কোনো দম্পতি সন্তানলাভে ব্যর্থ হলে সবার আগে স্ত্রীর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কারণ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে পুরুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না। সংখ্যায় তুলনামূলক কম হলেও পুরুষদের এই সমস্যা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব বরং একটি জটিল এবং সূক্ষ্ম বিষয় যা পরিবার পরিকল্পনাকে অনেকাংশে প্রভাবিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, লাখ লাখ মানুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হয়। এতে বলা হয়েছে যে, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন দম্পতি বন্ধ্যাত্ব ভোগ করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, প্রায় ২০% ক্ষেত্রে পুরুষ সম্পূর্ণরূপে দায়ী এবং সমস্ত বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে আরও ৩০% থেকে ৪০% ক্ষেত্রে আংশিকভাবে দায়ী হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য কারণগুলো-
১. হরমোনজনিত ব্যাধি
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি বড় কারণ হলো হরমোনজনিত সমস্যা। হাইপোগোনাডিজম, অর্থাৎ টেস্টোস্টেরন এবং টেস্টিস দ্বারা প্রজনন সম্পর্কিত অন্যান্য হরমোনের অপর্যাপ্ত উৎপাদন বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের গোড়ায় অবস্থিত পিটুইটারি গ্রন্থির ব্যাধিও হরমোন উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে, শুক্রাণু উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে।
২. শারীরিক এবং কাঠামোগত ব্যাধি
ভ্যারিকোসেল এমন একটি অবস্থা যেখানে অণ্ডকোষের মধ্যে শিরার বৃদ্ধি এবং বেলুনিং অণ্ডকোষের তাপমাত্রাকে পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুক্রাণু উৎপাদনকে ব্যাহত করে। যা বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যায়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনে বীর্য লিঙ্গ দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে, যা পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। এছাড়াও যথাক্রমে এপিডিডাইমাইটিস, অরকাইটিস এবং যৌনবাহিত সংক্রমণের মতো সংক্রমণ শুক্রাণুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। শুক্রাণু পরিবহন ব্যবস্থায় ত্রুটি যেমন শুক্রাণু পরিবহনের বিভিন্ন অংশে বাধাও বন্ধ্যাত্বের আরেকটি কারণ হতে পারে।
৩. লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাসের কারণে পুরুষের বন্ধ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দীর্ঘস্থায়ী ধূমপান বা তামাক সেবন শুক্রাণুর গতিশীলতা, গুণমান এবং পরিমাণকে কমিয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং শুক্রাণু উৎপাদন হ্রাস করতে পারে। স্থূল বা অতিরিক্ত ওজন সরাসরি শুক্রাণুর পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং হরমোনের মাত্রাও পরিবর্তন করতে পারে যা বন্ধ্যাত্বের দিকে নিয়ে যায়। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা স্থূলতা এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
৪. পরিবেশগত কারণ
কীটনাশক, ভেষজনাশক, ভারী ধাতু, জৈব দ্রাবক, রঙ এবং দূষণ শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশে বেশি থাকলে তাও সাময়িকভাবে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করতে পারে।
৫. জেনেটিক ফ্যাক্টর
জেনেটিক্স বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে। ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম একটি জেনেটিক অবস্থা যেখানে একটি পুরুষ শিশু অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এটি পুরুষের প্রজনন অঙ্গে ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে টেস্টিকুলার ফাংশন এবং শুক্রাণু উৎপাদন প্রভাবিত হয়। অন্যান্য জেনেটিক ব্যাধি যেমন সিস্টিক ফাইব্রোসিস, কলম্যান সিন্ড্রোম শুক্রাণু নালীতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণ
মহিলাদের মধ্যে, বন্ধ্যাত্ব বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে, যেমন শারীরবৃত্তীয়, জৈবিক, হরমোন, জেনেটিক এবং জীবনধারা। সঠিকভাবে ব্যাধি নির্ণয় এবং পরিচালনার জন্য অন্তর্নিহিত কারণগুলি সনাক্ত করা এবং সনাক্ত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা: নারীর প্রজনন অঙ্গের গঠনে অস্বাভাবিকতা যেমন জরায়ু ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (পিআইডি), বা জন্মগত বিকৃতির কারণে গর্ভধারণ বা ইমপ্লান্টেশন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ডিম্বস্ফোটন ব্যাধি: এটি মহিলাদের উর্বরতা এবং গর্ভধারণের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এমন একটি সাধারণ কারণ। কিছু ডিম্বস্ফোটন ব্যাধির ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড বা অনুপস্থিত ডিম্বস্ফোটন হতে পারে, যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), হাইপোথ্যালামাস ডিসফাংশন, প্রথম দিকে ডিম্বাশয়ের অপ্রতুলতা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
ফ্যালোপিয়ান টিউব সমস্যা: ক্ষতিগ্রস্থ বা অবরুদ্ধ ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলি সাধারণত পেলভিক প্রদাহজনিত রোগ বা পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচারের ফলাফল এবং ইমপ্লান্টেশনের জন্য ডিম্বাণুকে জরায়ুর আস্তরণে পৌঁছাতে বা শুক্রাণুকে ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দিয়ে নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
এন্ডোক্রাইন ডিসঅর্ডার: থাইরয়েডের কর্মহীনতা বা হাইপারপ্রোলেক্টিনিমিয়া এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের ব্যাধিগুলির ফল এবং প্রজনন অঙ্গগুলির স্বাভাবিক কাজকে ব্যাহত করতে পারে। উপরন্তু, এটি একটি সুস্থ ধারণার প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে।
বয়স সম্পর্কিত কারণ: ডিমের একটি সংরক্ষিত পরিমাণ রয়েছে যা কার্যকর এবং নিষিক্ত হতে পারে যা একটি সুস্থ গর্ভাবস্থার দিকে পরিচালিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম্বাশয়ের রিজার্ভে উপস্থিত ডিমের পরিমাণ এবং গুণমান হ্রাসের কারণে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের উর্বরতা হ্রাস পেতে থাকে।
অটোইমিউন ডিসঅর্ডার: এই ধরনের ব্যাধিগুলি শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলির ক্ষতি করতে শুরু করে যার ফলে জীবনযাত্রার মান বাধাগ্রস্ত হয়। অ্যান্টিফসফোলিপিড সিনড্রোম এবং অটোইমিউন ওফোরাইটিস হল অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের সাধারণ উদাহরণ, যেগুলি ইমপ্লান্টেশনে হস্তক্ষেপ করে বা ডিম্বাশয়ের কর্মহীনতার কারণে উর্বরতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জেনেটিক ডিসঅর্ডার: টার্নার সিনড্রোম বা ফ্রেজিল এক্স সিনড্রোম হল কিছু জেনেটিক সমস্যা, যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে বা সামগ্রিক উর্বরতার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে, প্রাকৃতিক গর্ভধারণের মাধ্যমে মহিলাদের গর্ভধারণের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে।
লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর: এটি উর্বরতা স্বাস্থ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণগুলি যেমন ধূমপান, প্রচুর অ্যালকোহল গ্রহণ, মাদকের অপব্যবহার, তামাক ব্যবহার, অনিয়মিত শরীরের ওজন, স্থূলতা, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া, খারাপ খাদ্য, মানসিক চাপ এবং ক্রমাগত কঠোর ব্যায়াম প্রজনন ক্ষমতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ
হাকীম মো. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)
(চিকিৎসক) : 01762240650
মুঠোফোন : 01960288007
(সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা