টাক মাথায় চুল গজানোর ৫টি ভেষজ উপায় জেনে নিন

মানুষের সৌন্দর্যর কিছু অংশ চুলে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে কিছু অংশই নয়, বলা যায় বেশিরভাগই লুক্কায়িত আছে চুলের সৌন্দর্যর উপর। আর যার মাথায় চুল নেই, বা টাক হয়ে গেছে দেখতে একটু বেখাপ্পা দেখায়, তাই যাদের মাথার চুল টাক হয়েছে তারা এ বিষয়ে সব সময় চিন্তিত থাকেন, বা এটা নিয়ে একটা মানসিক যন্ত্রণায় ভোগেন। আধুনিক কালে অনেক ঔষধ বের হয়েছে, তবে এসব সিনথেটিক ঔষধ ব্যবহার করে বেশিরভাগ মানুষই উপকারের বদলে অপকারের সম্মুখিন হয়েছেন।

মাথায় টাক পড়া নিয়ে সমস্যায় ভুগতে হয় অনেকেরই। পুরুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। চুল পড়তে পড়তে একটা সময় তার ঘনত্ব কমতে থাকে। এরপর চুলের ফাঁক গলে দেখা দেয় টাক। সৌন্দর্যের প্রতীক মাথাভর্তি চুল হারিয়ে তখন মন খারাপ হয় অনেক পুরুষেরই।

অনেকের আবার অল্প বয়সেই টাক পড়ে যায়। যে কারণে তাকে বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক লাগে। তাই টাক নিয়ে চিন্তাটাও থাকে বেশি। এমন কিছু উপায় আছে যেগুলো মেনে চললে টাক মাথায় চুল গজাবে সহজেই।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই ৫টি ভেষজ উপায় সম্পর্কে-

১. নিমপাতা ব্যবহার

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে কাজ করে নিমপাতা। তবে শুধু ত্বকই নয়, এটি চুলের যত্নেও সমান কার্যকরী। টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে নিমপাতা। প্রথমে একমুঠো নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি নামিয়ে ঠান্ডা করে নেবেন। ঠান্ডা হলে বোতলে সংরক্ষণ করবেন। যখনই চুলে শ্যাম্পু করবেন তারপর নিমের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে একদিন এটি ব্যবহার করবেন। এতে মাথার ত্বকের সংক্রমণ ও খুশকির সমস্যা কমবে। চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং নতুন চুলও গজাবে।

২. পেঁয়াজের রস ব্যবহার

পেঁয়াজের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে শরীরের জন্য উপকার নিয়ে আসে। তবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করে টাক মাথায় চুল ফিরিয়ে আনতে পারেন, তা কি জানতেন? পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধ আপনার কাছে ভালো না-ই লাগতে পারে তবে আপনার চুলের জন্য বেশ উপকারী। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে তা চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি তৈরি করার জন্য পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে নিয়ে পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাথায় লাগিয়ে নিন ভালোভাবে। এভাবে আধাঘণ্টার মতো রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই সুফল পাবেন।

৩. মেথি ব্যবহার

নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি উপাদান হলো মেথি। প্রথমে পরিষ্কার পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেই বাটা মেথি সরাসরি চুলে ব্যবহার করুন। চাইলে এর সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। মাথার ত্বক ও চুলে ব্যবহার করার পর অপেক্ষা করুন শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

৪. কালোজিরা ব্যবহার

যদি কেবল মেথি ব্যবহার করে উপকার না পান তাহলে তার সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রথমে এই দুই উপাদান রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। তেলের এই মিশ্রণ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই তেল দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। সপ্তাহে তিন দিন চুলে ব্যবহার করলে সুফল পাবেন।

৫. পেয়ারা পাতার ব্যবহার :

অকালে চুল পড়ে যাওয়া ঠেকাতে অনেকেই এটা-সেটা ব্যবহার করেন। এসব করেও মাথায় নতুন চুল গজাচ্ছে না। এমন অবস্থায় অনেকেই দিশেহারা হয়ে পড়েন। মাথায় যাদের চুল কম বা টাক পড়ে গেছে; এমন মানুষেরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকেন।

চুল পড়ার রয়েছে অনেক কারণ। অনিয়মিত জীবন-যাপন, বংশগতভাবে টাক, কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে চুল পড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের কারণেও চুল পড়ার সমস্যাটি বেড়ে যেতে পারে।

এ ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন রোগে অতিরিক্ত চুল পড়ায় মাথায় টাক পড়তে পারে। তবে চিন্তিত না হয়ে কার্যকরী উপায়ে চুল গজানোর জন্য প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানে ভরসা রাখুন।

তেমনই একটি উপাদান হলো পেয়ারা পাতা। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! পেয়ারা পাতায় আবার কীভাবে চুল গজাবে? প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পেয়ারা পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলোয় ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স রয়েছে। যা চুল পড়া ঠেকাতে পারে। একই সঙ্গে এটি চুল গজাতেও সাহায্য করে।

প্রথমে কিছু পেয়ারা পাতা একটি পাত্রে নিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে নিন। চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঠান্ডা হতে দিন। এবার আপনার মাথার ত্বকে পেয়ারা পাতা সেদ্ধ পানীয় ম্যাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এ উপায় অনুসরণ করলে ফলাফল কিছুদিনের মধ্যে টের পাবেন।

যদিও অনেক কারণে চুল পড়ে মাথা টাক হতে পারে। তাই দীর্ঘদিন ধরে যদি চুল পড়তে থাকে আর মাথা টাক হওয়া শুরু হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি এ টোটকা মেনে চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করুন।

প্রিয় পাঠক, কিছু খাবার আছে, যা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখলে টাক পড়া কমবে।

চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে বা চুল ওঠা কমাতে তিনটি খাবার অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন-

কাঠবাদাম বা আমন্ড:

বাদামটিতে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন নামের যৌগ থাকে, যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এবং চুল ওঠা কমাতে সাহায্য করে। রোজ সকালে খালি পেটে ৮-১০টা কাঠবাদাম খেয়ে টাক পড়া অনেকটা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

ডিম:

ডিমেও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— বায়োটিন বা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৭। তাই চুল উঠে যাওয়া নিয়ে যারা চিন্তিত থাকেন, তারা নিয়মিত ডিম খেলে উপকার পেতে পারেন। এ ছাড়া ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধি ও চুল শক্ত করতে সাহায্য করে।

স্ট্রবেরি:

স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে উপকারী সিলিকা রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অন্যতম উপকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। স্ট্রবেরি নিয়মিতভাবে খেলে চুল বৃদ্ধি হয়। এ ছাড়া স্ট্রবেরিতে রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড এবং এটি চুল ওঠা আটকাতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: