নারীদের যৌন ইচ্ছা কত বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়?

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক : নারী মনের রহস্য উদ্ধার করতে পারেননি আচ্ছা আচ্ছা মুনিঋষি। তারা কী চায়, পুরুষের জানা কম্য নয়। ফলে নারীর মনে যৌনতা নিয়ে কী কী ধারণা, ইচ্ছে, অনিচ্ছে জেগে ওঠে সেও জানা এক প্রকার দুষ্কর। তাই মুশকিল আসানে কয়েকটি টিপস্ দিলাম। জেনে নিন নারী কিছু যৌন ইশারা-

১. নারী মনে যৌনতা জাগলে সে বার বার তার পছন্দের পুরুষকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে।
২. প্রাণের পুরুষের ঠোঁটে আইসক্রিম, কফি বা অন্য কোনও খাবার লেগে থাকলে পরিষ্কার করে দেয়।

৩. খুব অন্তরঙ্গ হয়ে গায়ে ঘেঁষে বসার চেষ্টা করে।
৪. বাইকের পিছনে বসে প্রাণের পুরুষকে জাপটে ধরে।
৫. খুব উত্তেজক কোনও পোশাক পরে হাজির হয় পছন্দের পুরুষের সামনে।
৬. কথা বলতে বলতে পুরুষের চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কেটে দেয়।
৭. যৌনতা নিয়ে সরাসরি কিছু প্রকাশ না করতে পারলেও, সেই সংক্রান্ত আলোচনা করে পছন্দের পুরুষের সঙ্গে।
৮. এতটা খোলাখুলি না হলেও, দু’রকম মানে হয় এমন কথা বলে।

৯. বার বার গালে, হাতে বা কপালে চুমু খায়।
১০. রোম্যান্টিক আলোচনায় মেতে উঠে। আলোচনার বিষয়বস্তু নরম থেকে গরম হয়ে উঠতে পারে।
১১. পছন্দের পুরুষের সঙ্গে একান্তে রাত কাটাতে চায়।
১২. পুরুষের পোশাক ও চেহারা নিয়ে বারংবার প্রশংসা করে।

নারীদের যৌন ইচ্ছা কত বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়?

যৌনতা হল নারী পুরুষের দৈহিক মিলন। প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রাণীর মতো নারী পুরুষের যৌনতা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ্য নয়।

বরং নারী পুরুষের যৌনমিলন এবং যৌনতা সংঘটিত হয় সুস্থ সুন্দর পরিবেশে।
নারী পুরুষের যৌন উত্তেজনার ধারা পৃথিবীব্যাপী একই রকম। পৃথিবীব্যাপী নারী পুরুষ উভয়ের যৌনতার উপর গবেষণা এবং আলোচনা হয় ব্যাপকভাবে । আমেরিকান বিখ্যাত কিনসে ইনস্টিটিউট নারী পুরুষের যৌনতার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে।

পৃথিবীর আদি থেকে চলে আসা একটি সংস্কৃতি হলো যৌন সংস্কৃতি। এই যৌন সংস্কৃতি প্রতিটি পুরুষ এবং নারীর জীবনের খুব আদৃত একটি অংশ। নারীর সাথে পুরুষের দৈহিক মিলনের সময় নারী উত্তেজিত হয় এবং পাশপাশি পুরুষের ও যৌন উত্তেজনা আসে। পুরুষের স্পর্শের প্রথম থেকেই নারীর ভেতরে যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নারীর শরীর কেপে উঠতে পারে যা খুব সামান্য সময় ধরে অনুভূত হয়।

যৌনমিলনের সময় নারীর দেহ এবং পুরুষের দেহের প্রধান যে পরিবর্তন হয় তাহলো উভয়েরই শারীরিক চাপ বৃদ্ধি পায়, রক্তের চাপ বাড়ে, শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং উভয়েই চূড়ান্ত আনন্দের জন্যে অস্থির হয়ে উঠে।

নারীর যৌনতার সংস্কৃতিতে বোধ করি পুরুষের চেয়ে আলাদা। নারীর যৌন আগ্রহ, ইচ্ছা যৌনতার চরম আনন্দ ইত্যাদি প্রতিটি পর্বে পুরুষের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থার সৃষ্টি করে।

প্রথম যুগের মানুষের যৌনতার্ ছিল কেবল মাত্র ক্ষণিক আনন্দের একটি উত্‍স। পরবর্তী সময়ে যৌনতার ব্যবহারিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এক সময়ে এক নারী একই সাথে একই পরিবারের সবার সাথে যৌনমিলনে রত হতে পারতো। এটি ছিল যৌনতার সংস্কৃতি। তখন কার সমসাময়িক যৌন সংস্কৃতি ছিল এই রকম। যুগে যুগে যৌন সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছে। আবার যৌতার ব্যাপারে ধর্মীয় নানা মতবাদের প্রভাবে যৌনতার বিষয়টি একেক সমাজে একেকভাবে অনুশীলন করা হয়ে থাকে।

যৌনমিলনের ব্যাপারে বা যৌনতার ব্যাপারে সব নারীরেই ইচ্ছা একই রকম হয় না। কোনো কোনো নারী অত্যাধিক যৌনকাতর । আবার কোনো কোনো পুরুষের যৌন ইচ্ছা থাকে বেশি অর্থাত্‍ যৌনতার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ এবং যৌন মিলনের ইচ্ছা থাকে ব্যাপক। আবার কোনো কোনো নারী-পুরুষ সুস্থ যৌনতার পপাতি এবং তারা প্রয়োজন মাফিক যৌনমিলন পছন্দ করে। আবার কিছু কিছু নারী-পুরুষ যৌনতাকে খুবই কম মাত্রায় পছন্দ করে। অনেকের এ ব্যাপারে ভীতিও থাকে। যৌনতার ব্যাপার বিশেষ করে নারী, পুরুষের যৌনতার ব্যাপারে উত্‍সাহ এবং আগ্রহ যদি না থাকে তবে চরম পুলক আসতে পারে না।

নারীদের যৌনইচ্ছার সময়সীমা :

১. মেয়েদের যৌন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ। কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌনইচ্ছা সবচেয়ে বেশী। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এরপরে ভালই কমে যায়।

২. ২৫ এর উর্দ্ধে মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া।

৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্মের চেয়ে অনেক বেশী পছন্দ করে। বেশীরভাগ নারীরা গল্পগুজব হৈ হুল্লোড় করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশী মজা পায়।

৪. মেয়েরা অর্গ্যাজম করে ভগাংকুরের মাধ্যমে।

৫. ভগাংকুরের মাধ্যমে অর্গ্যাজমের জন্য যৌনকর্মের কোন দরকার নেই।

৬. শারীরিক মিলনে নারীরা উত্তেজিত আর আনন্দিত হন ঠিকই কিন্তু অর্গ্যাজম হওয়ার সম্ভাবনা ১% এর চেয়েও কম।

নারীর যৌন ইচ্ছা সম্পর্কে এই ৫ তথ্য জানেন কি?
কথায় বলে, মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না৷ ভারতীয় পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কারণেই যে এ কথার জন্ম তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কিন্তু সত্যিই কি তাই? সত্যিই কি মুখ ফোটে না? নাকি মুখ ফুটতে চাইলেও তা ফুটতে দেওয়া হয় না! বা সে কথায় কান দেওয়া হয় না৷ এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেই জানা যাবে নারীদের যৌন ইচ্ছা সম্পর্কিত বেশ কিছু ভুল তথ্য পুরুষের মনে গেঁথে থাকে৷

কী সেগুলো?
১) নারীদের থেকে পুরুষরাই যৌনতা বেশি পছন্দ করে :
যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষদের ইচ্ছেপূরণের খাতিরে নারীদের যৌনতা অবদমিত করে রাখা থেকেই এ ধারণার জন্ম৷ হয়ত নারীদের যৌনতার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে কিংবা যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের চেপে রাখার কারণেই এ কথার প্রচলন হয়েছে৷ যৌবনের গোড়া থেকেই তাই পুরুষরা যৌনতার দিকে ঝুঁকে থাকে বেশি৷ নারীরা যেন এ ব্যাপারে নিজেদের একটু আড়াল করেন৷ আসলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের কারণে পুরুষের যৌনতার ইচ্ছে একটু বেশিই হয়৷ নারীরা আবেগপ্রবণ হওয়ায় যৌনতার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিক্রিয়া শারীরিক হয় না সবসময়৷ কিন্তু সমীক্ষা করে দেখা গেছে, যৌনতার ইচ্ছেয় কিন্তু সত্যিই নারীরা কম যান না৷ যৌনতার ক্ষেত্রে যতটা মনে করা হয় নারীরা তার থেকেও বেশি আগ্রহী বলেই প্রমাণ পেয়েছেন সমীক্ষকরা৷

২) নারীদের ভাবনায় যৌনতা কম :
যৌনতা তো সারাক্ষণ পুরুষদের মাথায় ঘোরে-এরকম একটা চলতি ভাবনা আছে৷ কিন্তু বিভিন্ন প্রশ্নের ভিত্তিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, এ ধারণা সঠিক নয়৷ বরং পুরুষরা গড়পরতা যতবার যৌনতা নিয়ে চিন্তা করেন, নারীরা চিন্তা করেন তার থেকেও বেশিবার৷ সুতরাং এ ধারণা এখন থেকে বদলাতেই পারেন পুরুষরা৷

৩) নারীরা ‘হটকে’ পর্নোগ্রাফি পছন্দ করেন না :
পুরুষদের মতো নারীরাও যে পর্নোগ্রাফি পছন্দ করেন এ আর নতুন কোনো তথ্য নয়৷ কিন্তু অনেকেই মনে করেন, পুরুষরাই বোধহয় হটকে পর্নোগ্রাফি দেখেন৷ নারীদের এসব না-পছন্দ৷ কিন্তু এ ধারণা সত্যি নয়৷ বরং হোমোসেক্সুয়াল পর্ন, বা পশুদের সঙ্গে মানুষের পর্নোগ্রাফিও যে নারীদের পছন্দ তা বিভিন্ন পর্ন সাইটের সেকশনের ভিজিটর ডেটা থেকেই স্পষ্ট৷ দুনিয়ার বিখ্যাত পর্নসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে লেসবিয়ান পর্ন নারীরাই দেখেন বেশি।

৪) নারীরা মূলত মনোগ্যামি :
নারীরা সঙ্গমের ক্ষেত্রে এক পুরুষেই আস্থা রাখেন৷ সমাজের দীর্ঘলালিত এ এক ধারণা৷ এখানেও খানিকটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ধারণা কাজ করে৷ কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি নয়৷ মার্কিনমুলুকের সেন্সাস ব্যুরো এক সমীক্ষায় জানিয়েছিল, বেশিরভাগ নারী বিবাহ প্রথা অস্বীকার করছেন ও বাচ্চার জন্ম দিতে নারাজ৷ যৌনতার ক্ষেত্রে এক মনোগ্যামি হওয়ার প্রশ্নই তাই নেই৷ দেশভেদে এ ধারণার রদবদল হতে পারে, তবে খুব বেশি পাল্টায় না৷ তবে হ্যাঁ, একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন সব নারী করতে চান না৷ এ নিয়ে তাঁরা যে মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহী এমনটাও নয়৷ তবে এ জিনিস তাঁরা যে একদম চান না, তা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে৷

৫) নারীরা যৌন ভাবনা নিয়ে অপরাধবোধে ভোগে :
পুরুষরা নিজেদের যৌন ভাবনা নিয়ে কোনো অপরাধবোধে ভোগে না, নারীরা ভোগে-এমন কথা শোনা যায়৷ কথাটি আংশিক সত্যি৷ সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, পুরুষরাই নিজেদের যৌন ভাবনা নিয়ে অপরাধবোধে ভোগেন বেশি৷ নারীর ক্ষেত্রে তা হয় না৷ কেন না নারীরা নিজেদের যৌন ইচ্ছেকে খুব সহজে বশে আনতে পারেন৷ তবে যৌনতার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রকাশ কিন্তু অন্যভাবে৷ আর তাই নিজেদের ‘সেক্সি’ দেখানোর চেষ্টা করেন নারীরা৷

আসলে সমাজের চলতে থাকা নিয়মে অনেক কিছু ধারণার জন্ম হয়৷ কিন্তু মানুষের মন এক গহন সমুদ্র৷ প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে তা আবার আলাদা৷ তাই যৌনতার মতো এক জটিল জিনিসকে নিয়মের নিগড়ে বেঁধে না রাখাই ভাল৷ ভুল ধারণা ছেড়ে যৌনতাকে যত খোলখুলি গ্রহণ করা যায়, ততোই মঙ্গল৷

নারীদের যৌন উত্তেজনা উঠার ক্ষেত্রে সমস্যা

নারীদের যৌন উত্তেজনা উঠার ক্ষেত্রে সমস্যা বা ফিমেল সেক্সুয়াল এ্যারাওজাল ডিসঅর্ডার হচ্ছে নারীদের সঙ্গী (অপর একজন নারী বা পুরুষ) দের সাথে দৈহিক মিলন যোনিতে কোনো উত্তেজনা না আসা বা কোনো পুলক লাভ না করা। এর কারণ হিসেবে অনেক কিছু থাকতে পারে যেমন রক্ষণশীল মন-মানসিকতা, যৌনতাকে ঘৃণা করা, সঙ্গীর শরীর পছন্দ না হওয়া কিংবা জীবনের অন্য কোনো বিষণ্ণতা বা হতাশা থেকেও যৌন উত্তেজনা না উঠতে পারে। তাছাড়া কোনো মানসিক রোগ থেকে থাকলেও নারীদের যৌন উত্তেজনা উঠতে সমস্যা হতে পারে।

কারণসমূহ
সুনির্দিষ্টভাবে নারীদের এই সমস্যাটা বলা না গেলেও নিম্নলিখিত কারণগুলো মৌলিকঃ

মানসিক সমস্যাঃ কোনো কোনো নারী তার ব্যক্তিত্ব খারাপ এরকম হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন, হতে পারে সেই নারীটি সমাজ দ্বারা অনেক ঘৃণিত, তার কোনো বন্ধু-বান্ধবী নেই, সে কখনো কারো ভালোবাসা-আদর ভালোমত পায়নি কিংবা অল্প বয়সে কোনো ব্যক্তি দ্বারা যৌনপীড়নের শিকার হয়েছে, এরূপ হলে নারীটির মনে যৌনতার প্রতি এক প্রকারের অনীহা বা ঘৃণা জন্মাতে পারে।

সঙ্গীর শরীর পছন্দ না হওয়াঃ

কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা হতে পারে যে একজন নারী তার প্রেমিক বা স্বামীকে ভালবাসলেও তার শরীর পছন্দ করেননা।

রক্ষণশীল সমাজের ভয়ঃ

একটি রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক বা ধর্মবাদী সমাজে বাস করে একজন নারীর মনে যৌনতার প্রতি ভয় আসতে পারে।

যোনিতে সমস্যাঃ

নারীর যোনিতে কোনো সমস্যা থেকে থাকলে এবং ওটি চিকিৎসা করানো না হয়ে থাকলে যৌন উত্তেজনায় সমস্যা হতে পারে।

শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।

অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।

কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।

হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।

কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।

শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-

১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।

২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।

৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।

এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।

কারণগুলি কি কি হতে পারে ?

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-

১. ডায়াবেটিস,

২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,

৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,

৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।

তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।

আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।

এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।

এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।

আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।

সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।

মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?

যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :

১. সহ/বাসে অসমার্থতা।

২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।

৩. অসময়ে বী/র্যপাত।

৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।

৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।

৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।

৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।

ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

 

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার

আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ

আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ

আরো পড়ুন :  নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা

আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়

আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা

শেয়ার করুন: