কথায় বলে, নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না৷ আমাদের সমাজব্যবস্থায় কারণেই যে এ কথার জন্ম তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি মুখ ফুটতে চাইলেও তা ফুটতে দেওয়া হয় না! বা সে কথায় কান দেওয়া হয় না৷ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নারীদের যৌন ইচ্ছা সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল তথ্য পুরুষের মনে গেঁথে রয়েছে।
বলতে গেলে, প্রায় সব পুরুষের মনেই এই ভুল তথ্যগুলো রয়েছে এবং সেগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। চলুন তাহলে সেই ভুল ধারণাগুলো জেনে নিই এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই।
নারীদের চেয়ে পুরুষরাই যৌনতা বেশি পছন্দ করে : যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষদের ইচ্ছেপূরণে নারীরা যৌনতা অবদমিত করে রাখা থেকেই এ ধারণার জন্ম৷ হয়তো নারীদের যৌনতার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে কিংবা যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের চেপে রাখার কারণেই এ কথার প্রচলন হয়েছে৷ তাই যৌবনের শুরু থেকে পুরুষরা যৌনতার দিকে একটু বেশি ঝুঁকে।
নারীরা যেন এ ব্যাপারে নিজেদের একটু আড়াল করেন৷ আসলে টেস্টোস্টেরণ হরমোনের কারণে পুরুষের যৌনতার ইচ্ছে একটু বেশিই হয়৷ নারীরা আবেগপ্রবণ হওয়ায় যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিক্রিয়া শারীরিক হয় না সবসময়৷
কিন্তু এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যৌনতার ইচ্ছের দিক দিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীরা কোনো অংশে কম যান না। যৌনতার ক্ষেত্রে যতটা মনে করা হয় নারীরা তার থেকেও বেশি আগ্রহী বলেই প্রমাণ পেয়েছেন সমীক্ষকরা৷
নারীদের ভাবনায় যৌনতা কম : যৌনতা তো সারাক্ষণ পুরুষদের মাথায় ঘোরে-এরকম একটা চলতি ভাবনা আছে৷ কিন্তু বিভিন্ন প্রশ্নের ভিত্তিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, এ ধারণা সঠিক নয়৷ পুরুষরা গড়পরতা যতোবার যৌনতা নিয়ে চিন্তা করেন, নারীরা চিন্তা করেন তার থেকেও বেশিবার৷ সুতরাং এ ধারণা এখন থেকে বদলাতেই পারেন পুরুষরা৷
নারীরা ‘হটকে’ পর্নোগ্রাফি পছন্দ করেন না : পুরুষদের মতো নারীরাও যে পর্নোগ্রাফি পছন্দ করেন এটা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু অনেকেই মনে করেন, পুরুষরাই বোধহয় হটকে পর্নোগ্রাফি দেখেন৷ নারীদের এসব অপছন্দ এ ধারণা সত্যি নয়৷ হোমোসেক্সুয়াল পর্ন, বা পশুদের সঙ্গে মানুষের পর্নোগ্রাফিও যে নারীদের পছন্দ তা বিভিন্ন পর্ন সাইটের সেকশনের ভিজিটর ডাটা থেকেই স্পষ্ট৷ পৃথিবীখ্যাত পর্নসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে লেসবিয়ান পর্ন নারীরাই বেশি দেখেন।
নারীরা মূলত মনোগ্যামি : নারীরা দৈহিক মিলনের ক্ষেত্রে এক পুরুষেই আস্থা রাখেন৷ সমাজের দীর্ঘলালিত এ এক ধারণা৷ এখানেও খানিকটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ধারণা কাজ করে৷ কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি নয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরোর এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বেশিরভাগ নারী বিবাহ প্রথা অস্বীকার করছেন ও বাচ্চার জন্ম দিতে নারাজ৷
সুতরাং যৌনতার ক্ষেত্রে নারীদের এক মনোগ্যামি হওয়ার প্রশ্নই আসে না৷ দেশভেদে এ ধারণার রদবদল হতে পারে, তবে খুব বেশি পাল্টায় না৷ অবশ্য একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন সব নারী করতে চান না৷ এ নিয়ে তারা যে মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহী এমনটাও নয়৷ তবে এ জিনিস তারা যে একদম চান না, তা ভাবলে ভুল হবে৷
নারীরা যৌন ভাবনা নিয়ে অপরাধবোধে ভোগে : পুরুষরা নিজেদের যৌন ভাবনা নিয়ে কোনো অপরাধবোধে ভোগেন না, নারীরা ভোগে এমন কথা শোনা যায়৷ কথাটি আংশিক সত্য৷ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যায়, পুরুষরাই নিজেদের যৌন ভাবনা নিয়ে অপরাধবোধে বেশি ভোগেন৷ নারীর ক্ষেত্রে তা হয় না৷ কেন না নারীরা নিজেদের যৌন ইচ্ছাকে খুব সহজে বশে আনতে পারেন৷ তবে যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের প্রকাশ কিন্তু অন্যভাবে৷ আর তাই নিজেদের ‘সেক্সি’ দেখানোর চেষ্টা করেন নারীরা৷
সমাজের চলতে থাকা নিয়মে অনেক ভুল ধারণার জন্ম হয়৷ তাই যৌনতার মতো এক জটিল বিষয়কে নিয়েমের মধ্যে বেঁধে না রাখাই ভাল৷ ভুল ধারণা ছেড়ে যৌনতাকে যতো খোলাখুলি গ্রহণ করা যায়, ততই সবার জন্য উপকারী।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : 01742-057854
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ইমো/হোয়াটস অ্যাপ : 01762-240650
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।