শীতকালে বেশি ঘুমালেও হতে পারে বিপদ!

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। আর শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন আছে।

বয়স ও শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী প্রত্যেকেরই ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে, বেশি ঘুমও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়।

শুধু শীতকাল নয় যে কোনো সময়ই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমানো উচিত নয়। না হলে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ঘুমের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ঘুম কম হলে অথবা দীর্ঘক্ষণ ঘুমালেও টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র মেনে চলতে হবে।

স্থূলতা

গবেষণা বলছে, কম ঘুম ও বেশি ঘুম, উভয়ই মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। যারা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশিক্ষণ ঘুমান অর্থাৎ প্রতি রাতে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের মধ্যে স্থূলকায় হওয়াও ঝুঁকি বেশি।

শুধু তাই নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও অনেক রোগ। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমানো ঠিক নয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হার্টের রোগও দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীলারা প্রতিদিনই দিনের বেলা ঘুমান, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

বিষণ্নতা

অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার উপসর্গ হতে পারে। বেশি ঘুমানোর ফলে বিষণ্নতার সমস্যাকে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডিপ্রেশন যে কোনো বয়সেই হতে পারে। কেবল বড়রাই নয়, ছোটরাও এর শিকার হয়। কম ঘুম, বেশি ঘুম কিংবা ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা দেখলে সতর্ক হোন।

ক্লান্তি ও আলসেমি বাড়ে

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, ক্লান্তবোধ হয়, শরীরে চনমনে ভাব থাকে না। কোনো কাজেও উৎসাহ পাওয়া যায় না।

হার্ট অ্যাটাকের আগ মুহূর্তেই দেখা দেয় জটিল ৫ লক্ষণ

হৃদরোগ প্রতিবছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, এমনটিই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর এই উদ্বেগজনক সংখ্যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের কারণে ঘটে।

হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ কম বয়সীদের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারণে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো জটিল হতে পারে, যদি রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যে কারও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও এর আগে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।

সেগুলো উপক্ষো করলে পরবর্তী সময়ে গুরুতর ও জটিল লক্ষণ দেখা দেয়। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের জটিল লক্ষণ কোনগুলো-

বদহজম যেমন বুকে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব করেন কমবেশি সব আক্রান্তরাই। যা বেশিরভাগ রোগীই বদহজম বা গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।

আসলে হার্ট অ্যাটাকের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন নয় বলেই টের পান না। মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে বুকে যে ধরনের ব্যথা হয় তা অনেকটা ছুরিকাঘাতের মতো।

বাম কাঁধে ব্যথা

হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি জটিল লক্ষণ হলো বাম কাঁধে ব্যথা। অনেকেই এ লক্ষণ সহজে ধরতে পারেন, তবে যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন বা আসীন জীবনযাপন করেন কিংবা এমনিতেও যারা কাঁধে ব্যথার সস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

পেটের মাঝখানে ব্যথা

এটিকে এপিগ্যাস্ট্রিক অঞ্চল বলা হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার একটি সাধারণ অবস্থান। এক্ষেত্রে পেটের মাঝখানে জ্বলন্ত ব্যথার মতো অনুভত হয়, যা বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে বিভ্রান্ত হন।

অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে শারীরিক দুর্বলতা বলে ভেবে নেন কমবেশি সবাই। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি নীরব লক্ষণ। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব ও বমিও হতে পারে।

ঠান্ডা ঘাম

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের রাতের বেলা ঘাম খুব বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যে এটি খুব সাধারণ লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাকের সময়, শরীর রক্ত পাম্প করার জন্য অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করে, যার ফলে ঘাম হয়।

যদিও ব্যথার প্রকৃতি অনুমান করে এটি হার্ট অ্যাটাক নাকি অন্য কিছু তা জানা কঠিন, তবে সবারই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এসব লক্ষণ নিজের বা কারও সঙ্গে হতে দেখলে দ্রুত সাহায্যের জন্য কাউকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সাথে ঔষধ ডেলিভারী দেওয়া হয়।

ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :

সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত চিকিৎসক। 

গভ. রেজি নং ৩৫৪৬/ এ

হাকীম মো. মিজানুর রহমান

(বিএসএস, ডিইউএমএস)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
একটি বিশ্বস্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

মুঠোফোন : »(ইমো/হোয়াটস অ্যাপ)

(চিকিৎসক) :  01762240650 

মুঠোফোন : 01960288007 

 (সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা)

ই-মেইল : ibnsinahealthcare@gmail.com

সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।

শ্বেতীরোগ একজিমাযৌনরোগ, পাইলস (ফিস্টুলা) ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসক।

শেয়ার করুন: