অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?

অ্যাজমা (Asthma) বা হাঁপানি হল ফুসফুসীয় শ্বাসনালির দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। এর বৈশিষ্ট্য হল রোগটি বিভিন্ন মাত্রায় ও বার বার লক্ষণ দেখা দেওয়া এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা না করলে খারাপ হতে থাকা, শ্বসনপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হওয়া, এবং সহজেই বা অল্পতেই ব্রঙ্কোস্পাজম বা শ্বাসনালি সরু হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে যাওয়া যার ফলে হাঁপানি বেড়ে যায়।

লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে শো শো শব্দ হওয়া, কাশি, বুকে চাপ অনুভব করা (বুকের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া), এবং স্বল্প মাত্রায় শ্বাস নিতে পারা।

এগুলো এক দিনে একাধিকবার হতে পারে আবার এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে হতে পারে। ব্যক্তিভেদে হাঁপানির লক্ষনগুলো রাতে বেড়ে যেতে পারে বা ভারি কাজ বা ব্যায়াম বা খেলাধুলা করলেও বেড়ে যেতে পারে।

অ্যাজমা (Asthma) তাই এক গুরুতর অসুখ। এই রোগে থাকলে শ্বাসকষ্ট চরমে ওঠে। এমনকী হতে পারে বিরাট সমস্যা। সেক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই নতুন বছরে ভালো থাকতে পারেন।

অ্যাজমা এক গুরুতর অসুখ। যাঁর এই রোগ রয়েছে শুধু তিনিই জানেন যে কতটা সমস্যা নিয়ে এগিয়ে যেতে হয় জীবনে। এবার নতুন বছরে এনাদেরও ভালো থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালে অ্যাজমা রোগীদের নিচের এই ক’টি নিয়ম মেনে চলতে বললেন চিকিৎসক।

বিশ্বে অ্যাজমা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বায়ুদূষণই যে এই সমস্যার মূল কারণ, তা বারবার বলছেন বিজ্ঞানীরা। এখন তো একদম সদ্যোজাত থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত এই অসুখে আক্রান্ত। তাই আপনাকে অবশ্যই রোগটি নিয়ে ভাবতে হবে।

এই প্রসঙ্গে হাকীম মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাজমা হয় অ্যালার্জি থেকে। এই অসুখে অ্যালার্জির কারণে ফুসফুসের ব্রঙ্কাসে সমস্যা হয়। ছোট ছোট শ্বাসনালী ফুলে যায়, ছোট হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া যায় না। এই অসুখের নামই হল অ্যাজমা। মনে রাখবেন, অ্যাজমা অসুখটির কিছু ট্রিগার রয়েছে।

এই অসুখ থাকলে যাবত কিছু না কিছু সমস্যা রোগীদের লেগেই থাকে। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এবার এমনই কয়েকটি পথ জানালেন চিকিৎসক যার মাধ্যমে রোগ সহজে বশে আনা সম্ভব-

১. ইনহেলার ব্যবহার করুন :

 যদিও এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী। অত্যন্ত দ্রুত সরাসরি ফুসফুসে গিয়ে কাজ করে। ফলে প্রাণ বাঁচে। অপরদিকে খাওয়ার ওষুধ কাজ করতে সময় নেয়। তাই ইনহেলার চিকিৎসক দিয়ে থাকলে ব্যবহার করুন। এটাই আপনাকে সুস্থ রাখবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইনহেলার বন্ধ করা চলবে না। এর থেকে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

​২. ঠান্ডায় এক্সারসাইজ নয়
হাকীম মিজানুর রহমান জানান, এখন শীতকাল। বাইরে চোখ মেললেই বুঝতে পারবেন যে কতটা এয়ার পলিউশন চলছে। কিছুই দেখা যায় না। এই পরিস্থিতিতে এক্সারসাইজ আপনি সকালে বাইরে গিয়ে করবেন না। কারণ একে ঠান্ডা। তার সঙ্গে আবার বাতাসের অবস্থা খারাপ। এই দুই মিলিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রবল। তাই সতর্ক হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এবার থেকে সকালে আর বাইরে এক্সারসাইজ নয়। বরং দিনের অন্য সময় করুন।

​৩. ধোয়া, ধুলো এড়িয়ে চলুন

আপনি এখন বেশি বাইরে বের না হওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ বাইরে ধোয়া, ধুলোতে যা তা অবস্থা। শ্বাস নিতে হচ্ছে বিষাক্ত বায়ুতে। এর থেকে অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান। এবার মাথায় রাখতে হবে যে ধোয়া, ধুলো এড়িয়ে যাওয়া সবথেকে বেশি জরুরি। আর মনে রাখবেন, এখন মেলা বসছে অনেক জায়গায়। সেখানে লোকের ভিড়ে ধুলো উড়বে। তার থেকে হতে পারে বিরাট সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন ধোয়া, ধুলো এড়িয়ে যেতে। এভাবেই ভালো থাকতে পারবেন।

​৪. টিকা নিন

এই মানুষগুলিকে অবশ্যই টিকা নিতেই হবে। কারণ এদের সহজে রোগ চেপে ধরে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা নিন। পাশাপাশি করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে ফেলুন। এই উপায়ে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। জীবাণু আক্রমণ করবে না। অন্যথায় জটিলতা কয়েকগুণ বাড়তে পারে। এই টিকা নেওয়ার আগে একবার নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তিনিই সঠিক রাস্তা দেখাতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। অনায়াসে ভালো থাকতে পারবেন।

​৫. ব্যথার ওষুধ নিয়ে সতর্ক হন

হাকীম মিজানুর রহমান বলেন, এখন বাড়ি বাড়িতে ব্যথায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এই সমস্যা থাকলেই যে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে, এমন নয়। কারণ এই পেইনকিলারের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্যথার ওষুধ খেলে অনেকের অ্যাজমা অ্যাটাক হয়। তাই সতর্ক হয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: