যেসব অভ্যাস অজান্তেই বাড়িয়ে তুলছে ডায়বেটিসের ঝুঁকি

মানুষের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে, অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি খেলে বেড়ে যেতে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ। এই ধারণা ছাড়াও এমন কিছু অভ্যাসও রয়েছে যা আপনার মধ্যে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, সেগুলি কোন অভ্যাস গুলো, দেখে নিন এক নজরে-

কাজের চিন্তা হোক বা অন্য কোনও মানসিক দুশ্চিন্তা- যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ প্রভাব ফেলে শরীরের ওপর। আর এই অত্যধিক স্ট্রেস জীবনে ডেকে আনে ডায়বেটিসের মত ক্রনিক রোগকে।

ঘুম শরীরের জন্য বিশেষ জরুরি। নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে, প্রতিদিন অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে আপনিও ডায়বেটিসের শিকার হতে পারেন।

শরীরকে হাইড্রেড রাখেন তো? পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলেই শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে যায়, যেখান থেকে রক্তে বাড়তে পারে শর্করার পরিমাণ।

অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাওয়া। বিশেষত ঘন ঘন কফি ও চা পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

স্বাস্থ্য ডায়েট মেনে চলেন না? সকালে ব্রেকফাস্ট করেন না? নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করেন না? এই অস্বাস্থ্যকর জীবনধারাই আপনাকে এই রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলে।

যত বেশি কৃত্রিম চিনি যুক্ত খাবার খাবেন, ততই বাড়বে ডায়বেটিসের সম্ভাবনা। কারণ এই চিনি মেটাবলিজ হতে সময় নেয় অনেক।

ডায়াবেটিস একটি গুরুতর অবস্থা এবং দিন দিন এর ব্যাপক প্রকোপ সাধারণ জনগনের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই রোগ মানুষকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারনে সৃষ্ট অন্ধত্বের ঝুঁকিতে নিয়ে যায় এবং এর ফলে যে পরিমান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয় তা অনেক সময় কোন দুর্ঘটনা বা ট্রমার কারনেও করতে হয় না।

দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং আরো গুরুত্বর ক্ষতি এড়ানোর জন্য দিনের পর দিন একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রার মাঝে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে একটি অন্যতম শর্ত। তাই উল্লেখিত ভেষজ উপাদান গুলো প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

বর্তমান যুগে ডায়াবেটিস নামের মধ্যেই যেনো এক প্রকার আতঙ্ক ও উদ্বেগ জড়িয়ে রয়েছে। আজকের যুগে বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। তবে এ রোগ প্রতিকারের রয়েছে অনেক সহজ পন্থা। যার সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। সেই সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরী।

গ্লুকো কেয়ার : গ্লুকো কেয়ার-এ রয়েছে সয়া প্রোটিন, আমলকী, করলা, জামবীজ, আলফালাফা পাতা, রসুন, মেথি, চিরতা ও কালো জিরাসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদান। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।

সেবন বিধি : সকাল : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর এক চামচ ভাত বা দুই টুকরো রুটি বা রুটি না খেয়ে সালাদ খাওয়া উত্তম। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (ঘরমবষষধ ঝধঃরাধ) পান করবেন।দুপুর : ১. বাড়িতে তৈরি খাবার খাবেন, যা তেলমুক্ত (সম্ভব না হলে যত কম তেল খাওয়া যায়)। এর সাথে সালাদ খাবেন। ২. আধা ঘণ্টা পর দুই চা চামচ টক দই খাবেন।রাত : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর শুধুমাত্র সালাদ খাবেন। এই ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ভাত বা রুটি খাওয়া চলবে না। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (Nigella Sativa) পান করবেন।

করণীয় : সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট এবং রাতে খাবারের পর ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন। দৈনিক চার গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানি পান করবেন। ব্লাড প্রেসার থাকলে নিয়মিত চেক করবেন।

বর্জনীয় : তেল-চর্বি জাতীয় খাদ্য এবং কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে। ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। ফার্স্টফুড এবং চিনি জাতীয় খাদ্য নিষেধ।

পরামর্শ :

১। প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খাবেন। যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।

২। সঠিক সময়ে খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।

৩। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করতে সাহায্য করে।

৪। সর ছাড়া দুধ ও ডিম খান। তেল খেলে তা খুব অল্প পরিমাণে খাবেন।

৫। ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।

৬। সম্ভব হলে দিনে দুইবার আপেলের রস খান।

ডয়াবেটিস রুখতে বেশ কিছু ভেষজ প্রতিকারও রয়েছে। জেনে নিন সেসব প্রতিকার সম্পর্কে :

১। ডায়াবেটিস রোধে জাম খুব উপকারী। এটি শর্করাকে শ্বেতসারে রূপান্তরিত হতে বাধা দেয়।

২। রসুন এই রোগেরই একটি অন্যতম ভেষজ প্রতিকার। রসুনে অ্যালিসিন থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।

৩। প্রতিদিন সকালে যদি ৫ থেকে ১০টি তাজা কারী পাতা খাওয়া যায়, তবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ।

৪। টাটকা আমের পাতাকে একগ্লাস পানিতে সেদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে পাতা ছেঁকে যদি সেই পানি পান করা যায়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দু’ধরনের ডায়াবেটিসে মানুষ ভুগছেন। ইনসুলিন ও ডায়ালাইসিস এক্ষেত্রে খুবই বিরক্তিকর এক অভিজ্ঞতা। অনেকে মনে করেন মিষ্টি খাওয়াই ডায়াবেটিসের একমাত্র কারণ। কিন্তু তা নয়। দুঃশ্চিন্তা ও জিন বা বংশগত প্রভাবও ডায়াবেটিস হবার জন্যে দায়ী। কিন্তু বংশগত কারণে আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কিছু আপনার করার থাকবে না।

ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন উপরোক্ত ঔষধ খেতে হবে আপনাকে। সেই সাথে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে আপনার জীবনে। বলা চলে, আপনার দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ভেতর।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্যে আপনি এই নিয়মগুলো মেনে চলুন, আশা করা যায়, অতি দ্রুতই আপনি দুঃশ্চিন্তামুক্ত, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।

খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।

১. প্রতিরাতে শোবার আগে পানিতে ক’টি মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্রাশ করার পর খালি পেটে ওই বীজগুলো খেয়ে ফেলুন।

২. জামরুল ফল ডায়াবেটিস সারানোর জন্যে একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। এর কিছু বীজ ধুয়ে শুকিয়ে, তারপর গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

৩. পেয়ারা এমন একটি ফল, যেটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। সম্প্রতিক একটি গবেষণায় এটি স্পষ্ট যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটির খোসা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই আপনার জন্যে এর খোসা না খাওয়াই ভালো।

৪. আমলা জাতীয় ফল রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে থাকে।

৫. আপনার চা বা কফিতে চিনির পরিবর্তে মধু দিন।

৬. গবেষণায় প্রমাণিত, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করলে দু’ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না।

৭. এছাড়া গ্রিন চা শরীরের রক্তে চিনি ও ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস হলে দেহের রোগ নিরাময় ক্ষমতা কমে যায়। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

চাপ দূর করতে মেডিটেশন : চাপ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। করটিসল, এপিনেফ্রিন এবং গ্লুক্যাজন এসব হরমোন বেড়ে যায় চাপের কারণে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে কমে যায়।

ভালোমতো ঘুম : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো করে ঘুমানো খুব জরুরি। ঘুমের সমস্যার কারণে ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘুম কেবল এসব সমস্যাই নয়, মস্কিষ্ক শিথিল করে মানুষকে কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম : প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। শারীরিক কার্যক্রম দেহে টিস্যুর সংবেদনশীলতা বাড়াতে কাজ করে এবং ওজন ঠিক রাখে। ব্যায়াম রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তাজা খাবার খান : চেষ্টা করুন তাজা খাবার খেতে। কারখানায় খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় অনেক খাবারের মান নষ্ট হয়ে যায় বা কমে যায়। বেশি করে ফল, সবজি, মাছ, মাংস এবং বাদাম খাওয়া ভালো। এসব খাবার কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং চর্বিকে পরিশোধিত করে। এসব খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

মনে রাখবেন, এটি জটিল কোনো রোগ না হলেও একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। তাই ‘গ্যারান্টি’ চিকিৎসার আকর্ষণে না ভুলে নিয়মিত চিকিৎসা নিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : 01742-057854

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

শেয়ার করুন: