ডায়াবেটিস রোগীদের চোখে যেসব সমস্যা হতে পারে

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হতে পারে অন্ধত্বের কারণ। ডায়াবেটিস শরীরের গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগলে চোখ, কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্রের নানা ক্ষতি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসের কারণে চোখের পেছনের ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এর লক্ষণ হিসেবে চোখে প্রদাহ, জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস রোগীদের দৃষ্টিশক্তির প্রতিবন্ধকতার কারণ কী?

ভারতের সেন্টার ফর সাইটের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মহিপাল সিং সচদেব জানান, ডায়াবেটিসের কারণে উচ্চ রক্তচাপ যখন রেটিনাকে প্রভাবিত করে তখনই দেখা দেয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি।

এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ রক্তনালিগুলো ফুলে যাওয়ায় ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ও রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বিরল ক্ষেত্রে রক্তনালির বৃদ্ধি ঘটে, তবে সেগুলো স্বাভাবিক নয় ও উভয় চোখেই দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখের কোন কোন রোগে ভোগেন?

ছানি

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ছানির সমস্যা খুবই সাধারণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছানি আরও খারাপ প্রভাব ফেলে চোখে। ডায়াবেটিস মেলিটাসের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে ছানি আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে।

গ্লুকোমা

ক্ষতিগ্রস্থ স্নায়ু বা রক্তনালিগুলো দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটায় ও চোখে চাপ তৈরি করে। ফলে চোখে যে পরিমাণ তরল জমা হয় তা নিষ্কাশিত হয় না। ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ ধরনের গ্লুকোমা অর্থাৎ ওপেন-এঙ্গেল নিরাময় করতে পারে।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

আপনার যদি টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে চোখের এই রোগের বিকাশ ঘটতে পারে। রেটিনার ক্ষতির কারণে এটি ঘটে।

ম্যাকুলার এডিমা

এটি সাধারণত ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সঙ্গে একত্রে ঘটে। এক্ষেত্রে চোখের ভেতরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, তরল বা রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। যা স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।

ঝাপসা দৃষ্টি

ডায়াবেটিসের কারণে অনেকের দৃষ্টি ঝাপসাও হয়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: