অলসতা কাটাবেন কীভাবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
কোনো কাজ পরবর্তী সময়ের জন্য ফেলে রাখা উচিত নয়। যত দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করা জরুরি। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, অনিয়মিত জীবনযাপন, মানসিক অস্থিতিশীলতাসহ বিভিন্ন কারণে সময়ের কাজ সময়ে করে উঠতে পারেন না অনেকেই।

যা অলসতা হিসেবে বিবেচিত। আর সবারই জানা আছে, অলস ব্যক্তিরা জীবনে কখনো সফল হতে পারে না! জানলে অবাক হবেন, জাপানিরা অলসতা কাটাতে ভিন্ন এক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। যাকে বলা হয় কাইজেন।

এই পদ্ধতি অবলম্বন করে, ব্যক্তিরা অলসতার চক্র থেকে মুক্ত হতে পারে। এমনকি একটি উত্পাদনশীল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অলসতা কাটাবেন-

লক্ষ্য সেট করুন

কাইজেন পদ্ধতি অনুসারে অলস ব্যক্তিদের উচিত লক্ষ্য নির্ধারণ করা। ছোট ও বড় কাজগুলোকে ধাপে ধাপে ভাগ করুন। আগে ছোট ছোট কাজগুলো করার অভ্যাস গড়ু, দেখবেন বড় কাজগুলোর ক্ষেত্রে আর অলসতা বোধ করবেন না।

এক মিনিট নীতি অনুসরণ করুন

এই নীতি একটি শক্তিশালী কৌশল। আপনি যে কাজটি এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাতে মাত্র এক মিনিট ব্যয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।

সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো আপনি কীভাবে কাজটি শুরু করবেন সেটি। একবার আপনি শুরু করলে, কাজটি চালিয়ে যাওয়া ও সম্পূর্ণ করা আরও সহজ হয়ে উঠবে।

অলসতার অভ্যাস চিনুন

অলসতা কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ হলো এই খারাপ অভ্যাসকে স্বীকার করা ও চিহ্নিত করা। এজন্য কোন কোন সময় বা ক্ষেত্রে আপনার অলসতা বোধ হয় সেটি শনাক্ত করুন।

একটি রুটিন তৈরি করুন

একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন তৈরি করুন, যা আপনার অলসতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। কাজ, ব্যায়াম, শিথিলকরণ ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য নির্দিষ্ট সময় আলাদা করুন। একটি সুগঠিত সময়সূচী থাকা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অলসতা কাটাতে সাহায্য করবে।

পোমোডোরো কৌশল

পোমোডোরো কৌশল হলো একটি সময়-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, যা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। এজন্য কাজগুলোকে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে বিভক্ত করুন, যাকে ‘পোমোডোরোস’ বলা হয়, তারপরে একটি ছোট বিরতি নিন। এই কৌশল কাজের প্রতি ফোকাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অগ্রগতি উদযাপন

নিজের অগ্রগতির জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন। ছোট অর্জন উদযাপনের মাধ্যমে আপনার মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও কাজের প্রতি আরও আগ্রহ বাড়বে। যা আপনাকে অলসতা কাটিয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করে।

মানসিকতার বিকাশ ঘটান

ইতিবাচক মানসিকতা গড়ার চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে শেখার ও কাজের উন্নতিতে ফোকাস দিন। যে কোনো কাজে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে, তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: