

বাতজ্বর (Rheumatic fever) হলো প্রদাহজনিত রোগ যা হৃৎপিন্ড, ত্বক, মস্তিস্ককে আক্রান্ত করতে পারে। এই রোগ সাধারণত গলায় সংক্রমণের দুই থেকে চার সপ্তাহ পরে শুরু হয়।
লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, কোরিয়া, ইরায়থেমা মারজিনেটাম। প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ড আক্রান্ত হয়। বাতজ্বরের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া হলো স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেনস।
এই রোগে ব্যক্তির নিজের শরীরের টিস্যুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে যাদের শরীরে এই রোগের জিন রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় খুব সহজে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিহীনতা, দারিদ্র্য প্রভৃতি। এই রোগ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর পাশাপাশি স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা সংক্রমিত হবার প্রমাণ থাকা জরুরি।
স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা কণ্ঠনালীর সংক্রমণে পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসা করালে বাতজ্বর হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
প্রতিবছর প্রায় ৩২৫০০০ জন শিশু বাতজ্বরে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১৮ মিলিয়ন লোক বাতজ্বর সংক্রান্ত হৃদরোগে আক্রান্ত। বাতজ্বর রোগীদের বয়স সাধারণত ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে ২০% ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করাও প্রথমবারের মত আক্রান্ত হতে পারে। উন্নত দেশগুলোর আদিবাসী লোকজন ও উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের প্রাদূর্ভাব বেশি। ২০১৩ সালে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ২৭৫০০০ জন যেখানে ১৯৯০ সালে ছিলো প্রায় ৩৭৪০০০ জন। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে উন্নয়নশীল দেশে যেখানে প্রতিবছর প্রায় ১২.৫% রোগী মৃত্যুবরণ করে এই রোগের বর্ণনা খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিসের লেখায় পাওয়া যায়। বাতরোগের অনেক উপসর্গের সাথে এই রোগের উপসর্গের মিল থাকায় এই রোগের নাম বাতজ্বর রাখা হয়েছে।
বাতজ্বর হওয়ার কারণ
এই জ্বর সাধারনত বিটা হিমোলাইটিক স্ট্রেপটোকক্কাস নামক এক ধরনের জীবাণুর আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। দারিদ্র্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ঠাণ্ডা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এবং অজ্ঞতাই এ রোগের প্রধান কারণ। যেসব শিশুর দীর্ঘ দিন ধরে খোসপাঁচড়া ও টনসিলের রোগ থাকে, তাদের বাতজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
উপসর্গ
স্ট্রেপ্টোকক্কাল ফ্যারিঞ্জাইটিসে আক্রান্ত ১৬ বছরের রোগী
বাতজ্বরের রোগীর সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গসমূহ দেখা দেয়।
• জ্বর
• অস্থিসন্ধিতে মৃদু বা তীব্র ব্যথা যা প্রায়ই পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, কনুই অথবা হাতের কবজি এবং কখনো কখনো কাঁধ, কোমর, হাত, পায়ের পাতায় হয়ে থাকে।
• ব্যথা সাধারণত এক অস্থিসন্ধি থেকে আরেক অস্থিসন্ধিতে ছড়িয়ে পড়ে যা মাইগ্রেটরি পলি-আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত।
• জয়েন্ট লাল,উষ্ণ ও ফোলা থাকে।
• ত্বকের নিচে ক্ষুদ্র ব্যথাহীন পিন্ড বা সাবকিউটেনিয়াস নডিউল থাকে।
• বুকে ব্যথা ও বুক ধড়ফড় করে,
• অল্পতে ক্লান্ত বা দুবর্ল বোধ হয়,
• শ্বাসকষ্ট হয় ইত্যাদি।
প্যাথজেনেসিস
রিউমাটিক হার্ট ডিজিজ-প্যাথোফিজিওলজি
মাইক্রোস্কপিক চিত্রটিতে অ্যাস্কফ বডি দেখানো হয়েছে
গ্রুপ-এ বিটা হিমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা ফ্যারিংসে সংক্রমণ হওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর বাতজ্বর দেখা দিতে পারে। সে সময় ফ্যারিঞ্জাইটিসের লক্ষণসমূহ আর থাকেনা। তবে একতৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে ফ্যারিঞ্জাইটিসের কোনো ইতিহাস থাকেনা। গ্রুপ-এ স্ট্রেপ্টোকক্কাসের কোষপ্রাচীরে এম প্রোটিন থাকে যা খুবই অ্যান্টিজেনিক।
শরীরের ইমিউন সিস্টেম উক্ত প্রোটিনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা হার্ট, জয়েন্ট ওমস্তিষ্কের টিস্যুর সাথে ক্রসরিয়াকশন করে।
রোগনির্ণয়
চিকিৎসাবিজ্ঞানী T. Duckett Jones ১৯৪৪ সালে এইরোগ নির্ণয়ের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেন যা জোন’স ক্রাইটেরিয়ানামে পরিচিত। এই নীতিমালা অনুসারে বাতজ্বরের উপসর্গগুলোকে মেজর ও মাইনর দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয় এবং বাতজ্বরের ক্ষেত্রে দুটি মেজর ক্রাইটেরিয়া অথবা একটি মেজর ও দুটি মাইনর ক্রাইটেরিয়া মিলতে হবে এবং এর সাথে গ্রুপ-এ স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা সংক্রমণের প্রমাণ থাকতে হবে। এই নীতিমালা শুধু প্রথম বার বাতজ্বরে আক্রান্ত হলে প্রযোজ্য, এরপরে পুনরায় এই রোগে আক্রান্ত হলে এটি প্রযোজ্য হবেনা। সিডেনহাম কোরিয়া ও কার্ডাইটিসের লক্ষণ থাকলে এই নীতিমালা অনুসরণ না করে সরাসরি বাতজ্বর রোগ নির্ণয় করা যায়।
মেজর ক্রাইটেরিয়া
মাইগ্রেটরি পলি-আর্থ্রাইটিস
বাতজ্বরে আক্রান্ত ৭৫% রোগীর এই লক্ষণটি প্রকাশ পায়। সাধারণত হাঁটু, গোড়ালির গাঁট, কব্জি ও কনুই এর মতো বড় জয়েন্টগুলো আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত জয়েন্ট ফুলে লাল হয়ে যায়, অত্যন্ত ব্যথা ও গরম থাকে। সাধারণত ১-৩ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। মেরুদণ্ড, হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্ট ও নিতম্বের জয়েন্ট আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কার্ডাইটিস
৫০-৬০% রোগীর ক্ষেত্রে এটি হয়। বাতজ্বরে হার্টের তিনটি স্তরেই (এন্ডোকার্ডিয়াম, মায়োকার্ডিয়াম, পেরিকার্ডিয়াম)প্রদাহ হয় বলে এটা প্যানকার্ডাইটিস নামে পরিচিত। হার্টের ভালব বা কপাটিকা বিশেষ করে মাইট্রাল ভালব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাইট্রাল ভালবের সাথে কখনো কখনো অ্যাওর্টিক ভালবও আক্রান্ত হতে পারে। তবে শুধু অ্যাওর্টিক ভালব বা ডানপার্শ্বীয় ট্রাইকাসপিড ভালব সাধারণত আক্রান্ত হয়না।
সিডেনহাম কোরিয়া
১০-১৫% রোগীর এই সমস্যা হয়।ঐচ্ছিক পেশির অনিয়মিতভাবে অনৈচ্ছিক আন্দোলন কে কোরিয়া বলে। এই রোগীদের হাত বেঁকে গিয়ে চামুচের মতো আকৃতি ধারণ করতে পারে, জিহ্বা বাইরে বের হয়ে লাফাতে থাকে। এছাড়া হাতের লেখা খারাপ হতে থাকে, লেখাপড়ায় অবনতি হয়। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মানসিক চাপের সময় এই লক্ষণগুলো বাড়ে তবে ঘুমানোর সময় আর থাকেনা।
সাবকিউটেনিয়াস নডিউল
ত্বকের নিচে ব্যথাহীন কিছুটা শক্ত দলা পাওয়া যায়।
ইরাইথেমা মার্জিনেটাম
এক ধরনের লালচে চুলকানিমুক্ত ফুসকুড়ি যার মধ্যভাগ কিছুটা বিবর্ণ। এটিদেহ,হাত ও পায়ে হয়ে থাকে তবে মুখমণ্ডলে হয়না। চামড়া গরম হলে ফুসকুড়ি বেশি হয়।
মাইনর ক্রাইটেরিয়া
জ্বর
আর্থ্রালজিয়া বা জয়েন্টে ব্যথা।
রক্তে অ্যাকিউট ফেজ প্রোটিন বেড়ে যাওয়া যেমন CRP, ESR বেশি হওয়া।
ইসিজিতে পি-আর বিরতি(PR interval) দীর্ঘ হওয়া।
চিকিৎসা
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে ও আক্রান্ত জয়েন্ট নড়াচড়া করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ব্যথানাশক ঔষধ হিসেবে অ্যাসপিরিন খুবই কার্যকর। প্রদাহ কমানোর জন্য অ্যাসপিরিনের পাশাপাশি কর্টিকোস্টেরয়েড যেমন প্রেডনিসোলন ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক যেমন ফিনক্সিমিথাইলপেনিসিলিন, বেনজাথিন পেনিসিলিন ও ইরাইথ্রোমাইসিন প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।
প্রতিরোধ
স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা কণ্ঠ নালীর সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারকরে বাতজ্বর প্রতিরোধ করা যায়। স্ট্রেপ্টোকক্কাস পায়োজেন্স এর বিরুদ্ধে টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে তবে স্ট্রেপ্টোকক্কাস প্রজাতির বৈচিত্র্যের জন্য এখনো এটি সফলতার মুখ দেখেনি।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া
শারীরিক অক্ষমতার কারণ ও প্রতিকার
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা অথবা পুরু/ষত্ব হীনতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌ/ন সমস্যা।
অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে অক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোনও একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। অথবা হতে পারে আপনার শরীরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে যৌ/ন হরমোনের পরিমাণ, যা আপনার সংসারকে করছে অশান্তিময়।
কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে। তা জেনে নিলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার সমস্যাটা কোথায়।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
১. ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লি/ঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এতে করে লিং/গের উত্থানে সমস্যা তৈরি, যাতে করে দীর্ঘদিন যাবত লিং/গ গরম হয় না এবং সহ/বাসের উপযোগী হয় না।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লি/ঙ্গের যো/নিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যো/নিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া। এতে করে মাঝে মাঝে লিং/গ উত্থিত বা গরম হয় আবার গরম হয়েও শীতল হয়ে যায়। আবার গরম হলেও স্ত্রী যো/নীতে প্রবেশ করা মাত্রই তা নরম হয় যায়, ফলে সংসারে বাড়ে অশান্তি। বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়তে থাকে।
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহ/বাসে দ্রুত বী/র্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব। এতে করে পুরুষের লিং/গ গরম হলেও তা খুব দ্রুতই পতন হয় বা বী/র্য আউট হয়ে যায়। তাতে নারী এবং কেউ পরম সুখলাভ করতে পারে না।
এ সমস্যার জন্য নাইট কিং পাউডার ও সিরাপ বেশ কার্যকরী ঔষধ। এই ঔষধ সেবনে উপরোক্ত সমস্যার সমাধান হবে, ইনশাল্লাহ।
কারণগুলি কি কি হতে পারে ?
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো-
১. ডায়াবেটিস,
২. লি/ঙ্গে জন্মগত কোনওপ্রকার ত্রুটি,
৩. সে/ক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
৪. গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌ/নরোগ ইত্যাদি।
তাছাড়াও প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌ/ন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌ/ন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মা/স্টার/বেট বা হ/স্তমৈ/থুন করা, যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না।
এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌ/ন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌ/নাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
কী কি করবেন ?
প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো নিম্নোক্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন।
এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী। তাই দ্বিধাহীন চিত্তে যোগাযোগ করুন। আপনার সমস্যা অনুসারে আপনাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হবে।
আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌ/ন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সে/ক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা প/র্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করা উচিত নয় ?
অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌ/নজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
বাজারে সাময়িকভাবে যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌ/ন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদেরকে বুঝতে হবে যৌ/ন রোগ কী?
যৌ/ন রোগ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন :
১. সহ/বাসে অসমার্থতা।
২. দ্রু/ত বী/র্যপাত।
৩. অসময়ে বী/র্যপাত।
৪. সহ/বাসের আগেই বী/র্যপাত। অর্থাৎ নারীদেহ কল্পনা করলেই বী/র্যপাত হয়ে যাওয়া।
৫. প্রস্রাবের সাথে বী/র্যপাত।
৬. প্রস্রাবের বেগ হলেই বী/র্যপাত। স্বপ্নদোষ। মেহ রোগ।
৭. যৌ/নবাহিত রোগ। যেমন. গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, হার্পিস ইত্যাদি।
ওপরের ছয় নম্বর পর্যন্ত রোগের চিকিৎসা এক প্রকারের। আর তা হচ্ছে : নাইট কিং নিয়মিত সেবন করা। কয়েক মাস সেবন করলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নাইট কিং খুব ভালো মানের ঔষধ। যা সেবন আপনি দ্রুত বী/র্যপাত থেকে মুক্তি পাবেন। আর সাত নম্বর রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে দীর্ঘদিন যাবত ঔষধ সেবন করতে হবে।
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম ডা. মিজানুর রহমান
(বিএসএস, ডিইউএমএস)
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
চিকিৎসকের মুঠোফোন :
01762240650
( ইমো, হোয়াটস অ্যাপ)
ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com
সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
শ্বেতীরোগ, একজিমা, যৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।
আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
আরো পড়ুন : মেহ-প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের প্রতিকার
আরো পড়ুন : অর্শ গেজ পাইলস বা ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকারে শক্তিশালী ভেষজ ঔষধ
আরো পড়ুন : যৌন রোগের শতভাগ কার্যকরী ঔষধ
আরো পড়ুন : নারী-পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং চিকিৎসা
আরো পড়ুন : দীর্ঘস্থায়ী সহবাস করার উপায়
আরও পড়ুন: বীর্যমনি ফল বা মিরছিদানার উপকারিতা
