এরোগ হলে অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশী খেতে হবে। যেমনঃ কমলা বা কমলা তৈরী জুস ইত্যাদি বেশী খেতে হবে রোগটি যাদের বড় আকার ধারন করেছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

একজিমা :

একজিমা একটি দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘস্থায়ী) অবস্থা, এবং বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। এটি হাঁটুর পিছনে এবং প্রাপ্তবয়স্ক, কিশোর এবং শিশুদের কনুইয়ের ভিতরেও দেখা দিতে পারে। কদাচিৎ, এটি কিশোরদের মধ্যে বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম প্রদর্শিত হতে পারে। হাঁপানি রোগী এবং খড় জ্বরের মতো মৌসুমি অ্যালার্জিযুক্ত রোগীদের একজিমার প্রবণতা বেশি।

অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং বিরক্তিকর ডার্মাটাইটিস একজিমেটাস ডার্মাটোসের একটি অংশ। অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হল কোষ-মধ্যস্থিত অ্যালার্জি যেমন নিকেল বা পয়জন ওক এবং বিরক্তিকর ডার্মাটাইটিস কঠোর রাসায়নিকের অত্যধিক এক্সপোজার, স্ক্যাবিস ইনফেস্টেশন, দাদ (ছত্রাক সংক্রমণ), অ্যাস্টেটোসিস (খুব শুষ্ক ত্বক), ডাইশিরোসিস, সিইডিওসিস। ডার্মাটাইটিস এবং নিউমুলার ডার্মাটাইটিস। তীব্র ক্ষেত্রে, অনেক তরল-ভরা ক্ষত তৈরি হয় যাকে ভেসিকেল বলা হয়, যখন সেগুলি ভেঙে যায়, জলযুক্ত বা হলুদাভ তরল বেরিয়ে যায় এবং ত্বকে ক্রাস্ট তৈরি করে। পুরানো ক্ষতগুলির ক্ষেত্রে এই ভেসিকলগুলি মাইক্রোস্কোপের নীচে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।

একজিমা কোনো অ্যালার্জির অবস্থা নয়। কিন্তু অল্প কিছু শিশুর ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট দুগ্ধজাত খাবার যেমন ডিম, দুধ এবং বাদাম গ্রহণ করলে একজিমা হতে পারে এবং এর কারণ অজানা। নিউরোডার্মাটাইটিস, হাঁপানি এবং খড় জ্বর, ঘুমের সমস্যা এবং ত্বকের সংক্রমণের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে যদি একজিমার যথাযথ চিকিৎসা না করা হয়।

একজিমা আপনার জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে বিশেষ করে যখন আপনার দৃশ্যমান ফুসকুড়ি এবং চুলকানি সংবেদন হয়। স্ব-যত্ন ব্যবস্থা এবং কিছু চিকিত্সা কিছু পরিমাণে একজিমা উপশম করতে পারে এবং নতুন প্রাদুর্ভাব রোধ করতে পারে তবে এর কোন স্থায়ী নিরাময় নেই। কিছু স্ব-যত্ন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ত্বককে ময়শ্চারাইজ করা, ওষুধযুক্ত ক্রিম বা মলম প্রয়োগ এবং কঠোর রাসায়নিক সাবান এড়ানো।

একজিমা নির্ণয় করা হয় আপনার ত্বক পরীক্ষা করে এবং আপনার পারিবারিক চিকিৎসকের দ্বারা আপনার চিকিৎসা ইতিহাস পর্যালোচনা করে। একজিমার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। যদি কোনো নির্দিষ্ট খাবারের কারণে একজিমা ফুসকুড়ি হওয়ার সন্দেহ হয়, তাহলে সেই খাদ্য পণ্যটি এড়িয়ে চলতে হবে। এটি স্টেরয়েড ক্রিম, হালকা থেরাপি, মুখের ওষুধ এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে চিকিত্সা করা যেতে পারে।

কারণসমূহ :
এটি একটি বংশগত অবস্থা এবং পরিবারে চলে। একজিমার জন্য অনেক কারণ দায়ী হতে পারে যেমন ত্বকের বাধা, একটি অত্যধিক সক্রিয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং খুব কম লোকেরই অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বক থাকে (যখন একজিমার জিন পরিবারে চলে)।

এটোপিক ডার্মাটাইটিসে আক্রান্ত অনেক রোগীর আইজিই অ্যান্টিবডি (ইমিউনোগ্লোবুলিন ই) বেড়েছে। ত্রুটিপূর্ণ কোষ-মধ্যস্থতা প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক ইমিউনোলজিক ফলাফল প্রায়ই এই রোগীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। এটি নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে অসুবিধা সৃষ্টি করে।

একজিমা বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে

* ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক কাজ
* জেনেটিক্স
* পরিবেশ (শুষ্ক এবং কঠোর জলবায়ুর এক্সপোজার)
* ত্বকের বাধার ত্রুটি ( দীর্ঘায়িত জলের ব্যবহারও একজিমা করতে পারে)
* সংবেদনশীল ত্বকের একজিমা অনেক কারণের দ্বারা হতে পারে যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, ফ্লু এবং পরাগ, ছাঁচে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার মতো নির্দিষ্ট অবস্থার উদ্রেক করতে পারে। তারা একটি দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ফলে একজিমাকে হওয়ার কারণগুলি হল:

*মানসিক চাপ
*শুষ্ক এবং ঠান্ডা জলবায়ু
*উচ্চ বায়ু দূষণকারী এক্সপোজার
*ঘাম এবং তাপ
*সিন্থেটিক এবং পশমী কাপড়ের মতো বিরক্তিকর পদার্থ পরিধান
*শুষ্ক এবং ডিহাইড্রেটেড (আঁশযুক্ত) ত্বক
*অন্যদের মধ্যে সুগন্ধি, মেকআপ, সাবান, ধুলো, বালি এবং সিগারেটের ধোঁয়া অন্তর্ভুক্ত
নির্দিষ্ট দ্রাবক এবং ডিটারজেন্ট, ক্লোরিন

লক্ষণ
১. ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার আগেও বেশিরভাগ চুলকানি হয়। চুলকানি সংবেদন সহ ত্বকের শুকনো প্যাচ এবং ক্রাস্ট সহ খোলা ঘা হতে পারে। স্ক্র্যাচ করলে, এই ঘাগুলি সংক্রমিত হতে পারে।

২. চুলকানি, লাল, ঘন বা ফাটা শুষ্ক ত্বকের দাগগুলি প্রায় হাত, মুখ, ঘাড় এবং পায়ে দেখা যায়। হাঁটু এবং কনুই এর ভিতরের creases প্রায়ই ছোট শিশুদের জড়িত হয়. শিশুদের মধ্যে, মুখও প্রভাবিত হতে পারে।

৩. বিভিন্ন ধরণের একজিমা বিভিন্ন উপসর্গের কারণ হয়ে থাকে তবে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলি

স্কেলিং: ত্বকের উপরিভাগ রুক্ষ, আঁশযুক্ত চেহারা যেমন ত্বকের ফ্লেক্স থাকে।

চুলকানি: একজিমার সময়, ত্বকের ক্ষতি প্রায়ই ঘামাচির কারণে হয় এবং এটি তীব্র হতে পারে।
ত্বকে তরল-ভরা এবং পুঁজ-ভরা ফোস্কা যা ক্ষরণ করতে পারে এবং ক্রাস্ট তৈরি করতে পারে।
আক্রান্ত ত্বকে লালভাব লক্ষ্য করা যায়। এতে রক্তপাত হতে পারে এবং দাগ দেখা দিতে পারে।

ফাটল: মাঝে মাঝে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত ত্বকে বেদনাদায়ক, গভীর ফাটল দেখা দিতে পারে, যাকে ফিসারও বলা হয়।

নিউমুলার একজিমায়, মুদ্রার আকৃতির (গোলাকার) ফুসকুড়ি ত্বকের পৃষ্ঠের এক বা একাধিক স্থানে দেখা যায় এবং সাধারণত ছত্রাকের সংক্রমণে বিভ্রান্ত হয়।

ডিশিড্রোটিক একজিমায়, ত্বকে লাল বা পরিষ্কার তরল-ভর্তি বাম্প তৈরি হয় যা “বুদবুদ” দেখায়। স্ক্র্যাচ করলে, তরল বেরিয়ে যায় এবং ত্বকে ভেজা চেহারা দেয়।

স্টেটোটিক একজিমায়, রোগীদের পাতলা, শুকনো, ফাটল দেখা যায়। এটি সাধারণত নীচের পায়ে প্রদর্শিত হয়।

পায়ের তালু এবং তলায় জড়িত হওয়া স্বাভাবিক নয় এবং এটি অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং স্ক্যাবিসের মতো ছত্রাক সংক্রমণের পরামর্শ দিতে পারে। চোখের পাতা প্রায়ই ফোলা, লাল এবং চুলকায়।

৪. নিচের যে কোনটি অভিজ্ঞ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে

একজিমার প্রদাহ হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিমগুলিতে সাড়া দেয় না যা মাঝে মাঝে উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ফুসকুড়ি বিকাশ এবং হাঁপানি বা একজিমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে।

কখনও কখনও আপনার একজিমার দাগের উপর পুঁজ-ভরা ফোস্কা বা হালকা বাদামী ক্রাস্ট তৈরি হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে কারণ এটি একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নির্দেশ করে।

আপনার একজিমা-হারপেটিকাম হতে পারে যখন একজিমার প্যাচের উপর অসংখ্য, একাধিক, ছোট তরল-ভরা ফোস্কা তৈরি হয়। এটি বেশ বিরল কিন্তু একটি সম্ভাব্য গুরুতর জটিলতা।

একজিমা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। একজিমা ছড়িয়ে পড়ার সময়, ভাইরাল ত্বকের রোগের সংস্পর্শে এলে যৌনাঙ্গে ঘা বা ঠান্ডা ঘা হতে পারে।

একজিমার প্রকার
অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসকে সাধারণত একজিমা বলা হয়। এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ধরনের একজিমা।

১/ এটোপিক ডার্মাটাইটিস : এটি একজিমার সবচেয়ে সাধারণ রূপ। এটি সব বয়সের লোকদের প্রভাবিত করতে পারে।

এটি নিম্নলিখিত কারণগুলির সংমিশ্রণ দ্বারা সৃষ্ট হয়:

* ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক কাজ
* জেনেটিক্স
* পরিবেশ (শুষ্ক এবং কঠোর জলবায়ুর এক্সপোজার)
* ত্বকের বাধার ত্রুটি (জল দীর্ঘায়িত এক্সপোজার এছাড়াও একজিমা ট্রিগার করতে পারে)
সংবেদনশীল ত্বক (কঠোর সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার)
* রুক্ষ পোশাক (পশমী এবং সিন্থেটিক কাপড়ের সংস্পর্শে আসা)
* গৃহস্থালী রাসায়নিক (দ্রাবক, ডিটারজেন্ট)
* খাবার, ধূলিকণা এবং অ্যালার্জি
* এটোপিক ডার্মাটাইটিসের জন্য চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত

* স্টেরয়েড মলম এবং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে
* ময়শ্চারাইজিং পণ্যগুলি ত্বককে লুব্রিকেট এবং ময়শ্চারাইজ করে
* সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক

২. যোগাযোগের ডার্মাটাইটিস : জ্বালা, চুলকানি এবং লালভাব সাধারণত এই ধরনের দেখা যায়। হাত বিশেষ করে যোগাযোগের ডার্মাটাইটিস বিকাশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিসের প্রকারগুলি হল:

বিরক্তিকর কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: এই একজিমা তৈরি হয় যখন ঘন ঘন হাত ধোয়ার ফলে এবং রাসায়নিক পদার্থের সাথে প্রতিদিন বা বারবার বিরক্তির সংস্পর্শে আসার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্টেরয়েড ওষুধ এবং ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রায়শই এই ধরনের ডার্মাটাইটিসের চিকিত্সা।

অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস: নিকেল, পয়জন আইভি এবং প্রসাধনীর মতো অ্যালার্জি-উদ্দীপক পদার্থ স্পর্শ করার পরে এটি বিকাশ লাভ করে। স্থানীয় প্রয়োগের জন্য স্টেরয়েড ওষুধ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

ডার্মাটাইটিসের যেকোন প্রকারের ক্ষেত্রেই অ্যালার্জেন বা বিরক্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের সুরক্ষা গ্লাভস পরে করা যেতে পারে। যেকোনো ধরনের ডার্মাটাইটিসের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।

৩. ডিশিড্রোটিক ডার্মাটাইটিস

এই অবস্থা মহিলাদের মধ্যে আরো সাধারণ। এটি সাধারণত আঙ্গুল, হাতের তালু এবং পায়ের তলায় প্রভাবিত করে। এটি ত্বকে চুলকানি, আঁশযুক্ত প্যাচ সৃষ্টি করে যা লাল হয়ে যায়। ত্বক ফাটা হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়।

৪. নিউমুলার ডার্মাটাইটিস

পুরুষরা বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়। শীতকালে, এটি ত্বকে শুষ্ক, গোলাকার দাগ সৃষ্টি করে।

৫. সেবোরিক ডার্মাটাইটিস

এটি সাধারণত কানের পিছনে, নাকের পাশে, ভ্রুতে এবং বিশেষ করে মাথার ত্বকে ঘটে। এটি লাল, আঁশযুক্ত ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে এবং চুলকায়।

৭. স্ট্যাসিস ডার্মাটাইটিস

বেশিরভাগ বয়স্ক জনগোষ্ঠীতে, এটি ঘটে যখন পায়ের শিরাগুলি ফুলে যায় এবং তরল বের হয় (পায়ে দুর্বল সঞ্চালনের কারণে) ফোলা, চুলকানি এবং ত্বক লাল হয়ে যায়।

জটিলতা

১) নিউরোডার্মাটাইটিস: একটি চুলকানিযুক্ত আঁশযুক্ত ত্বক একটি প্যাচ হিসাবে বিকাশ হতে পারে। এটি লাইকেন সিমপ্লেক্স ক্রনিকাস নামেও পরিচিত। আক্রান্ত ত্বকের পৃষ্ঠটি পুরু, বিবর্ণ এবং চামড়াযুক্ত হতে পারে। এই অবস্থায় চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী।

২) হাঁপানি এবং খড় জ্বর: ছোট শিশুদের মধ্যে, একজিমা হাঁপানি এবং জ্বর হতে পারে। শিশুরা সাধারণত 13 বছর বয়সের মধ্যে এই অবস্থাগুলি বিকাশ করে।

৩) ঘুমের সমস্যা: চুলকানি-স্ক্র্যাচ চক্রের কারণে ঘুমের গুণমান প্রভাবিত হতে পারে।

৪) ত্বকের সংক্রমণ: বারবার ঘামাচির ফলে ত্বক ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে খোলা ঘা এবং ফাটল হতে পারে। এটি হারপিস ভাইরাস সহ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

রোগ নির্ণয়
এটি সাধারণত চুলকানি, শুষ্ক, আঁশযুক্ত ত্বক বা ত্বকের ফুসকুড়ির লক্ষণ এবং লক্ষণগুলির সাথে নির্ণয় করা যেতে পারে। আপনি যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি বিকাশ করেন তবে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন আপনার ত্বক পরীক্ষা করে এবং আপনার চিকিৎসা ইতিহাস পর্যালোচনা করে আপনার চিকিত্সক দ্বারা নির্ণয় করা হয়।

একজিমার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। ফুসকুড়ি থেকে স্কেলের নমুনাগুলি একটি ছত্রাক সংক্রমণ (দাদ) বা একজিমা কিনা তা পার্থক্য করার জন্য একটি মাইক্রোস্কোপের নীচে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ত্বকের বায়োপসি (ত্বকের একটি অংশ) মাঝে মাঝে করা হয় তবে এটি অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং এটোপিক ডার্মাটাইটিসের মধ্যে পার্থক্য করতে সহায়ক নয়।

একটি শিশুর তল এবং তালুর একজিমা আছে, ত্বক স্ক্র্যাপিং করা আবশ্যক যাতে একজিমাকে স্ক্যাবিস থেকে আলাদা করা যায়।

যদি চিকিৎসক সন্দেহ করেন যে একটি নির্দিষ্ট খাবারের কারণে একজিমা ফুসকুড়ি হচ্ছে, তবে তিনি আপনাকে খাদ্য পণ্য এড়িয়ে চলতে বলতে পারেন এবং আপনার খাদ্য অ্যালার্জির ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

চিকিৎসক অন্যান্য ত্বকের রোগগুলি বাতিল করতে পারেন এবং অন্যান্য ত্বকের পরীক্ষা এবং প্যাচ টেস্টিং ব্যবহার করে একজিমা সৃষ্টিকারী অবস্থাগুলি সনাক্ত করতে পারেন।

একজিমায় সাধারণত চুলকানি হয়, যা সোরিয়াসিসে দেখা যায় না। সোরিয়াসিসেও চুলকানি থাকে না। সোরিয়াসিস প্রায়ই মাথার ত্বকে জড়িত কিন্তু একজিমা কদাচিৎ মাথার ত্বকে জড়িত।

গাঢ় ত্বকযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে, ফ্লেয়ারের সময় বা পরে ত্বকে পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং একজিমা ফুসকুড়ি গাঢ় এবং হালকা রঙের মিশ্রণ হতে পারে। হালকা ত্বকযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে, সক্রিয় একজিমা লাল দেখাতে পারে এবং এটি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এটি বিবর্ণ হতে পারে। ত্বকের টোটাল ডিগমেন্টেশন দেখা যায় ভিটিলিগো বা ডিসকয়েড লুপাসের মতো অবস্থায়।

চিকিৎসা
একজিমা একটি দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের অবস্থা এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক মাস বা বছর লাগতে পারে। চিকিৎসা তাড়াতাড়ি শুরু করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে একজিমার স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগের পুনরাবৃত্তি খুবই সাধারণ এবং দীর্ঘায়িত চিকিৎসা গ্রহণের পরেও লক্ষণগুলি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

 

দীর্ঘ সময় মিলন করার ৩০টি পদ্ধতি জেনে নিন

যৌন মিলন মানে দীর্ঘ সময় মিলন করতে সব পুরুষই ও মহিলা উভয়ই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজ আমরা দীর্ঘ সময় মিলন করার ৩০টি পদ্ধতি সম্পকের্ আলোচনা করব দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি সমূহ।

অনেকে আবার এই সব বিষয় নিয়েও খুজে থাকেন। দীর্ঘ সময় মিলন করার ঔষধ, দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট, দীর্ঘ সময় সহবাস করার পদ্ধতি, দীর্ঘ সময় সহবাস করার হোমিও ঔষধ, দীর্ঘ সময় মিলনের জন্য ঔষধ, শারীরিক মিলন পদ্ধতি, দীর্ঘ সময় মিলন করার ট্যাবলেট, বেশি সময় মিলন করার ট্যাবলেট তাই সব সমাধান এক সাথে দেওয়া হলো।

পৃথীবিতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনও না কোনও এক সময় এই অভিযোগটা করেন, যে বিয়ের কিছু বছর পরেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়। একদিনে নিঃশেষ হয়ে যায় না; নিঃশেষ হতে থাকে ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ। বিশেষ করে স্বামীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীদের প্রতি। আবার স্ত্রীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্বামীর প্রতি।

আর ফলাফল হয় পরকীয়া ! সংসার ভাঙুক বা না ভাঙুক, সম্পর্ক ঠিকই ভাঙে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এমন কেন হয়? দুটো মানুষ পরস্পরকে খুব ভালোবেসে বিয়ে করলেও কেন হারিয়ে যায় আকর্ষণ? কেন হারিয়ে যায় স্বাভাবিক মিলন করার মন মানসিকতা আর কিভাবেই তা ফিরে পাওয়া যায়?

দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি

সাধারনত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন।

তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।

দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়।

যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন।

(লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)।

চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।

এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে। স্কুইজ পদ্ধতি একবার মিলন করার সময় আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন।

যৌনমিলন কোন বয়সে হওয়া খুব বেশি জরুরী?
মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

সংকোচন (টেনসিং)
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম।

তবে পার্থক্য হল এখানে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।

মিলন কালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কার্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন।

পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন। সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে।

আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।

বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে)
এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলন কালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন।

এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যত্‍ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।

বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন।

মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। একটা বিষয় প্রতিটা পুরুষেরই জেনে রাখা দরকার – বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন।

তাতে আপনারা দু’জনেই লাভবান হবেন। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে।

আরো পড়ুন: যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ ২০১টি প্রশ্ন উত্তর!

কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে তার নিজেরই লাভবান হওয়া। মিলন অধিক সময় স্থায়ী করার মানসিক এবং শারিরীক পদ্ধতি সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা।

নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুত্‍সিতও!

বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে।

অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে।

মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন – একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাঁকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।

সবসময় আগোছালো থাকা
আচ্ছা, প্রতিদিন আপনার ঘরে পরার পোশাকটি কি খেয়াল করে দেখেছেন কখনও? বেশির ভাগ মানুষই ঘরের মাঝে নিজেকে গুছিয়ে রাখেন না।

ভুলে যান যে প্রিয় মানুষটি আপনাকে এই ঘরের মাঝেই দেখছে। তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখুন। একটা বিচ্ছিরি পোশাকের চাইতে একটু টিপটপ পোশাক পরুন, চুলটা আঁচড়ে রাখুন। দেখতে সুন্দর দেখালে আকর্ষণটা অটুট থাকবে চিরকাল।

খিটখিটে হয়ে যাওয়া
একটা জিনিষ সব সময় মনে রাখবেন যে, তিনি আপনার স্ত্রী বা স্বামী হলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার আপনি রাখেন না। বরং তার সঙ্গেই করতে হবে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার। কী বা যাবে আসবে, বিয়েই তো করেছি। এই ভাবনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।

মনের যৌন উত্তেজনা কম করুণ
প্রত্যেক যুবক যৌবনবতী নারীর দিকে তাকাতে বা তাঁর সঙ্গে মিশতে ভালবাসে। এই তাকানোর মধ্যে একপ্রকার যৌনোত্তেজনা মনে জাগে যদি কোন সুন্দরী নারীর দেহের কিছুটা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে উত্তেজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

আধুনিককালে মেয়েরা, যুবতীরা যে ভাবে দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ অনাবৃত রেখে জামাকাপড় পরে তাতে পুরুষের যৌন উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া সিনেমায়, সিনেমার বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনে, স্নানের ঘাটে অথবা সমুদ্রতীরে, বিজ্ঞাপনে অর্ধ নগ্ন নারীদেহ নিয়তই পুরুষের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনার ক্রমাগত আঘাত পুরুষের স্নায়ুচক্রের অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়।

তাই, পুরুষ যখন কোন জীবন্ত নারীর নগ্নদেহের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে বা খারাপ ছবি দেখে কিংবা চটি গল্প পড়ে-তখন তাঁর মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, সেই উত্তেজনাই তাঁর স্নায়ুদের বিকল এবং অনুভূতিহীন করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

কিন্তু পুরুষ মাত্রকেই ‘চরম উত্তেজনা’ এবং ‘মাত্রামতো উত্তেজনা’ এর মাঝে সীমারেখা টানতে শিখতে হবে। মনে উত্তেজনার শিহরণ যত কম হবে পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা তত বেশী শক্তিশালী হবে।

এমন অনেক অবিবাহিত বা সদ্যবিবাহিত যুবক আছেন-যারা যৌন জীবনের সঙ্গিনীর কাছে গেলেই লিঙ্গ থেকে কামরস ক্ষরণ হতে শুরু করে-তারপর সঙ্গিনী যখন মিলন কামনা করে তখন লিঙ্গে উত্তেজনা হয় না।

বাইরের টেনশন ঘরে নয়
আপনার আর্থিক দুঃশ্চিন্তা, চাকুরী বা ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্বিগ্ন মনোভাব, সংসারের অন্যত্র সংঘটিত কোন কলহজনিত অশান্তি, আপনার দাম্পত্যশয্যায় বয়ে নিয়ে যাবেন না। ঐ দ্বন্দ্ব কহলজাত যে উদ্বিগ্ন মনোভাব, তা পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা স্তিমিত করে দেয়, পুরুষকে উত্তেজনাহীন করে দেয়।

আজকের পৃথিবীতে এত বেশী ব্লাডপ্রেসারের আমদানীর মূলও মানসিক উদ্বেগ। মানসিক উদ্বেগ দেহের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। দেহের প্রত্যেক বিভাগ এই উদ্বেগের জন্য আহত হয়।

পাকস্থলী এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আর যেসব স্নায়ু যৌনাঙ্গকে পরিচালনা করে তারা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মধ্যবয়সী পুরুষ এই জাতের মানসিক উদ্বেগের জন্য যৌনজীবনে নিরুত্‍সাহ হয়ে পড়েন-শেষে একেবারে যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন।

ধরুন, আপনি যদি কোন রাত্রিতে শুনতে পান যে, আপনার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা বন্ধু মারা গেছে, কি আপনারা এক নিদারুণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেদিন কি আপনার যৌন মিলন করার প্রবৃত্ত হতে প্রেরণা জাগে? নিশ্চয়ই না।

যেদিন আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোন কারণে ভীষণ মনোমালিন্য হয়-সেদিন কি আপনার রতিমিলনে প্রবৃত্ত হতে ইচ্ছা হয়? নিশ্চয়ই না। অতএব মানসিক উদ্বেগকে যথাসম্ভব আপনার দাম্পত্যশয্যা থেকে দূরে রাখুন।

যৌন মিলনে ধূমপান মদ্যপান বাদ দিন
যারা ধূমপান করেন, তাঁরা বোধ হয় লক্ষ্য করেছেন, যে মানসিক অশান্তি বা উদ্বেগের সময় মানুষ খুব বেশী ধূমপান করে। ধূমপান করলে শরীরে যে নিকোটিনজাত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুর উপরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাতে সাময়িক উদ্বেগ বাড়ে এবং স্নায়ুবিক দৌর্বল্য আধিক্য লাভ করে।

তামাকের নিকোটিন মানুষের রক্তকোষের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রক্তের কোষগুলি এর প্রভাবে একটার গায়ে আর একটা আটকে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যৌন মিলন করার জন্য অবশ্যই রক্ত প্রবাহের সঠিক গতি এবং চলাচল ক্রিয়া অত্যন্ত দরকারী।

আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যমান মানুষের স্নায়ু এবং অনুভূতি শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। মানুষ যখন মদের প্রভাবে থাকে, তখন তাঁর পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব এবং তা সে নিজের অবচেতন মনের ইচ্ছার দ্বারা করে। তখন মনের যেমন কোন শক্তি থাকে না, দেহেরও তেমনি শক্তি থাকে না। মদ মানুষের অনুভূতিশক্তি এবং মিলন করার শক্তিকে এইভাবে ধ্বংস করে দেয়।

যৌন মিলন স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে
সাধারণ ভাবে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মঠ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। দেহের স্নায়ুচক্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন ই ।

কারণ, পুরুষের মিলন অক্ষমতার মূলে থাকে স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা বা অসুস্থতা। প্রোটিন খাদ্য দেহকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে। যৌনমিলনে দৈহিক শক্তিরও বেশ একটা প্রয়োজনীয় স্থান আছে।

খাদ্যের অভাবে, পুষ্টির অভাবে দেহ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রন্থিরা ঠিকমতো পুষ্টি পায় না-ফলে যৌনমিলনে যেসব জিনিস দেহের দরকার তারা নিস্তেজ থাকায় কাজ করে না বলেই যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসে ব্যায়ম করা দরকার
যৌনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য দেহের মাংসপেশীর স্বাস্থ্য যেমন দরকারী, তেমনি দরকার দেহের মধ্যে রক্তের সঠিক সঞ্চালন। আর এই দুইটির একটির জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম-অন্যটির জন্য মুক্ত বাতাস।

ব্যায়াম করলে দেহের মাংসপেশীরা উপকৃত হবে, ঠিকমতো গড়ে উঠবে এবং বৃদ্ধি পাবে। আর মুক্ত বাতাস থেকে অক্সিজেন পেলে রক্ত চলাচল সঠিক হবে। যৌন উত্তেজনা হলে দেহের পেশীগুলি যেমন স্ক্রিয় হয়, তেমন রক্ত চলাচলের গতিও বৃদ্ধি পায়। চাইলে যোগ ব্যায়াম ও করতে পারেন।

প্রয়জন সহযোগিতার
পুরুষের যৌন মিলন করার অক্ষমতা নারীর সহযোগিতা পেলে অনেকাংশে দূর হয়। যৌন জীবনের সঙ্গিনী যদি পুরুষকে সাহায্যে করে তাহলে যৌন মিলন অক্ষম পুরুষও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

যৌন মিলন যে সঙ্গীর সঙ্গেই হোক না কেন, মনকে দৃঢ় রাখতে হবে, কোন প্রকার ভীতি সংশয় বা সন্দেহ মনে দেখা দিলে যৌন অক্ষমতা অনিবার্য হয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেক পুরুষ স্বল্প সময়ের মধ্যেই বীর্যপাত করেন, যার ফলে নারী অতৃপ্ত থেকে যায়। তাই মিলন করার সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত। যৌন মিলন বা দীর্ঘ সময় মিলন করার সম্পকের্ পদ্ধতি আরো যা খেয়াল রাখবেন –

নিজেকে অযথা উত্তেজিত হতে দিবেন না, ধৈর্য ধরুন। উত্তেজিত হলে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করা সম্ভব নয়।
সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তাকে ভালোবাসুন।
চুম্বন দিয়ে শুরু করুন এবং তা দীর্ঘায়িত করুন।
স্পর্শ কাতর অংশে প্রথমেই হাত দিবেন না।
সঙ্গিনী পুরোপুরি উত্তেজিত হবার ১-২ মিনিট পর মিলন করার প্রস্তুতি নিন।
কখনোই জোর করে কিছু করবেন না অথবা জোর করে দীর্ঘায়িত করবেন না।
সঙ্গীনির পছন্দ অনুযায়ী আসন পরিবর্তন করুন। কারণ আসন পরিবর্তনে মিলনের ইচ্ছা পুনরায় বেড়ে যায় যার কারণে দীর্ঘসময় মিলন করা সম্ভব।
একজনের আমন্ত্রনের জন্য অন্যজন বসে থাকবেন না।
কারো আগে পরে বীর্যপাত হলে কিংবা শক্ত না হলে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। মাঝে মাঝে এরকম হতেই পারে।

যদি কেউ যৌন অক্ষমতার দরুণ যৌনজীবনে বিপর্যস্ত হতে বসেন, তবে তাঁর উচিত্‍ কোন ভাল চিকিত্‍সককে দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গ ও প্রষ্টেট সংক্রান্ত অঙ্গগুলি পরীক্ষা করা এবং মানসিক কারণটি খুঁজে বের করা।

রতিবিরতিতে ব্রহ্মচর্য লাভ হতে পারে কিন্তু যৌন জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের যৌন জীবন যৌবনের যত প্রথমে শুরু হয় তারা তত বেশি দিন যৌন জীবনে সক্রিয় থাকেন। অবশ্য এর জন্য দেহ এবং মনের যত্ম নিতে হবে, পরিত্যাগ করতে হবে অসুস্থ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।

উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া।

মানুষের জীবনের অনেক ঘটনাই ঘটে। কারণ ‍যুবকটি যখন বিয়ে করে তখন সে দু’চার বছর ধরে স্ত্রীর সাথে অনায়াসেই সহবাস চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে মানসিক, দৈনিক ও পরিবেশগত কারণে শরীরে Body Fluid বা ধাতুরস ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকলে তখন এটা ধরে রাখা  আর সম্ভব হয় না।

নাইট কিং ব্যবহারে যৌন সমস্যার সমাধান করে। যেমন অল্পক্ষণেই বীর্যপাত হয়ে যাওয়া, বেশিক্ষণ সহবাস করতে না পারা, সন্তান না হওয়া, প্রস্রাবের আগে পরে বীর্যপাত, সামান্য চাপেই বীর্যপাত, অসময়ে বীর্যপাত, পেনিসে ব্যথা-বেদনা ইত্যাদি সমস্যার জন্য একশত ভাগ কার্যকরী ও পরীক্ষিত।

যাদের লিঙ্গ সহবাসের সময় নরম হয়ে যায়, বেশিক্ষণ সহবাস করতে পারেন না, নাইট কিং তাদের জন্য আদর্শ। সারাদেশে হাজার হাজার মানুষ এটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। এটি ভেষজ মেডিসিন।এতে কোনো প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার হয়নি বলে এটি ব্যবহারে কোনোপ্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

নাইট কিং ও নাইট কিং গোল্ড সেবনে দেহে সিমেন সংখ্যা বাড়ে। ফলে হারানো যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায় ঠিক যেনো যৌবনকালের মতোই।

হাকীম মো. মিজানুর রহমান সবসময় অর্ডার ও রোগীর বিষয়টি  সার্বক্ষণিক নজর রাখেন। অত্যন্ত সুনাম ও বিশ্বস্ততার সাথে সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসযোগে ডেলিভারী করে থাকি। হাকীম মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ঔষধ ডেলিভারী প্রদান করা হয় বলে প্রতারিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।তিনি দীর্ঘ ছয় বছর যাবত দেশের ও বিদেশের এ সমস্ত রোগীদেরকে সরাসরি ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ ডেলিভারী প্রদান করেন।

আপনার প্রয়োজন হলে সরাসরি তাঁর সাথে আপনার সমস্যার কথা বলে পরিপূর্ণ কোর্স গ্রহণ করতে পারেন।

কুরিয়ার সার্ভিসে পেতে হলে কুরিয়ার সার্ভিস ফি-১৫০/- টাকা অগ্রিম প্রদান করে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে।

ঔষধ নিতে হলে আপনাকে কুরিয়ার সার্ভিস খরচ ১৫০/- টাকা বিকাশ করে কনফার্ম করলে সুন্দরবন পরিবহনে কন্ডিশনে আপনার জেলায় ঔষধ পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ঔষধের মূল্য কুরিয়ার সার্ভিস থেকে পরিশোধ করে সেখান থেকে ঔষধ নিতে পারবেন। ভেতরে বিস্তারিত সব ব্যবহার বিধি লিখে দেয়া হবে।

ঔষধ পেতে নিম্নে বর্ণিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে আপনি সরাসরি অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় ঔষধ গ্রহণ করতে পারবেন।

রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন :

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।

অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।

কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।

হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।

কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।

শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-

১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।

২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।

৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।

এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

কারণগুলি কি কি হতে পারে ?

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-

১. ডায়াবেটিস,

২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,

৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,

৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।

আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।

এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।

এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।

মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. সহ/বাসে অসমার্থতা।

২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।

৩. অসময়ে বী/র্যপাত।

৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।

৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।

৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।

৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।

 

ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম ডা. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার

একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

চিকিৎসকের মুঠোফোন : 

01762240650

( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: