যৌন রোগ কি? এগুলোর কারণ ও প্রতিকার কি?

মূলত সাতটি যৌন রোগ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। গনোরিয়া, সিফিলিস, জেনিটাল হারপিস ছাড়াও ক্লামাইডিয়া, যৌনাঙ্গে আঁচিল, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, হেপাটাইটিস বি এর মধ্যে অন্যতম।

তাছাড়া অনেক পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়। এটাও যৌন রোগের মধ্যে পড়ে। বাংলায় যাকে ধ্বজভঙ্গ বলে।

প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ/যৌনবাহিত রোগ

প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ সংজ্ঞা বলতে প্রজনন তন্ত্রের যে কোন সংক্রমণকে বোঝনো হয়। প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমনের আওতায় মূলত তিনটি বিষয় রয়েছে:

১ । যৌন বাহিত রোগ (STD)
২ । প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ (Endogenous infection) যা প্রজননতন্ত্রে সংগঠিত হয়, কিন্তু যৌনবাহিত নয়। যেমন ক্যানডিডিয়াসিস এবং ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিওনোসিস ।
৩ । আয়াট্রোজেনিক (Iatrogenic) সংক্রমন-যা চিকিৎসাকর্মীদের অসর্তকতার কারণে হয়ে থাকে। যেমন-নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করলে ।

প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ সংজ্ঞা বলতে প্রজনন তন্ত্রের যে কোন সংক্রমণকে বোঝনো হয়। প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমনের আওতায় মূলত তিনটি বিষয় রয়েছে:

প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণের কারণসমূহ

১. স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যৌন মিলন না করলে ।
২. মাসিকের সময় অপরিস্কার কাপড় ব্যবহার করলে তা থেকে সংক্রমণ হতে পারে ।
৩. জীবাণুমুক্ত পরিবেশে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে প্রসব কার্য সম্পন্ন না হলে এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ।
৪. গর্ভপাত করানোর সময় যদি যন্ত্রপাতি জীবাণু মুক্তকরণ না হয় ।
৫. আইইউডি স্বাস্থ্য সম্মতভাবে এবং জীবাণুমুক্ত উপায়ে পরানো না হলে সংক্রমণ ঘটতে পারে ।
৬. মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) স্বাস্থ্যসম্মত এবং সঠিকভাবে জীবাণু মুক্ত না করলে।
৭. যোনিপথে কোনো প্রকার আঘাত লাগলে বা যোনিপথে কোন প্রকার অস্বাস্থ্যসম্মত অস্রোপাচারের ফলে ।

সিফিলিস
ট্রেপোনেমা পেলিডাম (Treponema pahdum) নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। যৌন মিলনের সময় এ জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ সৃষ্টি করে। এই রোগের উপসর্গ সুপ্তকাল ৯-৯০ দিন । তবে সাধারণত ১৪ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায়।

১.প্রাথমিক পর্যায়:

এই স্তর সবচেয়ে ছোঁয়াচে। যৌনাঙ্গে এক বা একাধিক ব্যথাহীন মাঝারি আকৃতি ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের লসিকা গ্রন্থিগুলো…

গনোরিয়া
এটা নাইসেরিয়া গনোরিয়া (Nersserra gonorrhoea) নামক একটা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত একটি যৌনবাহিত রোগ । সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে ।

লক্ষণ ও উপসর্গ

পুরুষের ক্ষেত্রে

তাৎক্ষণিক

মূত্রনালিতে সংক্রমণ
মূত্রনালি হতে পুঁজের মত বের হয়
মূত্রনালিতে সংক্রমন হলে প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালা-পোড়া করে
অনেক সময় লক্ষণগুলো খুব মৃদু কিংবা নাও হতে পারে.
বিলম্বে

হাটু বা অন্যান্য সন্ধিস্থলে ব্যথা করে, ফুলে…
আরও…

হেপাটাইটিস বি
হেপাটাইটিস–বি ভাইরাসজনিত জন্ডিস (Hepatitis B Virus Jaundice)

সাধারণত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে হেপাটাইটিস–বি ভাইরাস দ্বারা এ রোগটি হয় । প্রধানত যকৃতের ওপর এর ক্ষতিকারক দিকটি সবচেয়ে বেশি। ফলে জন্ডিস দেখা দেয়। রোগের সুপ্তিকাল ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস। বেশিভাগ রোগীই আপনা-আপনি ভাল হয়ে যায়। তবে ৫-১৫% রোগী ভালো হয় না। এবং এদের শরীরে ভাইরাসটি থেকে যায় এবং রোগ ছড়াতে পারে। অনেকদিন রোগে ভোগার পর রোগীর লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারের মত জটিলতা…

আরও…

মনিলিয়াসিস /ক্যনডিডিয়াসিস /ইস্ট
মনিলিয়াসিস (Moniliasis) / ক্যানডিডিয়াসিস (Candidiasis) বা ইস্ট

যোনিতে স্বাভাবিকভাবে ক্যানডিডিয়াসিস দেখা দেয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, বহুমূত্র রোগ ও এন্টিবায়েটিক গ্রহণের ফলে এসব জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে । এর ফলে যোনির ভিতরে এবং বাহির জ্বালা যন্ত্রণা এবং চুলকানি দেখা দেয়। কখনও কখনও যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে মনিলিয়াসিস ছড়াতে পারে। তবে এ ধরনের ঘটনা বিরল।

লক্ষণ

যোনিতে মাঝারি থেকে প্রবল চুলকানি, অস্বস্তিকর প্রদাহ।
ট্রাইকোমনিয়াসিস
ট্রাইকোমনিয়াসিস (Trichomonasis)

ট্রাইকোমনিয়াসিস মহিলাদের যোনির প্রদাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং ব্যাপকভাবে সংক্রমিত রোগসমূহের একটি। ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদের যারা যোনিপথের সাদা স্রাবের অভিযোগ করেন তাদের ভিতর অধিকাংশই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ট্রাইকোমনিয়াসিস ‘ট্রাইকোমনিয়াসিস’ নামক এক ধরনের পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে।

কারণসমূহ

মাসিকের সময় নোংরা কাপড় পরলে ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সহবাস করলে।
এই জীবাণু পুরুষের মূত্রতন্ত্রে এবং যোনাঙ্গে থাকে তবে পুরুষের দেহের কোনো ক্ষতি সাধন করে না।

পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিস
তলপেটে প্রদাহ (Pelvic Inflammatory Diseases) হলে স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের ভিতরের অঙ্গের সংক্রমণ । সাধারণত এতে জরায়ু, ডিম্ববাহী নালি, ডিম্বকোষ ও পার্শ্ববর্তী পেলভিক টিস্যুগুলো আক্রান্ত হয় । এসব টিস্যুতে জ্বালা-যন্ত্রণা, প্রদাহ ও স্ফীতি দেখা যায় । বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু দ্বারা তলপেটে প্রদাহ (PID) হতে পারে । তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি গনোরিয়া এবং ক্ল্যামেডিয়ার মতো ।

লক্ষণ ও উপসর্গ

তলপেটে ব্যথা এর প্রাথমিক লক্ষণ। প্রথম দিকে একটা মৃদু ব্যথা…

ক্ল্যামেডিয়া সংক্রমণ (Chlamydia Intection)

এটি অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ বিশেষ করে গনোরিয়ার সাথে এক সঙ্গে দেখা যায়। ক্ল্যামেডিয়া নামক জীবাণু দ্বারা এটি সংক্রমিত। ক্ল্যামেডিয়া যৌন মিলনের ফলে ছড়ায়। আক্রান্ত মা থেকে সদ্যজাত শিশুর দেহে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে।

লক্ষণ এবং উপসর্গ

সাদা অথবা হলুদ বা ভিন্ন রং পুঁজ সদৃশ স্রাব দেখা যায়।
যোনিপথে লাল রং-এর ক্ষত দেখা যায় যা থেকে রক্ত ঝরতে পারে।
যৌন মিলনে রক্তপাত হতে পারে।
উপসর্গ…
আরও…

হার্পিস জেনিটালিয়া
হার্পিস জেনিটালিয়া (Herpes Genitalia)

হার্পিস সিমপ্লেক্স (Herpes Simplex) নামক একটি ভাইরাস থেকে এই রোগ হয় ।

লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ

ছোট ছোট ফোসকার মতো যন্ত্রণাদায়ক ক্ষত
চুলকানি
সহবাসে ব্যথা
পানির মতো স্রাব যেতে পারে;
উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন ।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: